ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রেল ওয়াগনে মধ্যপাড়ার কঠিন শিলা পরিবহন শুরু

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ১৫ মার্চ ২০১৫

রেল ওয়াগনে মধ্যপাড়ার কঠিন শিলা পরিবহন শুরু

শ আ ম হায়দার, পার্বতীপুর ॥ দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চলতি মাসের ১০ মার্চ তারিখ থেকে রেল ওয়াগনে মধ্যপাড়া কঠিন শিলা পরিবহন শুরু হয়েছে। খনিসূত্র অনুযায়ী প্রতিদিন গড়ে ৩ হাজার মে.টন শিলা পরিবহন করা হচ্ছে। ১২ মার্চ বৃহস্পতিবার ৬০ ওয়াগনে যায় ১৬৮২ মে.টন। ৪০-৬০ মিমি সাইজের ব্যালাস্ট যাচ্ছে পার্বতীপুর, পঞ্চগড়, ইশ্বরদী, ফরিদপুরের রাজবাড়ী, সিরাজগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানের রেলের সাইডে। নতুন রেললাইন ও লুপলাইন বসানোর কাজে এসব পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও রেল ঠিকাদার মোঃ আশরাফ আলী নিচ্ছেন ৫২ হাজার মে.টন শিলা। এরই মধ্যে পরিবহন করেছেন ৩ হাজার ৭শ’ মে.টন। বৃহস্পতিবার মধ্যপাড়ায় এসে খনি রেল ইয়ার্ড সাইডে এসে শিলা পরিবহন চেখে পড়ে। এ সময় রেল ঠিকাদার মোঃ আশরাফ আলী শিলা পরিবহনে নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। বলেন লোডারের অভাবে ওয়াগনে শিলা বোঝাইয়ে তার সমস্যা হচ্ছে। তবে খনি কর্তৃপক্ষ বলেন এসব সমস্যা সাময়িক। অচিরেই সব ঠিক হয়ে যাবে। জানা গেছে, যমুনা নদীর হার্ড পয়েন্টে নদী ভাঙ্গন রোধের জন্য আব্দুল মোনেম কোম্পানি ও চিনা ঠিকাদাররা বেল্ডার নিচ্ছে। পদ্মা সেতু নির্মাণে চুক্তি হয়েছে। সেতুতে নদী শাসনের কাজে বিপুল পরিমাণে বোল্ডার প্রয়োজন হবে। সূত্র মতে সারাদেশে বছরে পাথরের চাহিদা ৭০-৮০ লাখ মে.টন। সেখানে বছরে মধ্যপাড়ায় উৎপাদিত হয় ১৬-১৭ হাজার মে.টনের মতো। বিদেশ থকে আমদানি ও লোকাল সোর্স থেকে বাকি চাহিদা মেটাতে হয়। এই হিসাব অনুযায়ী ভারতের চেয়ে মধ্যপাড়ার শিলা গুণগত মানের দিক থেকে উৎকৃষ্ট হওয়ার পরও এই শিলা অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে থাকছে। প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, সরকারী ও বেসরকারী রোড, হাইওয়ে, রেলওয়েসহ সব প্রতিষ্ঠানে নির্মাণ কাজে মধ্যপাড়ার কঠিন শিলা ব্যবহারের নির্দেশনা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয় না। কারণ অনুসন্ধানে জানা গেছে মধ্যপাড়ার কঠিন শিলা ব্যবহার করে কাজের মান উন্নত হয় ঠিকই তবে যারা এটা ক্রয় করেন তাদের ব্যক্তিগত লাভ হয় না। অন্য সোর্স থেকে কিনলে গোপনে তাদের পকেট ভারী হয়। এ ব্যাপারে খনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন বাংলাদেশের বুয়েট, ইংল্যান্ড, সিঙ্গাপুরের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের ল্যাবরেটারি টেস্টে এই খনির কঠিন শিলা বিশ্বমানের বলে সনদপ্রাপ্ত। এসব জেনে প্রথমে অনেক প্রতিষ্ঠান এই খনির শিলা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। তবে পরে ব্যক্তিগত মুনাফার কথা ভেবে তারা পিছু হটে। ব্যক্তিস্বার্থের চেয়ে দেশের স্বার্থ বড় করে না দেখলে এই জাতীয় প্রতিষ্ঠানকে বাঁচানো যাবে না বলে জানিয়েছেন এলাকার অনেক দায়িত্বশীল ব্যক্তি।
×