ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আয়ারল্যান্ড ও পাকিস্তানের নাটকীয় জয়

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ৮ মার্চ ২০১৫

আয়ারল্যান্ড ও পাকিস্তানের নাটকীয় জয়

মিথুন আশরাফ ॥ বিশ্বকাপে শনিবার দুটি ম্যাচ হলো। অকল্যান্ডে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আফ্রিকাকে বৃষ্টি আইনে ২৯ রানে হারাল পাকিস্তান। জিম্বাবুইয়েকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে ৫ রানে হারাল আয়ারল্যান্ড। জয়ে পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন বেঁচে থাকল। হেরেও দক্ষিণ আফ্রিকার অবস্থান তাই থাকল। তবে জিম্বাবুইয়ে বিদায় নিল। অকল্যান্ডে টস জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। পাকিস্তান সুযোগটি পেয়ে কাজে লাগাতে পারেনি। মিসবাহ উল হকের ৫৬ ও সরফরাজ আহমেদের ৪৯ রানে ৪৬.৪ ওভারে ২২২ রান করতেই অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। ডেল স্টেইন ৩ উইকেট নেন। বৃষ্টি ম্যাচে ব্যাঘাত ঘটালে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ৪৭ ওভারে জিততে ১০ রান বেড়ে গিয়ে ২৩২ রানের টার্গেট দাঁড় হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটসম্যানরা কী যে পাগলামি শুরু করলেন, শুরু থেকেই বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকেন। এর খেসারতও দিতে হয় প্রোটিয়াদের। অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স ৭৭ রান করেন। কিন্তু ম্যাচে জয়ের কাছাকাছি গিয়ে তার আউটেই দক্ষিণ আফ্রিকার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। যেখানে ধীরে ধীরে ধৈর্য্য ধরে এগিয়ে গেলেই জয় তুলে নেয়া যেত। সেখানে পাগলামি করে খেলতে গিয়ে হার হয় দক্ষিণ আফ্রিকার। শেষপর্যন্ত ৩৩.৩ ওভারে ২০২ রান করতেই অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। মোহাম্মদ ইরফান, রাহাত আলী ও ওয়াহাব রিয়াজ ৩টি করে উইকেট নেন। তবে ১ উইকেট নেয়া সোহেল খান আসল কাজটি করেন। ভিলিয়ার্সকে আউট করেন। ৪৯ রান করার সঙ্গে অভিষেকেই উইকেটরক্ষক সরফরাজ ৬টি ক্যাচ ধরায় ম্যাচ সেরা হন। অকল্যান্ডে যখন দক্ষিণ আফ্রিকার এমন অবস্থা, তখন আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুইয়ে ম্যাচে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। এড জয়েসের ১১২ ও এন্ডি বালবিরনির ৯৭ রানে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৩১ রান করে আয়ারল্যান্ড। এ রান করেও হারতে যাচ্ছিল আইরিশরা। টেন্ডাই চাতারা ৩ উইকেট নেন। ব্রেন্ডন টেইলর আবার স্বরূপে ফেরেন। ১২১ রান করেন। শিন উইলিয়ামসের ব্যাট থেকে আসে ৯৬ রান। সেঞ্চুরির জবাবে সেঞ্চুরি। নার্ভাস নাইনটিজের জবাবে নার্ভাস নাইনটিস হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় পায় আয়ারল্যান্ডই। ৬ বলে জিম্বাবুইয়ের জিততে লাগবে ৭ রান। এমন মুহূর্তে জিম্বাবুইয়ের হাতে থাকে ২ উইকেট। প্রথম বলে কুস্যাকের বলে চাকাবভা আউট হয়ে যান। এরপর যখন ৫ বল তখন জিততে লাগে ৭ রানই। ১ রান নেয় জিম্বাবুইয়ে। ৪ বলে তখন জিততে দরকার ৬ রান। শেষ ওভারের তৃতীয় বলে কুস্যাকের বলে মুপারিওয়া আউট হয়ে যান। আইরিশরা চরম উত্তেজনাকর ম্যাচে জয় তুলে নেয়। ৪৯.৩ ওভারে ৩২৬ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুইয়ে। জয়েশ ম্যাচ সেরা হন। জয় পেয়ে ৪ ম্যাচে ১ হারের বিপরীতে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আয়ারল্যান্ড কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার আশা জিইয়ে রাখে। ৫ ম্যাচে ১ জয়ের বিপরীতে ৪ হারে জিম্বাবুইয়ের বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায়। পাকিস্তান জয়টি পেয়ে ৫ ম্যাচে ২ হারের বিপরীতে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট পায়। দক্ষিণ আফ্রিকার হারলেও কোয়ার্টার ফাইনালে আশা আছে। ৫ ম্যাচে ২ হারের বিপরীতে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট আছে দক্ষিণ আফ্রিকার।
×