ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শর্মীমালা

আমি অভিভূত

প্রকাশিত: ০৬:৫৪, ১২ মার্চ ২০১৫

আমি অভিভূত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘পালাকার’ নাট্যদলের হয়ে ২০০৬ সাল থেকে নিয়মিত মঞ্চে কাজ করছেন শর্মীমালা। এই দলের হয়ে এখন পর্যন্ত তিনি দশটি মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ‘নোরা তিন কন্যা’, ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’, ‘মৃত্তিকা কুমারী’ ইত্যাদি। একজন ভাল অভিনেত্রী হিসেবে দলের সদস্যসহ যারা মঞ্চের নিয়মিত দর্শক তাদের কাছে শর্মীমালার বেশ কদর আছে। যে কারণে তিনি গৌতম ঘোষের ‘মনের মানুষ’ চলচ্চিত্রে ময়ূর চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগও পেয়েছিলেন। গাজী রাকায়েত তাকে নিয়ে নির্মাণ করেন ‘মৃত্তিকা মায়া’ চলচ্চিত্রটি। এতে পদ্ম চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেন তিনি। এ কারণেই ২০১৩ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে আগামী ৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণ করবেন। অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে শর্মীমালা বলেন, আমার চলচ্চিত্রের পরিচালক গাজী রাকায়েত স্যারের কাছ থেকে খবরটি প্রথম শুনি। শোনার পর থেকেই আসলে আমি অনুভূতিহীন, ভাষাহীন হয়ে পড়ি। রাকায়েত স্যার যতোবারই আমাকে বলছিলেন, ততোবারই আমি জিজ্ঞেস করেছি সত্যিই পাচ্ছি আমি। আসলে আমার বলার ভাষা আমি হারিয়ে ফেলেছি। আমি পুরো মৃত্তিকা মায়া পরিবারের কাছে কৃতজ্ঞ। টিভি নাটকে শর্মীমালার অভিষেক ঘটে আমিনুর রহমান মুকুল পরিচালিত ‘বকুল ফুল’ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। তার অভিনীত প্রথম ধারাবাহিক নাটক ছিল গোলাম সোহরাব দোদুল পরিচালিত ‘সাতকাহন’। অতি সম্প্রতি শেষ হলো তার অভিনীত বদরুল আনাম সউদ পরিচালিত ‘পিঞ্জর’ ধারাবাহিক নাটকটি। এছাড়া বর্তমানে তিনি আফসানা মিমি পরিচালিত ‘সাতটি তারার তিমির’ এটিএন বাংলায় এবং গোলাম সোহরাব দোদুল পরিচালিত ‘হল্লাবাজি’ বাংলাভিশনে প্রচার হচ্ছে। এসব ধারাবাহিক নাটকে নিয়মিত অভিনয় করছেন। তবে মজার বিষয় হচ্ছে, গত মঙ্গলবারই তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার ঘোষণা পান আবার একই দিনে তিনি ও তার বান্ধবী জয়িতা মহলানবীশ দু’জন মিলে ঢাকার শিল্পকলা একাডেমিতে ‘হেঁশেল’ নামের একটি খাবারের দোকান চালু করেন।
×