ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

চেলসিকে বিদায় করলেন দুই ব্রাজিলিয়ান

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ১৩ মার্চ ২০১৫

চেলসিকে বিদায় করলেন দুই ব্রাজিলিয়ান

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুই ব্রাজিলিয়ান তারকা চেলসিকে বিদায় করে দিয়েছেন উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ থেকে। আর প্যারিস সেইন্ট-জার্মেইনকে তুলে দিয়েছেন আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে। বুধবার রাতে ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের আসরের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের চেলসি-পিএসজির ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়। লন্ডনের স্টামফোর্ড ব্রিজে দু’দু’বার এগিয়ে গিয়েও শেষরক্ষা হয়নি স্বাগতিক চেলসির। দুইবারই অতিথি পিএসজিকে সমতায় ফেরান দুই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ডেভিড লুইজ ও থিয়াগো সিলভা। প্যারিসে দু’দলের প্রথম লেগের ম্যাচটিও ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-৩ গোলে সমতা থাকে দ্বৈরথ। কিন্তু প্রতিপক্ষের মাঠে বেশি গোল করার সুবাদে শেষ আটের ছাড়পত্র পেয়েছে ফরাসী ক্লাব পিএসজি। নিজেদের মাঠে প্রথম লেগের ম্যাচে পরাশক্তি বেয়ার্ন মিউনিখকে গোলশূন্যভাবে রুখে দিয়ে চমক দেখিয়েছিল ইউক্রেনের ক্লাব শাখতার ডোনেস্ক। কিন্তু মিউনিখের এ্যালিয়েঞ্জ এ্যারানায় দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে স্বাগতিকদের কাছে রীতিমতো উড়ে গেছে অতিথিরা। শাখতারকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করে আসরের সেরা আট নিশ্চিত করেছে বেয়ার্ন। বাভারিয়ানদের হয়ে জোড়া গোল করেন টমাস মুলার। একটি করে গোল করেন পাঁচ তারকা। এরা হলেনÑজেরোমি বোয়েটেং, ফ্রাঙ্ক রিবেরি, হোল্গার বাডটসটুবার, রবার্ট লেভানডোস্কি ও মারিও গোয়েটজে। স্টামফোর্ড ব্রিজে চেলসি-পিএসজি ম্যাচ শুরু থেকেই আক্রমণ পাল্টাআক্রমণে জমে ওঠে। ম্যাচের ৩১ মিনিটে বিরাট ধাক্কা খায় লরেন্ট ব্লাঙ্কের দল। এ সময় লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন পিএসজির সবচেয়ে বড় তারকা জ¬াতান ইব্রাহিমোভিচ। দলের সেরা স্ট্রাইকারকে হারালেও দমে যায়নি ফরাসী চ্যাম্পিয়নরা। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে দুইবার সমতা ফিরিয়ে ইংলিশ পরাশক্তিদের আসর থেকে বিদায় করে দিয়েছে তারা। দশজনের দলের বিরুদ্ধে জিততে না পেরে হতাশা ব্যক্ত করেছেন চেলসি কোচ জোশে মরিনহো। ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকে। বিরতির পর শেষ দশ মিনিট খেলা দারুণ জমে ওঠে। ৮১ মিনিটে গ্যারি কাহিলের গোলে এগিয়ে যায় চেলসি। কিন্তু ৮৬ মিনিটে পিএসজিকে সমতায় ফেরান চেলসির সাবেক তারকা ডেভিড লুইজ। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র হওয়ায় দুই লেগ মিলিয়ে সমতা বিরাজ করে। ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ৯৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে চেলসিকে আবারও এগিয়ে নেন ইডেন হ্যাজার্ড। কিন্তু ১১৪ মিনিটে থিয়াগো সিলভার দারুণ হেডে ফের সমতা ফেরায় পিএসজি। গোলটি করে দারুণ প্রায়শ্চিত্ত করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। কেননা তার ফাউলের কারণেই পেনাল্টি থেকে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল চেলসি। শাখতারের মাঠে প্রথম লেগের ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। পরশু রাতে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে বেয়ার্নের কাছে পাত্তাই পায়নি অতিথিরা। দুর্দান্ত জয়ে সেরা আটে এখন পেপ গার্ডিওলার দল। এই জয়ে নক আউট পর্বে নিজেদেরই গড়া সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড স্পর্শ করেছে বেয়ার্ন। ২০১২ সালে সুইজারল্যান্ডের ক্লাব এফসি বাসেলকেও ৭-০ গোলে হারিয়েছিল বাভারিয়ানরা। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই শাখতারের আলেকজান্ডার কুচার লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। এ কারণে প্রায় পুরোটা সময় ১০ জন নিয়ে খেলা ইউক্রেনের দলটি কোন প্রতিরোধই গড়তে পারেনি। লালকার্ডের বদৌলতে পাওয়া পেনাল্টি থেকে চতুর্থ মিনিটে গোল করে বেয়ার্নকে এগিয়ে নেন টমাস মুলার। ৩৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বোয়েটেং। বিরতির পর ৪৯ মিনিটে দলের তৃতীয় গোল করেন রিবেরি। ৫২ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চার নম্বর গোল করেন মুলার। এরপর ৬৩ মিনিটে হোল্গার, ৭৫ মিনিটে লেভানডোস্কি ও ৮৭ মিনিটে গোল করেন গোয়েটজে।
×