ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নির্বাচনে হারতে পারি

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ১৭ মার্চ ২০১৫

নির্বাচনে হারতে পারি

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু রবিবার এক সমাবেশে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, তিনি ও তাঁর লিকুদ পার্টি মঙ্গলবারের নির্বাচনে নাও জয়লাভ করতে পারে। এ রকম ঘটলে সেটা হবে কঠিন অবস্থার মধ্যে টিকে থাকা একজন সুদক্ষ রাজনীতিবিদের নাটকীয় পতন, যার দীর্ঘ ৯ বছরব্যাপী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন তাঁকে সমসাময়িক ইসরাইলের এক সুপরিচিত মুখে পরিণত করেছে। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের। নেতানিয়াহুর পরাজয় কিংবা সামান্য ব্যবধানে জয়ী হওয়ার মধ্যে এই সম্ভাবনাও থেকে যায় যে, তাঁকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে বাধ্য হয়ে একটি অসামঞ্জস্য ‘জাতীয় ঐক্যের সরকার’ সরকার গঠন করতে হতে পারে। তবে সেটা হবে ইসরাইলের নিরাপত্তা রক্ষায় যুদ্ধবাজ ব্যক্তিদের অবস্থানের বিপরীতমুখী এক সংযত যাত্রা- যে দেশের নির্বাচকম-লী বিগত ১৫ বছরে ক্রমশ রক্ষণশীলতার দিকে সরে গেছে। শুক্রবার চূড়ান্ত দফা জনমত জরিপে দেখা যায়, নেতানিয়াহু ও তাঁর দক্ষিণপন্থী লিকুদ পার্টি মধ্য-বামপন্থী লেবার পার্টির নেতা আইজাক হারজাগ এবং তাঁর নির্বাচনী সঙ্গী সাবেক শান্তি আলোচনাকারী জিপি লিভনির বিস্ময়করভাবে কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। নেতানিয়াহু রবিবার এক রেডিও সাক্ষাতকারে অভিযোগ করেন যে, বৈরীভাবাপন্ন ইসরাইলী সাংবাদিকরা এবং অদৃশ্য ‘বিদেশী শক্তিগুলো’ নেতানিয়াহু বিরোধী প্রচারণার পেছনে আছে যা তার বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। তাঁর দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ও সাবেক বিচারমন্ত্রী লিভনি পাল্টা আক্রমণ করে বলেছেন, নেতানিয়াহু আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এবং অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাতে চাচ্ছেন। লিভনি রবিবার বলেন, ইসরাইলের নাগরিকরা নেতানিয়াহুকে সরিয়ে দেবে বলে সংবাদপত্রে যা লেখা হচ্ছে তাঁর জন্য নয় বরং তাদের একটি সংবাদপত্র কেনার মতো যথেষ্ট অর্থ নেই কিংবা তারা সন্তানদের জন্য একটি এ্যাপার্টমেন্ট কিনতে পারবে না বলেই তারা তাকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে দেবেন। নেতানিয়াহুর প্রচারাভিযানে অংশগ্রহণকারীরা ধরে নিয়েছিল যে, দু’সপ্তাহ আগে কংগ্রেসের এক যৌথ বৈঠকে প্রদত্ত তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সমর্থন বেগবান হবে। সে সময় তিনি প্রেসিডেন্ট ওবামাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেন এবং সতর্ক করে দেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যে বিপর্যয়কর চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে তা ইরানের পরমাণু বোমা তৈরির উচ্চাকাক্সক্ষাকে থামাতে পারবে না। নেতানিয়াহুর সমর্থকরা একজন কুশলী বাগ্মী হিসেবে তাঁর চার্চিলীয় দক্ষতায় গর্ব প্রকাশ করেছে। কংগ্রেসে ভাষণদানের সময় শ্রোতাদের বারবার দাঁড়িয়ে তুমুল হর্ষধ্বনি সমর্থকদের মনোবল বাড়িয়ে দেয়। তবু তাঁর ভাষণ নির্বাচকম-লীর ওপর সামান্যই প্রভাব ফেলেছে। বরং তাঁর ভাষণ হোয়াইট হাউস এবং কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যদের ক্ষুব্ধ করেছে এবং ইসরাইল ও তার ঘনিষ্ঠ মিত্রের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ক্ষুণ্ণ করেছে। তেলআবিবের ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজের পরিচালক ইয়েহুদা বেন মেয়ার বলেন, ‘নেতানিয়াহু ভেবেছিলেন ওয়াশিংটনে তিনি যা করেছেন তা তাঁকে সাহায্য করবে, কিন্তু স্বদেশে এটা কোন কাজেই দেইনি।’
×