ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আমার অনুপ্রেরণা অধিনায়ক ধোনি ॥ শামি

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ১৭ মার্চ ২০১৫

আমার অনুপ্রেরণা অধিনায়ক ধোনি ॥ শামি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপ শুরুর আগে ভারতের সবচেয়ে দুশ্চিন্তার জায়গা ছিল বোলিং। বিশেষ করে দীর্ঘ অস্ট্রেলিয়া সফর ও ত্রিদেশীয় সিরিজে পেসাররা একদমই নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। মূল মঞ্চে এসে সেই তারাই জ্বলে উঠেছেন, যেখানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোহাম্মদ শামি। নৈপুণ্যের বিচারে ভয়ঙ্কর ডেল স্টেইন, মিচেল জনসন, লাসিথ মালিঙ্গাদেরও ছাড়িয়ে যাচ্ছেন ভারতীয় পেসার! মিচেল স্টার্কের (১৬) পর আসরে দ্বিতীয় সর্বাধিক ১৫ উইকেট তার। দারুণ এই সাফল্যের রহস্য জানাতে গিয়ে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির প্রশংসায় পঞ্চমুখ শামি। ‘আমার ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট জীবনের পুরোটাই মাহি (ধোনির ডাক নাম) ভাইয়ের অধীনে। সব সময় বড় দাদার মতো গাইড করে এসেছেন। যেভাবে বিভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবেলা করেন, তাতে কখনও কোনদিন আমার কোন অসুবিধা হয়নি।’ এতেই শেষ নয়। বিষয়টা কী রকম, তার বিশদ ব্যাখ্যাও দিয়েছেন শামি। ‘সবচেয়ে বড় বিষয় হলো কখনও বলেননি, তুই এটা করে দেখা। বরং কোন ভুল হলে বুঝিয়ে দিয়েছেন, কোথায় ভুলটা হচ্ছে। কভি গোস্সা নেহি হোতে, শান্তিসে পেশ আতে ও। এই যে বিশ্বাসটা আমার উপর আছে, এটাই আমাকে যথেষ্ট মোটিভেট করে পারফর্ম করতে।’ সঙ্গে যোগ করছেন, ‘প্রথম যখন আমি ভারতীয় দলের হয়ে খেলি, তখন খুব ভয় ছিল টিমে সিনিয়ররা আমাকে কিভাবে নেয়। কিন্তু টিমে এসে দেখেছি মানিয়ে নিতে কোন সমস্যা হয়নি। বরং স্থানীয় ক্রিকেটের চেয়েও পরিস্থিতি সহজ লেগেছে। সেটা মূলত মাহি ভাইয়ের জন্যই।’ নিজের বোলিং নিয়ে এই বিশ্বকাপে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চান না তিনি। কেন? শামির স্বীকারোক্তি, ‘বোলিং নিয়ে টিমের একটা প্লানিং থাকে। সেটা মাথায় রেখে নিজের কোন প্ল্যান থাকলে দুটোকে মিশিয়ে বোলিং করি। ফরমেট অনুযায়ী প্ল্যানিং বদলে যায়। ইনশাল্লাহ উইকেট আসছে। সে জন্যই টিম গোলই আসল কথা, আমার পরীক্ষা-নিরীক্ষা নয়।’ প্রক্তনদের কাছে টিপস নেয়ার বিষয়ে সব সময় উৎসুুক। কেকেআরে ওয়াসিম আকরামের কাছে থেকে সুইংয়ের কারিকুরি শিখছেন, বিশ্বকাপে এসে কথা বলেছেন রিচার্ড হ্যাডলির সঙ্গেও। ‘যখনই কোন কিংবদন্তির সঙ্গে দেখা হয়েছে, আমি কথা বলার সুযোগ পেলেই তাদের কাছে বোলিং নিয়ে জানতে চেয়েছি। প্রশ্ন করেছি যতটা সম্ভব। এক, ওঁদের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি আর দুই, বোলিং নিয়ে প্রাক্তনদের সঙ্গে কথা বলতে সব সময়ই ভাল লেগেছে। এটা শুধু ওয়াসিম ভাই বা রিচার্ড হ্যাডলি নয়, বাকিদের ক্ষেত্রেও সত্যি।’ সাফল্য নিয়ে শামির দর্শন হচ্ছে, ‘যে দিন উইকেট পাই না, আগে খুব খারাপ লাগত। হোটেলে রুমে ফিরে খালি ভাবতাম, কোথায় কী ভুল হলো। টিমমেটদের প্রশ্ন করতাম বার বার। এখন আর অতটা ভাবি না।
×