ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চট্টগ্রামে নোটিস অকার্যকর

জ্বালানি তেল বিক্রিতে নিয়ম মানছে না ফিলিং স্টেশন

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১২ মার্চ ২০১৫

জ্বালানি তেল বিক্রিতে নিয়ম মানছে না ফিলিং স্টেশন

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বোতলে পেট্রোল বিক্রি বন্ধে সাঁটানো নোটিস কার্যকর হয়ে পড়েছে মাত্র এক মাসেই। তবে অভিযান চালু থাকলেও ফিলিং স্টেশনের মালিকরা তা মানছেন না। এছাড়াও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্রেতাদের নাম, মোবাইল নম্বর ও পরিচয়পত্র অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্সের নম্বর কালেকশনের কথা থাকলেও তা পালন করছেন না ফিলিং স্টেশনের মালিকরা। ফলে জারে বা বোতলে দাহ্য পদার্থ চলে যাচ্ছে নাশকতাকারীদের কাছে। কিন্তু ১৯৪৩ সালের পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্য আইন অনুযায়ী ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করা বাধ্যতামূলক। এদিকে জেলা প্রশাসনের কড়াকড়ির মুখে পড়ে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা জ্বালানি তেলের খুচরা দোকানগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। তবুও বন্ধ হচ্ছে না পেট্রোল বোমা বানানো থেকে নিক্ষেপ পর্যন্ত। উল্লেখ্য, গত ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফিলিং স্টেশনের মালিকদের দৃষ্টি আকর্ষণে ও গাড়ি ব্যতীত দাহ্য পদার্থ বিক্রি বন্ধের ওপর এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় থাকা ফিলিং স্টেশনগুলোতে নজরদারির নির্দেশনা দেয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘ প্রায় এক মাস অতিবাহিতের পরও বোতলে বা জারে দাহ্য পদার্থ বিক্রি বন্ধ হয়নি। এছাড়াও ক্রেতাদের পরিচয় সংরক্ষণেও পেট্রোল পাম্প মালিকদের অনীহা রয়েছে। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাহ্য পদার্থ ব্যবহারকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণে নোটিস টাঙানো হয়েছিল ফিলিং স্টেশনগুলোতে। এ নোটিসের নির্দেশনা অনুযায়ী মোটরসাইকেলে জ্বালানি তেল ব্যবহারকারীকে তার পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও জারে বা বোতলে জ্বালানি তেল ক্রয়ের সময়ে সংশ্লিষ্ট থানার অনুমতিপত্র গ্রহণেরও নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু এ নোটিস মাত্র এক মাসের মাথায় অকার্যকর হয়ে গেছে। ফলে পেট্রোলবোমা প্রস্তুতকারীরা নাশকতার উদ্দেশ্যে সহজে পেট্রোল, অকটেন কালেকশন করছে। জেলা প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় নোটিস ফিলিং স্টেশনের দেয়ালে সাঁটানো রয়েছে। দাহ্য পদার্থ ক্রয় বিক্রয়ে কোন পক্ষই এ ধরনের নোটিসের মূল্যায়ন করছে না। এক্ষেত্রে ক্রেতারা চান দ্রুত দাহ্য পদার্থ ক্রয় করে ফিলিং স্টেশন ত্যাগের, অপরদিকে, বিক্রেতারাও তাদের সর্বোচ্চ মুনাফা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের এ ধরনের নোটিসের তোয়াক্কা করছে না। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম জনকণ্ঠকে জানান, নাশকতাকারীদের রোধ করতে ও অবৈধভাবে পেট্রোল, অকটেন বিক্রি বন্ধে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান অব্যাহত আছে। গত ২ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সার্কিট হাউসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ফিলিং স্টেশনগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে।
×