ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মুক্তিযোদ্ধা শহীদ পিতার স্বীকৃতি

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৪:৫৯, ৭ মার্চ ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

আমি মাজেদা বেগম। আমার পিতা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সামছুল হক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ডাকে জয় বাংলা ও জয় বঙ্গবন্ধু সেøাগান দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তিনি সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬২৭৪৭৭৪ নং সদস্য। ৩০ মার্চ বিদ্রোহ ঘোষণা করলে, কুমিল্লা সেনানিবাসে সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে শহীদ হন। ঐ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী শহীদের মরদেহ একত্রিত করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। আমার পিতা শহীদ সামছুল হকের মরদেহের সমাধিস্থল বিগত ৪৪ বছরেও অনেক চেষ্টা করেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী চিহ্নিত করতে পারেনি। বিষয়টি অবশ্যই কষ্টকর ও বেদনাদায়ক। আর পিতার মৃত্যুর ছয় মাস পর আমার জন্ম। ফলে আমার পিতাকে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি। আমাকে ও আমার গর্ভধারিণী মাকে যশোর সেনানিবাসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছে। সেনাবাহিনীর স্মরণীয় বিরল অনুষ্ঠানে আমরা অংশগ্রহণ করে এসেছি। কিন্তু ১৯৯০ সালের পর সেনাবাহিনীর কোন অনুষ্ঠানে আমরা আমন্ত্রণ পাইনি। আমার মা ও আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে প্রতিমাসে ৮৪ টাকা শহীদ ভাতা পেয়ে এসেছি। এক পর্যায়ে তা বন্ধ করে দেয়া হয়। স্বাধীনতার পর থেকেই আমার মায়ের কষ্টকর জীবন, জন্মের পর আমার এবং আমার বিয়ের পর আমি ও আমার সন্তানের কষ্টকর জীবন অতিবাহিত করছি। শিশুকালে আমার মাকে আমার শহীদ পিতার প্রাপ্য সম্মান ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি ও অধিকার প্রতিষ্ঠা আদায়ের জন্য আমাকে বুকে নিয়ে বহু জায়গায় ঘুরতে দেখেছি। আমি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর সুদীর্ঘ ২৫ বৎসর যাবত শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে স্বীকৃতি ও আমার পিতার নাম শহীদ মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্তির আপ্রাণ চেষ্টা করছি। আমার পিতা সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন, তাই শহীদ মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত করার দায়িত্ব বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর। যেহেতু আমার পিতা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ হওয়ার সকল তথ্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক সংরক্ষিত। এই তথ্যসমূহ সংগ্রহ এবং তা বাছাই করে যত জরুরী সম্ভব আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের পূর্বেই মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় প্রকৃত শহীদ মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় আমার পিতার নাম অন্তর্ভুক্ত করে, ৪৪ Ÿছরের সকল পাওনাদি ও সম্মানী আমাদের প্রদান করে আমার মা ও আমাকে, আমার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পিতার গর্বিত পরিচয়ে সম্মানের সঙ্গে প্রাণে বেঁচে থাকার অধিকার ও সুযোগ দানের জন্য পদক্ষেপ নেবেন, এটাই প্রত্যাশা। মাজেদা বেগম টাঙ্গাইল। দেশের স্বার্থে দেশের বিরোধিতা! বি.এন.পি-জামায়াতজোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, জনগণের ভাবনায় নয়, জাতীয় স্বার্থে নয় ক্ষমতায় যাবার জন্য, গদির লোভে মরিয়া। অনির্দিষ্ট হরতাল অবরোধ কর্মসূচীতে সহিংস সন্ত্রাস ও নাশকতা চালিয়ে দেশ জাতিকে ধ্বংসের মুখোমুখি অবস্থায় নিয়ে যেতে অনড় তিনি। এটা দেশপ্রেমিক ও গণতন্ত্রকামী মানুষের নেতৃত্ব হতে পারে না। জনগণ রাজনীতর উৎস, দেশটা জনগণের ,দেশটা কারো কাবিনের সম্পদ নয়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলছেন, সন্ত্রাসমুক্ত শান্তিপূর্ণ,সুষ্ঠু নির্বাচন করার যথাযথ সময়ে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন দেয়া হবে। কিন্তু এ নৃশংস কর্মসূচিতে উদভ্রান্তের মত স্বার্থের তৎপরতায় বিএনপি নেত্রী আদাজল খেয়ে নেমেছেন জনগণের মাথায় কুড়াল মারার সিন্ধান্তে। জনগণকে উৎকন্ঠায় রেখে উদভ্রান্ত চেতনায় নাশকতা চালিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া কি সম্ভব হবে? বিএনপি নেত্রীর কাছেই প্রশ্ন রাখছি। স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের মদতে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সহযোগিতায় ধর্মের নামে জঙ্গিবাদ সৃষ্টিতে সহিংস কর্মকান্ডে দেশের মানুষ আজ অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে। নৈরাজ্যকর কর্মসূচিতে প্রমাণ হচ্ছে গদী দখলের লক্ষ্যে তালেবানি কায়দায় কল্পিত সোনার বাংলাকে আফগান বানানোর পরিকল্পনায় এ কর্মকান্ড চলছে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের সমর্থন পাওয়া কখনই সম্ভব নয়, তা দৃঢ় সত্য। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশবাসী জাগ্রত। কাজেই হরতালের প্রেমে নয়, ভয়ে আতংকিত সারা দেশের মানুষ। খালেদা জিয়া বাস্তবতায় ফিরে ১৭ কোটি মানুষের কল্যাণে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণতন্ত্র চর্চায় এ পাশবিক কর্মসূচি বন্ধ করে দেশকে বাঁচানোর পরিকল্পনায় কর্মসূচির প্রত্যাশা করছে শান্তিকামী জনতা। অরবিন্দ ধর নিউটাউন, নেত্রকোনা। দেশবিরোধীরা সক্রিয় ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রজন্মরাও এতদিনে যেন চারদিকে শক্তিশালী হয়ে বসেছে। দেশে-বিদেশে বসে এরা ষড়যন্ত্র করেই চলছে। দেশে হরতাল-অবরোধে যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছেÑ এজন্য ওরাই দায়ী। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকা-ের পরেই জেনারেল জিয়ার শাসনামল থেকে স্বাধীনতা বিরোধীরা রাজনীতি করার অধিকার পেয়ে পুনঃমাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। পর্যায়ক্রমে তাদের প্রজন্মরাও সরকারী প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ পায় বলেও অভিযোগ রয়েছে। দেশকে আজ অস্থিতিশীল করার জন্য ওরাই মূলত দায়ী। উদ্দেশ্যÑ কী করে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বন্ধ করে ঘাতকদের বাঁচানো যায়। হরতাল-অবরোধে ওদের ইন্ধনেই ইতোমধ্যে পেট্রোলবোমায় শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। দেশের সম্পদও ওরা নষ্ট করেছে বা করতে উৎসাহিত করেছে। স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রজন্ম কে কোথায় আছে এটা এখনই খুঁজে বের করে ওদের তালিকাও তৈরি রাখা প্রয়োজন। প্রয়োজনে ওদেরও নজরদারিতে রাখতে হবে। কেননা, এদের বিশ্বাস করতে নেই। এরা আজও বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। একাত্তরের ঘাতক ও তাদের প্রজন্মরা যাতে বাংলাদেশে আর ঠাঁই না পায় এ জন্যÑ কোথাও এদের নিয়োগ প্রদান করা ঠিক হবে না। ঘাতকদের কোন প্রজন্ম যদি তথ্য গোপন করে ঘাপটি মেরে সরকারী কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যে নিয়োগ পেয়ে থাকে, তাহলে তাদের অবিলম্বে বাধ্যতামূলকভাবে অবসর দেয়া যেতে পারে। লিয়াকত হোসেন খোকন ঢাকা। আসুন দেশ গড়ি আমরা এই দেশ ধ্বংস করতে জন্মাইনি, আমরা জন্মেছি এই দেশ গড়তে। আসলে হরতাল, অবরোধ, দেশ ধ্বংস করার খেলা। যারা হরতাল করে, অবরোধ করে, তারা দেশ ও জনগণের শত্রু। এখন আমাদের সময় দেশ গড়ার। দেশ ও জনগণকে স্বাবলম্বী করতে হলে দেশে প্রচুর পরিমাণে কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে, সরকারী, বেসরকারী সব পর্যায়ে। দেশের জনগণ যদি দেশে কাজকর্ম করে তাহলে এই দেশ ও জনগণ দ্রুত স্বাবলম্বী হবে। দেশ ও জনগণকে আত্মনির্ভরশীল করতে হলে এর বিকল্প কোন উপায় নেই।নতুবা সারাজীবন দেশ ও জনগণ পরনির্ভরশীলই থেকে যাবে। নয় তো সারাজীবন এ দেশের জনগণের বিদেশী সহযোগিতার আশায় থাকতে হবে। তাই আসুন দেশজুড়ে কর্মসংস্থান গড়ে তুলি, দেশের জনগণকে দেশে কাজকর্ম করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেই, দেশ এবং মহাবিশ্বের সর্ব মানুষের কল্যাণে। দিপু প্রামাণিক ঢাকা।
×