ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বাঁচা-মরার লড়াই ॥ মরগান

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ৮ মার্চ ২০১৫

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বাঁচা-মরার লড়াই ॥ মরগান

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে হলে বাংলাদেশের সামনে যতটা সহজ হিসাব আছে, ইংল্যান্ডের সামনে অনেক কঠিন হিসাব। বাকি থাকা দুই ম্যাচের যে কোন একটিতে (ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড প্রতিপক্ষ) জিতলেই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যাবে বাংলাদেশ। কিন্তু নক আউট পর্বে জায়গা করে নিতে হলে ইংল্যান্ডকে পরের দুই ম্যাচে (বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান প্রতিপক্ষ) জিততেই হবে। ইংলিশদের সামনে এর কোন বিকল্প পথ খোলা নেই। শুধু ইংল্যান্ডের সামনে প্রতিপক্ষ সহজ, বাংলাদেশের সামনে কঠিন। এটিই যেন ইংল্যান্ডকে প্রেরণা দিচ্ছে। যদি বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতে যায় ইংল্যান্ড, তাহলে আফগানিস্তানকেও হারাবে; তা বোধগম্যই। সেক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশ হারতেই পারে। এ হিসাবই ইংল্যান্ডকে একটু এগিয়ে রাখছে। সেই হিসাবে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় ছাড়া কিছুই ভাবছেন না ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ন মরগান। যেভাবেই হোক জয় চাই মরগানের। চার ম্যাচে মাত্র ১টি জয় পাওয়ায় এখন গ্রুপ পর্বের শেষ দুটি ম্যাচে ইংল্যান্ডের জয় লাগবেই। তাই মরগান বলেছেন, ‘যখন একটি দল হারার মধ্যে থাকে, হাজারো রকম কথা হয়। সমালোচনা হয়। সেরা উপায়টি হচ্ছে কোন কথায় কানে না দিয়ে শুধু সামনের দিকটি নিয়ে ভাবা। আমরা তাই করছি। যদি আমরা জিতি তাহলেই সব সমালোচনা বন্ধ হয়ে যাবে। সেটিই চাই। প্রশ্ন অনেক উঠবে। কিন্তু উত্তর আছে আমাদের কাছে। এ জন্য জয়ের বিকল্প নেই।’ এখন পর্যন্ত ইংল্যান্ড যেভাবে খেলেছে, তাতে শুধু স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেই জয় মিলেছে। মরগান কোনভাবেই সেই খেলার ধরন পরিবর্তন করার পক্ষে নন। বলেছেন, ‘আমরা নিজেদের ধরন অনুযায়ীই খেলি। তা খেলেই যাব। সাধারণভাবে যেভাবে খেলা উচিত, সেভাবেই খেলব। কোন কিছুই পরিবর্তন করার প্রয়োজন নেই।’ ইংল্যান্ড যেন শেষ ম্যাচটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই সবচেয়ে বড় ধাক্কাটি খেয়েছে। ৩১০ রান টার্গেট দিয়েও জয় তুলে নিতে পারেনি। দলটি যতটানা বিধ্বস্ত ছিল, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি হারের পর যেন আত্মবিশ্বাসে আরও বেশি করে চিড় ধরেছে। মরগান অবশ্য সেই দিকগুলো নিয়ে ভাবছেন না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যেসব ইতিবাচক দিক ছিল, তাই কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন। বলেছেন, ‘ছেলেরা এখন অনেক রিল্যাক্স। একসপ্তাহের মতো বিরতি পেয়েছে। ভাবার সময় পেয়েছে যে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে কী ভুল হয়েছে। তা শুধরেও নিয়েছে। এখন শুধু ইতিবাচক দিকগুলো নিয়েই ভাবা হচ্ছে। যে বিরতি মিলেছে, সেটি দলকে আরও চাঙ্গা করেছে। ইংল্যান্ড আবার জয়ের ধারায় ফিরবে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩০০ রানের বেশি করা একটি ইতিবাচক দিক। জো রুটের শতক ছিল অসাধারণ। শেষ ১০ থেকে ১২ ওভারে যে ব্যাটিং হয়েছে সেটিও প্রেরণা দিতে পারে। আমরা এখন বোলিং নিয়েই কাজ করছি।’ ইংল্যান্ড এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৫টি ওয়ানডে খেলেছে। জিতেছে ১৩টি ম্যাচে। হেরেছে ২টিতে। শেষ তিনবারের লড়াইয়ে দুটিতেই হেরেছে ইংল্যান্ড। এর মধ্যে ২০১১ সালের বিশ্বকাপেই সর্বশেষ হারটি হয়েছে। এ বিষয়টি ইংল্যান্ডকে ভাবিয়ে তুলেছে। তবে বড় দল যে কোন মুহূর্তে যে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সেটিই এখন সবার ভাবনায় আছে। মরগানও যেন সেই দিকেই ইঙ্গিত করতে চাইছেন। বলেছেন, ‘আমরা পরের দুটি ম্যাচে কিভাবে জিততে পারি, তাই নিয়ে ভাবছি। এ্যান্ডারসন ও ব্রড অসাধারণ বোলার। কিন্তু যে ধারাবাহিকতা তা যথেষ্ট নয়। সেই দিকগুলো নিয়ে ভাবছি। শুরুতে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভাল করা যায়নি। সবকিছুই পারফর্মেন্সের ওপর নির্ভর করছে। এ দলে সব ক্রিকেটারই খারাপ নয়। ভাল ক্রিকেটার আছে। কিন্তু জ্বলে উঠতে পারছে না। তবে সবারই সামর্থ্য আছে সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করার।’ দেখা যাক, এখন ইংল্যান্ড কতটা ঘুরে দাঁড়ায়।
×