ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রী কাল যাচ্ছেন আইসিটি মন্ত্রণালয়ে

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১৪ মার্চ ২০১৫

প্রধানমন্ত্রী কাল যাচ্ছেন আইসিটি মন্ত্রণালয়ে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দ্রুত গতিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে চলছে দেশ। এগিয়ে চলার পথে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। ক্রমাগত উন্নয়নের গতি আরও বেশি ত্বরান্বিত করতে আগামীকাল প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাচ্ছেন আইসিটি মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে আগারগাঁওয়ে অবস্থিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে, বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। বিগত কয়েক বছরের সকল ধরনের কর্মকা- সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হবে, জানতে চাওয়া হবে নতুন কোন দিকনির্দেশনা। জানা যায়, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ অগ্রগতি ও হাতে নেয়া নতুন পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হবে। তুলে ধরা হবে সরকারের অগ্রগতি ও অর্জন সম্পর্কে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষক শেখ হাসিনার কাছে জানতে চাওয়া হবে নতুন কোন পরিকল্পনা সম্পর্কে। প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে ইতোমধ্যে প্রায় সব প্রস্তুতিই সম্পন্ন হয়েছে। সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী এ দিন বৈঠক করবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদারসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা। আইসিটি বিভাগের সূত্র মতে, বর্তমানে মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১০টি চলমান কর্মসূচী রয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনকিউবেটর স্থাপন, দফতরসমূহে ডিজিটাল স্বাক্ষর সার্টিফিকেট বিতরণ, ডিজিটাল টকিং বুক তৈরি কর্মসূচী, জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল এপ্লিকেশন উন্নয়নে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি, বাড়ি বসে বড়লোক প্রশিক্ষণ কর্মসূচী, ফ্রিল্যান্সার টু এন্টিপ্রেনিউর কর্মসূচী, প্রাথমিক স্তরের ইন্টার এ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া কন্টেট প্রস্তুতকরণ কর্মসূচী, সাইবার নিরাপত্তা কর্মসূচী ও ইনোভেশন ফর স্মার্ট গ্রীন বিল্ডিং। জানা যায় সরকার সাধারণ জনগণের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বেশ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আগ্রহী। প্রায় ৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে চলমান এই প্রকল্প সফল হলে ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে সাধারণ ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা আরও বেশি জোরদার হবে। অনলাইন ব্যবহার করে সাধারণ জনগণকে হয়রানির প্রবণতা কমে আসবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ আবু নাছের জনকণ্ঠকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে ইতোমধ্যে প্রায় সব রকমের প্রস্তুতি শেষ। বিগত ৬ বছরে আমাদের যা কার্যক্রম ছিল সব তুলে ধরব। সাইবার নিরাপত্তাসহ সামগ্রিক কর্মকা- নিয়ে বিস্তর আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এই বিভাগের উন্নয়নে আমরা গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা চাইব।
×