ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জামায়াতপন্থী বিদ্যুত কর্মীর খুঁটির জোর কোথায়?

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ৮ মার্চ ২০১৫

জামায়াতপন্থী বিদ্যুত কর্মীর খুঁটির জোর কোথায়?

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ ময়মনসিংহ বিদ্যুত বিভাগে কর্মরত ক্ষমতাধর এক জামায়াত কর্মীকে টাঙ্গাইলে স্ট্যান্ড রিলিজের ১৪ দিনের মাথায় আদেশ বাতিল করে ফের ময়মনসিংহে বদলি হয়ে আসায় স্থানীয় বিদ্যুত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে জামায়াতের সাবেক রোকন এ বিদ্যুত কর্মীর খুঁটির জোর কোথায়? আলোচিত তৃতীয় শ্রেণীর এ বিদ্যুত কর্মীর নাম আবু তাহের। হালুয়াঘাটে কর্মরত অবস্থায় এ কর্মচারীর বিরুদ্ধে জামায়াত শিবিরের অর্থের যোগানদাতা ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকা-ে জড়িত থাকার অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ খান। বিদ্যুত বিভাগের ময়মনসিংহের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে পাঠানো এ অভিযোগের ওপর আবু তাহেরকে অন্যত্র বদলির জন্য ধর্মমন্ত্রীর সুপারিশ ছিল। স্থানীয় সূত্র জানায়, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের আবু তাহের জিয়া সরকার আমলে রাঙামাটি ঠিকানায় বিদ্যুত বিভাগে নৈশ প্রহরী হিসেবে যোগদান করেন। অভিযোগ রয়েছে, ওই সময়ে স্থায়ী ঠিকানা গোপন করে আবু তাহের চাকরি নিয়ে ১৯৯৩ সালের বিএনপি সরকার আমলে নৈশ প্রহরী থেকে এলডিএ পদে পদোন্নতি লাভ করেন। বিদ্যুত বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দাবি, নৈশ প্রহরী থেকে এলডিএ পদে পদোন্নতির কোন সুযোগ নেই। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার মেয়াদে রাজধানী ঢাকায় দাপটের সঙ্গে চাকরি করেন। গত ২০১৩ সালে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট বিদ্যুত সরবরাহ বিভাগে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে যোগদানের পর থেকেই বিদ্যুত বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্দেহ হয়। জামায়াত-শিবিরের কানেকশন অভিযোগে চলতি সালের গত ৪ ফেব্রুয়ারি আবু তাহেরকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বদলি করা হয়। কিন্তু এর মাত্র ১৪ দিনের মাথায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি স্ট্যান্ড রিলিজ আদেশ বাতিল করে ময়মনসিংহের ফুলপুর বিদ্যুত বিভাগে যোগ দেন। প্রচার রয়েছে জাতীয় বিদ্যুত শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি জহিরুল ইসলাম চৌধুরীর সহায়তায় আবু তাহের স্ট্যান্ড রিলিজ আদেশ ঠেকাতে সমর্থ হন। আবু তাহের জনকণ্ঠের কাছে সিবিএ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি জহিরুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা স্বীকার করলেও জামায়াত-শিবির কানেকশনের কথা অস্বীকার করেছেন।
×