ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পার্বতীপুরে পৌরসভার টেন্ডার ফেলতে বাধা ॥ অভিযোগ ঠিকাদারদের

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ৭ মার্চ ২০১৫

পার্বতীপুরে পৌরসভার টেন্ডার ফেলতে বাধা ॥ অভিযোগ ঠিকাদারদের

নিজস্ব সংবাদদাতা, পার্বতীপুর, ৬ মার্চ ॥ পার্বতীপুর পৌরসভায় প্রায় ৮ লাখ টাকা কাজের টেন্ডারে অংশ গ্রহণে বাধা দেয়ার অভিযোগ করেছেন মোঃ ফয়জার রহমান, মাসুদুল আলম বাবুসহ অনান্য ক্ষতিগ্রস্ত ঠিকাদারগণ। তাঁরা বলেছেন বাধার মুখে নির্ধারিত দিনে তারা দরপত্র টেন্ডার বাক্সে ফেলতে পারেননি। মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী নামে পরিচিত আবু এহিয়াকে কাজটি পাইয়ে দিতে একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট ঘটনাটি ঘটিয়েছে। টেন্ডারে অংশগ্রহণকারীরা ছাড়াও তালিকাভুক্ত অন্য ঠিকাদারদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে এখানে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। মেয়রের নিজস্ব লোক ছাড়া পৌরসভায় কোন ঠিকাদার কাজ করতে পারে না। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের ৭ লাখ ৮১ হাজার ৬২০ টাকা বরাদ্দে পৌরসভার গ্রোথ সেন্টারে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ ও এনভায়রনমেন্টাল স্যানিটেশন (২য় পর্ব) প্রকল্পের আওতায় ২৫টি অগভীর তারা নলকূপ ৯টি ওয়ার্ডে স্থাপন কাজ বাস্তবায়ন করছে পার্বতীপুর পৌরসভা। ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দরপত্র বিক্রি হয় ২২টি । তবে দরপত্র গ্রহণের টেন্ডার বাক্সে পাওয়া যায় চারটি সিডিউল। এরা হলো মেসার্স ইভা এন্টাপ্রাইজ, প্রোঃ আবু এহিয়া, মেসার্স ফুয়াদ এন্টাপ্রাইজ প্রোপ্রাইটার মারিহা বেগম. নিশাদ এন্টারপ্রাইজ প্রোঃ আরসাদ আলী ও রবিউল ইসলাম বাবু। অনুসন্ধানে জানা গেছে এই সিডিউল ৪টি মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী আবু এহিয়ার। তিনি নিজে ও তার স্ত্রী মারিহা বেগম ও অন্য দুই নামে মোট ৪টি সিডিউল কিনেছেন। ঠিকাদার আবু এহিয়া বলেছেন, তিনি নিজে ১টি ও স্ত্রী মারিহা বেগমের নামে ১টি মোট ২টি সিডিউল তার। যোগাযোগ করলে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মিনারুল ইসলাম খান জানান, ২২টি সিডিউল বিক্রি হয়েছে, তবে টেন্ডার বাক্সে পাওয়া গেছে ৪টি । এগুলোর সিএস হয়েছে। মেয়র এ জেড এম মেনহাজুল হক জানান, বিধি ও নিয়মানুযায়ী টেন্ডারের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। চলতি মাসেই টেন্ডার কমিটির মিটিংয়ে অনুমোদনের পর সিদ্ধান্ত হবে।
×