ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাগরে অনুসন্ধান বিষয়ে জানা গেছে অনেক কিছু

প্রকাশিত: ০৫:০৩, ৭ মার্চ ২০১৫

সাগরে অনুসন্ধান বিষয়ে জানা গেছে অনেক কিছু

এক বছর পুরো হলো হারিয়ে যাওয়া মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ ৩৭০ কোন হদিস পাওয়া গেল না। এ পর্যন্ত এর ধ্বংসাবশেষেরও কোন চিহ্নের দেখা মেলেনি। তবে বিশ্বের দুর্গম এলাকাটিতে দিনের পর দিন পরিচালিত অনুসন্ধান থেকে অনেক মূল্যবান শিক্ষা অর্জিত হয়েছে যা ভবিষ্যত নিখোঁজ প্লেনের সন্ধানে কাজে লাগবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। খবর এএফপির। গত বছর ৮ মার্চ ভোর রাতে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ওই প্লেনটি ২৩৯ আরোহীসহ কুয়ালালামপুর থেকে বেজিং যাওয়ার পথে মালাক্কা প্রণালী পার হওয়ার পর অজ্ঞাত কারণে নিখোঁজ হয়ে যায়। আরোহীদের ভাগ্যে আসলে কী ঘটেছিল, তাদের স্বজনদের মনে এখনও সেই প্রশ্ন। মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের বোয়িং প্লেনটি নিখোঁজ হওয়ার পর এর সন্ধানে যে বিশাল ও ব্যাপকমাত্রার অনুসন্ধান চলেছে তা আধুনিক বিমান উড্ডয়নের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের উপরিভাগে ও পানির নিচে ১ হাজার ৬শ’ কিলোমিটার (১ হাজার মাইল) এলাকাজুড়ে অস্ট্রেলিয়ার তত্ত্বাবধানে চারটি জাহাজ একটানা অনুসন্ধান চালিয়েছে। এমন দুর্গম এলাকায় চলেছে অভিযান, উপগ্রহের সহায়তায় মানচিত্র তৈরি করা ছাড়া যে স্থান সম্পর্কে আগে কোন ধারণাই ছিল না। অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর প্রধান মার্টিন ডোলান বলেন, ‘এত বিশাল বিস্তৃত এলাকায় আমরা অনুসন্ধান চালিয়েছি যা এক নজিরবিহীন ঘটনা। এর আগে ফ্রান্স নিখোঁজ এয়ার ফ্রান্স ৪৪৭ অনুসন্ধানে যে অভিযান চালানো হয়েছিল তা এর চারভাগের একভাগের চেয়ে বেশি হবে না।’ উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৯ সালের জুনে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো থেকে প্যারিস যাওয়ার পথে এয়ার ফ্রান্সের ৪৪৭ ফ্লাইটটি আটলান্টিকের ওপর বিধ্বস্ত হয়েছিল। কয়েকদিনের মধ্যে এর ধ্বংসাবশেষ মহাসাগরের পানিতে ভেসে ওঠে। ২০১১ সালের মে মাসে সাগরের তলদেশ থেকে এর ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করা হয়। অস্ট্রেলিয়া ও মালয়েশিয়া যৌথভাবে এমএইচ ৩৭০ অনুসন্ধানে ব্যয় করেছে ৯ কোটি ৩০ লাখ ডলার। মার্চ থেকে মে পর্যন্ত দক্ষিণ চীন ও ভারত মহাসাগরের ৬০ হাজার বর্গকিলোমিটার (২৩ হাজার বর্গমাইল) এলাকাজুড়ে চলেছে এই অভিযান। ডোলান বলছেন, এই অভিযানে আমরা এয়ার ফ্রান্স অভিযানে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছি। এবারের অভিযানে যা জানতে পারলাম সেটি পরবর্তীদের জন্য আমরা রেখে যাব। তিনি এ ধরনের অনুসন্ধান কাজের জন্য নতুন প্রজন্মের উদ্ধার যন্ত্র বিশেষ করে সিন্থেটিক এ্যাপারেচার সোনার উন্নয়নের ওপর জোর দেন।
×