ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

১৩ বছর পর ॥ সিটি হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ৯ মার্চ ২০১৫

১৩ বছর পর ॥ সিটি হোল্ডিং  ট্যাক্স বাড়ছে

মশিউর রহমান খান ॥ প্রায় ১৩ বছর পর বেড়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স। ঢাকার পাশাপাশি দেশের অন্য সব সিটি করপোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্সও বাড়ানো হয়েছে। ২ মার্চ এ সংক্রান্ত গেজেট জারি করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ। দেশের সকল সিটি কর্পোরেশনে এ গেজেট বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গেজেট জারির দিন থেকে এটি কার্যকর করা হবে। সম্পত্তি হস্তান্তর কর, ময়লা নিষ্কাশন ও সড়কবাতি করসহ কিছু ক্ষেত্রে নতুন করে করারোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এগুলো বাস্তবায়নের আগে পৃথক গেজেট জারি করা হবে। তবে যেসব কর বিদ্যমান রয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে এখন থেকে নতুন হার কার্যকর করা হবে। তবে বার্ষিক হোল্ডিং ট্যাক্স, সড়কবাতি ও ময়লা নিষ্কাশন কর পাঁচ বছরের জন্য একসঙ্গে দেয়া যাবে। তবে এ সময়ের মধ্যে করহার পরিবর্তন হলে পরবর্তীতে তা সমন্বয় করা যাবে। হস্তান্তরের মধ্যে দু’ দেশের সম্পর্ক আরও অটুট থাকবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। বার্নিকাট বলেন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এমন একটি জায়গা যেখানে বাংলাদেশের ইতিহাস সংরক্ষিত রয়েছে। দেরিতে হলেও এ জাদুঘরে আরেকটি দলিল স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশের চলমান রাজনীতির বিষয়ে বার্নিকাট বলেন, রাজনীতিতে ভিন্নমতের প্রকাশ ও বিরোধীদের অধিকার চর্চার পর্যাপ্ত ও নিরাপদ সুযোগ দিতে হবে। রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমেই গণতন্ত্র পুরোপুরি বিকশিত হতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পক্ষ থেকে টেলিগ্রাম গ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সারোয়ার আলী, রবিউল হুসাইন, জিয়াউদ্দীন তারিক আলী ও আক্কু চৌধুরী। সূত্র জানায়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৬ এপ্রিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে একটি তারবার্তা পাঠানো হয়েছিল ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরে। ঢাকায় কর্মরত মার্কিন কর্মকর্তারা ২৫ মার্চের ‘কলঙ্কিত রাতের’ গণহত্যা এবং সে বিষয়ে নিক্সন-কিসিঞ্জারের অন্ধ ইয়াহিয়াঘেঁষা নীতির প্রতিবাদ জানাতে সংকল্পবদ্ধ হয়েছিলেন। তাঁরা খুব ভেবেচিন্তে একটি তারবার্তা লিখেছিলেন যাতে স্বাক্ষর করেছিলেন ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের কনসাল জেনারেল আর্চার কেন্ট ব্লাড ও তাঁর ২০ জন সমর্থক সহকর্মী। সেই তারবার্তায় তাঁরা ঢাকায় ইয়াহিয়ার গণহত্যার প্রতি ওয়শিংটনের অব্যাহত নীরবতার নিন্দা করেছিলেন। ব্লাড তাতে কেবল স্বাক্ষরই দেননি, বাড়তি এক ব্যক্তিগত নোটও লিখেছিলেন। এতে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, পূর্ব পাকিস্তানে এখন যে সংগ্রাম চলছে, তার সম্ভাব্য যৌক্তিক পরিণতি হলো বাঙালীদের বিজয় এবং এর পরিণতিতে একটি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা।’ এই ‘ব্লাড টেলিগ্রাম’ বস্তুত তখনকার নিক্সন-কিসিঞ্জারের দুর্গে বোমা ফেলেছিল। ‘দ্য ট্রায়াল অব হেনরি কিসিঞ্জার’ নামে একটি বইয়ের লেখক ক্রিস্টোফার হিচিনসের মতে ‘মার্কিন ইতিহাসে ব্লাড টেলিগ্রামের কোন তুলনা নেই।’ কিসিঞ্জার এ জন্য পরবর্তীতে ব্লাডকে নির্বাসন দ- দিয়েছিলেন। ব্লাড টেলিগ্রাম যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের অধীন পররাষ্ট্র বিভাগের কোন কর্মকর্তার মাধ্যমে রচিত সর্বকালের সবচেয়ে শক্তিশালী শাব্দিক ভিন্নমত পোষণের গতিপথ বার্তাসমূহের একটি হিসেবে দেখা হয়েছে। ২১ জন আমেরিকান কর্মকর্তা এতে স্বাক্ষর করেছিলেন। ব্লাডের সেই টেলিগ্রামে বলা হয়েছে, ‘আমাদের সরকার গণতন্ত্রের দমনকে অভিযুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের সরকার নিদারুণ নিষ্ঠুরতাকে অভিযুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের সরকার তার নাগরিকদের রক্ষা করার জন্য শক্তিশালী ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে যেখানে একই সময়ে পশ্চাৎমুখী নতজানু প্রভাবশালী পশ্চিম পাকিস্তানী সরকারকে শান্ত করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে যেকোন ন্যায্য নেতিবাচক আন্তর্জাতিক জনসংযোগের চাপ হ্রাস করতে সচেষ্ট থেকেছে। আমাদের সরকার এমন প্রমাণিত হয়েছে যাকে অনেকেই মানসিক দেউলিয়া বিবেচনা করবে, কিন্তু আমরা বেছে নিয়েছি মধ্যস্থতা না করা, এমনকি মানসিকভাবে, আওয়ামী দ্বন্দ্বের ক্ষেত্রে, যাতে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বহুল শ্রমসাধ্য পরিভাষা ‘গণহত্যা’ প্রযোজ্য হয়, এটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের পরিষ্কার অভ্যন্তরীণ বিষয়। আর এর ফলে সাধারণ আমেরিকানরা চরম বিরক্তি প্রকাশ করেছে। আমরা পেশাদার বেসামরিক চাকুরে হিসেবে, বর্তমান কূটনীতির সাথে আমাদের ভিন্নমত প্রকাশ করি। মনেপ্রাণে চাই যে আমাদের সত্যিকার এবং স্থায়ী স্বার্থ এখানে চিহ্নিত হবে এবং আমাদের কূটনীতি পুনর্নির্ধারিত হবে।
×