ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রেনেড হামলা মামলা

একজন ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন পুলিশের সাক্ষ্য গ্রহণ

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১১ মার্চ ২০১৫

একজন ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন পুলিশের  সাক্ষ্য গ্রহণ

কোর্ট রিপোর্টার ॥ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণকারী একজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং সুরতহালের সাক্ষী একজন পুলিশ সদস্যের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আল মাসুদ ১১৬তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন। পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে সাক্ষ্যটি গ্রহণ করেন ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন। এর পর ১১৭ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সুরতহালের সাক্ষী এসআই বজলার রহমানের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়, যা আজ বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি স্পেশাল পিপি আবু আব্দুল্লাহ ভূইয়া জানান, সাক্ষী আল মাসুদ বর্তমানে বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক হিসেবে কর্মরত। তিনি ঢাকা সিএমএম আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত থাকার সময় মামলার সাক্ষী অতিরিক্ত আইজিপি মিজানুর রহমানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী গ্রহণ করেন। এ বিষয়েই তিনি সাক্ষ্য দিয়েছেন। অন্যদিকে সাক্ষী বজলার রহমান নিহত আবুল কালাম আজাদের সুরতহাল রিপোর্ট সম্পর্কে সাক্ষ্য দিচ্ছেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করছেন সৈয়দ রেজাউর রহমান। গতকাল সাক্ষ্যগ্রহণকালে সাবেক মন্ত্রী জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ এ মামলায় কারাগারে আটক আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। অন্যদিকে জামিনে থাকা আসামি খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব) সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক আইজিপি মোঃ আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলাটির তিন তদন্ত কর্মকর্তা সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম আদালতে হাজির হন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আইভী রহমানসহ ২৪ জনের নির্মম মৃত্যু হয়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও তার শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
×