ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এসপি কিছু জানেন না

যশোরে তরিকুলসহ ছয় নেতার বাড়িতে ৩০ বোমা হামলা

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ৭ মার্চ ২০১৫

যশোরে তরিকুলসহ ছয় নেতার বাড়িতে ৩০ বোমা হামলা

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামসহ যশোর জেলা বিএনপির শীর্ষ ছয় নেতার বাড়িতে অন্তত ৩০টি বোমা হামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এ হামলায় বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম ও সাবেরুল হকের বাড়ির জানালার কাচ ভেঙ্গে গেছে। অন্যদের বাড়ির কোন ক্ষতি হয়নি। তবে যশোরের পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান এ ধরনের কোন তথ্য জানেন না বলে জানিয়েছেন। বিএনপি নেতা, এলাকাবাসী ও নৈশপ্রহরী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে প্রায় একই সময়ে বিএনপির নেতাদের বাড়িতে এ সব হামলার ঘটনা ঘটে। প্রথমে শহরের চৌরাস্তা এলাকায় জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রয়াত শহিদুল ইসলাম নয়ন চৌধুরীর ছেলে রফিকুল ইসলাম চৌধুরীর বাড়িতে বোমা হামলা করে দুর্বৃত্তরা। তারা ৮-১০টি মোটরসাইকেলে এসে ১০টি বোমা হামলা করে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পরে শহরের ঘোপ এলাকার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেকমন্ত্রী তরিকুল ইসলামের বাসভবনে বোমা হামলা করা হয়। তরিকুল ইসলামের স্ত্রী, জেলা বিএনপির সদস্য অধ্যাপিকা নার্গিস বেগম মুঠোফোনে জানান, রাতে বাড়িতে তিনি একা ছিলেন। রাত আনুমানিক একটার দিকে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় পরপর অন্তত পাঁচটি বোমা ছুড়ে মারা হয়। তিনি আরও বলেন, তাদের দুই তলার ডাইনিং রুমে গ্লাস দেয়া। বোমার আঘাতে এগুলো ভেঙ্গে গেছে। ঘরের মধ্যে বোমার জালের কাঠি পড়ে রয়েছে। এরপর বোমা হামলা হয়েছে উপশহর এলাকার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর বাড়িতে। দুর্বৃত্তরা বাড়িতে বোমা নিক্ষেপ করে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা মিরাজুল কবীর টিটো জানান, ১০টি মোটরসাইকেলে রাত একটার পরপরই ২৫-২৬ জন এসে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর বাসভবনে বোমা হামলা করে। এতে জানালার কাচ ভেঙ্গে গেছে। দেয়ালের চারটি স্থানে বোমার আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের বাসভবন, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের বাসভবন ও নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুনির আহম্মদ সিদ্দিকীর বাসভবনেও বোমা হামলা করা হয়েছে বলে বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান। তবে যশোরের পুলিশ সুপার (এসপি) আনিছুর রহমান জানান, এ ধরনের কোন তথ্য তার জানা নেই। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গণমাধ্যমে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে এসপি বলেন, ‘আমি সেটা জানি না।’ আর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আক্কাস আলীর সরকারী দাফতরিক মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করেন ওসি (তদন্ত) গণি মিয়া। তিনিও কিছুই জানেন না উল্লেখ করে বলেন, ওসি স্যারের ফোন তো আমার কাছে রয়েছে। এ ধরনের কোন মেসেজ তো আসেনি। এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলামের মালিকানাধীন দৈনিক লোকসমাজের সাংবাদিকরা। পত্রিকাটির প্রকাশক তরিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সম্পাদক নার্গিস বেগমসহ সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দাবি করা হয়েছে।
×