ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রতিরক্ষায় নারী

প্রকাশিত: ০৩:৩৯, ১৪ মার্চ ২০১৫

প্রতিরক্ষায় নারী

নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আরও এক ধাপ অগ্রগতির পথে এখন। লিঙ্গবৈষম্যহীন সভ্য দেশ গড়ে তোলার আয়োজনে বাংলাদেশ অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছে। আরও অগ্রসর হওয়ার পথে দেশটি। নারীর ক্ষমতায়ন, মানবতার উন্নয়ন এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ নারীর জন্য যুগান্তকারী সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। নারীকে অবরোধবাসিনী, অন্তঃপুরবাসিনী করে রাখার যুগ-যুগান্তের চেষ্টার বিপরীতে নারীকে যুগান্তকারী অবস্থানে নিয়ে গেছে দেশটি। রাজনীতির শীর্ষ নেতৃত্বে যেমন নারী, তেমনি সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রেও নারীদের অবস্থান এক অভূতপূর্ব সাফল্য। নারীকে গৃহবন্দী করে রাখার, ক্রীতদাসীতে পরিণত করার সকল অশুভ পন্থাকে পাশ কাটিয়ে নারী জাগরণ ঘটিয়েছে বাংলাদেশ। নারীর ক্ষমতায়ন শুধু নারীর জন্য নয়, বরং দেশের সমৃদ্ধির প্রশ্নই নারীর ক্ষমতায়নের ওপর নির্ভরশীল। নারী-পুরুষ বৈষম্য দূর করার কাজে বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সর্বশেষ বিমানবাহিনীতে ২৫ ভাগ নারী অফিসার নিয়োগ করা হচ্ছে। স্থলবাহিনীতে নারীর অংশগ্রহণ রয়েছে বেশ কিছুকাল ধরে। এবার বিমানবাহিনীতেও তারা যোগ দিচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়নের অংশ হিসেবে বাহিনীর বিভিন্ন শাখায় অফিসার পদে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ নারী নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া প্রথমবারের মতো এ বাহিনীতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বৈমানিক পদে, যা বাঙালী নারীর জন্য এক নতুন দিগন্ত। ‘বাংলার আকাশ রাখিব মুক্ত’ সেøাগান সংবলিত বিমানবাহিনীতে নারীর অংশগ্রহণ সাহসী পদক্ষেপ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একই সঙ্গে বিমানবাহিনীর জন্যও গৌরবের। বিমানবাহিনীর আধুনিকায়নের লক্ষ্যে গৃহীত এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এই নিয়োগ। দেশের কল্যাণে বিমানবাহিনীর সদস্যদের অবদান অতুলনীয়। বিশ্ব দরবারে তাদের অর্জিত সাফল্য ধরে রাখার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর বিমানবাহিনী। তারই আলোকে এই বাহিনীতে নারী নিয়োগ করা হচ্ছে। এই নিয়োগ আমাদের দেশের নারীকে তার এগিয়ে যাওয়ার পথ খুলে দিচ্ছে। একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে বিমানবাহিনী আরও এগিয়ে যাবে- এমন প্রত্যাশা স্বাভাবিক।
×