ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সৌদি আরব বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারক দেশ ॥ আইএইচএসের প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ০৪:০২, ৯ মার্চ ২০১৫

সৌদি আরব বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারক দেশ ॥ আইএইচএসের প্রতিবেদন

সৌদি আরব গত বছর ভারতকে টপকে বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরান যেভাবে নিজের প্রভাব বলয় বাড়িয়ে চলেছে তা বিবেচনায় রেখে তেল সমৃদ্ধ দেশটি সম্ভবত প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়িয়ে চলেছে। খবর ওয়েবসাইটের। গত বছর সৌদি আরবের অস্ত্র আমদানি ব্যয় ৫৪ শতাংশ বেড়ে সাড়ে ছয় শ’ কোটি ডলার হয়। একই সময় ভারত আমদানি করেছে ৫৮০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অস্ত্র। যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোভিত্তিক বিশ্বের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কিত গবেষণা সংস্থা আইএইচএস রবিবার প্রকাশিত তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর দেয়। প্রতিবেদন প্রণয়নকারী বেন মোরেস অস্ত্র আমদানির ক্ষেত্রে সৌদি আরব যেভাবে ব্যয় বাড়িয়েছে তা এক কথায় নাটকীয়। এছাড়া এ খাতে দেশটির আমদানি ব্যয় কমার কোন সম্ভাবনা নেই বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। মোরেস আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক সংঘাত বাড়ছে এবং একই সঙ্গে এ অঞ্চলে তেলও রয়েছে, কাজেই এখানকার দেশগুলো অস্ত্র আমদানি অব্যাহত রাখবে। এতে আরও উল্লেখ করা হয় চলতি বছরে সৌদি অস্ত্র আমদানি ৫২ শতাংশ বেড়ে ৯৮০ কোটি ডলারে পৌঁছবে। যার অর্থ অস্ত্র কেনার জন্য বিশ্বে ব্যয় করা সাত ডলারের মধ্যে এক ডলার ব্যয় করবে সৌদি আরব। এ ছাড়া শীর্ষ অস্ত্র আমদানিকারক দেশের মধ্যে পাঁচটিই মধ্যপ্রাচ্যের। প্রতিবেদনে পূর্বাভাস করা হয়েছে, আগামী এক দশকে মধ্যপ্রাচ্যে ১১ হাজার কোটি ডলারের অস্ত্রের বাজার তৈরি হবে। মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র বিক্রির প্রধান সুফলভোগী আমেরিকা। গত বছর মধ্যপ্রাচ্যে ৮৪০ কোটি ডলারের অস্ত্র রফতানি করেছে ওয়াশিংটন। ২০১৩ সালে এর পরিমাণ ছিল ৬০০ কোটি ডলার। ইরান ছাড়া গত বছর ইসলামিক স্টেট বা আইএসের উত্থান সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর আরেকটি কারণ। চরমপন্থী গ্রুপ আইএসকে ইরান ও সৌদি আরব উভয় দেশই নিজেদের শত্রু বিবেচনা করে থাকে। আইএসের মোকাবেলায় সৌদি আরবের ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা প্রয়োজন। কিন্তু প্রতিরক্ষা ব্যয় এভাবে বাড়িয়ে চলা সৌদি আরবের জন্য কূটনৈতিক সঙ্কট তৈরি করতে পারে বিশ্লেষকরা মনে করেন। ২০১৪ সালে বিশ্বে অস্ত্র আমদানিতে শীর্ষে ছিল সৌদি আরব; এরপর ভারত, চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তাইওয়ান, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও তুরস্ক। অন্যদিকে শীর্ষ রফতানিকারক ছিল যুক্তরাষ্ট্র, তারপর রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, ইসরাইল, চীন, স্পেন ও কানাডা।
×