ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মির্জাপুর রেল স্টেশনে মাস্টার ছাড়াই চলে ট্রেন ॥ দুর্ঘটনার শঙ্কা

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ১৫ মার্চ ২০১৫

মির্জাপুর রেল স্টেশনে মাস্টার ছাড়াই চলে ট্রেন ॥ দুর্ঘটনার শঙ্কা

নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর, ১৪ মার্চ ॥ মির্জাপুর রেল স্টেশনে দু‘জন স্টেশন মাস্টার থাকলেও মাঝে মধ্যেই মাস্টার ছাড়াই চলে ট্রেন। কর্মরত স্টেশন মাস্টারদের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে বঙ্গবন্ধু সেতু রেল সংযোগ সড়কে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বঙ্গবন্ধু সেতু রেল সড়কে ২০০৩ সালের জুন মাসে রেল চলাচল শুরু হওয়ার পর থেকে মির্জাপুর রেল স্টেশনে একজন স্টেশন মাস্টার ও একজন সহকারী স্টেশন মাস্টার কর্মরত রয়েছেন। পালাক্রমে এই দুই স্টেশন মাস্টার ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করে থাকেন। কিন্তু বর্তমানে কর্মরত স্টেশন মাস্টার আফসার আলী ও সহকারী স্টেশন মাস্টার নাজমুল হুদা বকুল তাদের ইচ্ছানুযায়ী ডিউটি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। রেলওয়ের নিয়মানুযায়ী ২৪ ঘণ্টা পালাক্রমে ডিউটি করার কথা থাকলেও নিজেদের সুবিধার জন্য সপ্তাহের তিন দিন করে তারা টানা ডিউটি করেন। এই তিন দিনের মধ্যে অধিকাংশ সময়ই মির্জাপুর স্টেশনটি মাস্টারশূন্য থাকে। তবে এ সময় মাস্টারের পরিবর্তে দায়িত্ব পালন করেন পয়েন্ট ম্যান তারেক আহমেদ। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মির্জাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, স্টেশন মাস্টার নেই। সহকারী স্টেশন মাস্টার নাজমুল হুদা বকুল ১০টা ৫৮ মিনিটে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস (নম্বর ৭২৬) ট্রেনে উঠে তার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। এ সময় স্টেশনের পয়েন্টম্যান তারেক আহমেদ স্টেশন মাস্টারের চেয়ারে বসে স্টেশনের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। স্টেশন মাস্টারগণ কোথায় প্রশ্ন করা হলে পয়েন্টম্যান তারেক বলেন, স্টেশন মাস্টার অফিসের কাজে বৃহস্পতিবার পাকশী গেছেন। আর সহকারী স্টেশন মাস্টারের স্ত্রী অসুস্থ থাকায় তিনি কিছুক্ষণ আগে বাড়ি গিয়েছেন। বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি মির্জাপুর পার করার দায়িত্বটিও তিনিই পালন করেন। ওই ট্রেনটিতেই মির্জাপর স্টেশন মাস্টার আফসার আলী বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে মির্জাপুর স্টেশনে নামেন। তার নামার আগ পর্যন্ত প্রায় ৫০ মিনিট মাস্টার ছাড়াই চলে স্টেশনটি। এ সময় টুকুতে মাস্টারের দায়িত্ব পালন করেন পয়েন্টস ম্যান তারেক। তাছাড়া রেল যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি ও বিক্রির টাকা সিলগালা করতেও দেখা গেছে পয়েন্ট ম্যান তারেক আহমেদকে। স্টেশন মাস্টার আফসার আলীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার পাকশীতে কাজ শেষে বাড়ি গিয়েছিলাম। সহকারি স্টেশন মাস্টার কোথায় জানতে চাইলে বলেন, বেতন পেয়ে বাড়ি গেছে। আপনারা দুজনই ছুটি নিয়েছেন কিনা জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে বলেন, সব সময় ছুটি পাওয়া যায় না। স্টেশন মাস্টার শূন্য থাকা প্রসঙ্গে বলেন, একজন কাজ করলেই হলো। এ সংবাদ সংগ্রহকালে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে স্টেশনে স্টেশন মাস্টারের কক্ষে পাওয়া যায় রেলওয়ের রাজশাহীর ডিপুটি চীফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার জিন্নাহ মামুনকে। তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্টেশন মাস্টারদের কারও অবৈধভাবে অনুপস্থিত থাকার কথা নয়। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। কক্সবাজারে অস্ত্রসহ যুবক আটক স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ সদর থানা পুলিশ একটি দেশীয় তৈরি এলজি বন্দুকসহ সাইফুল ইসলাম রুবেল নামে এক যুবককে আটক করেছে। সে স্থানীয় সিরাজুল ইসলামের পুত্র। শুক্রবার রাতে দক্ষিণ রুমালিয়ার ছড়ায় পুলিশ এ অভিযান চালায়। ওই সময় তার কাছে ২টি কার্তুজও পাওয়া গেছে বলে অভিযান পরিচালনাকারী এসআই কামাল হোসেন জানিয়েছেন।
×