ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যশোরে আড়ালেই রয়ে গেল ঘাতক চক্র

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ৬ মার্চ ২০১৫

যশোরে আড়ালেই রয়ে গেল ঘাতক চক্র

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ আজ ৬ মার্চ যশোরের উদীচী হত্যাযজ্ঞের ১৬তম বার্ষিকী। ১৯৯৯ সালের এ দিনে টাউন হল মাঠে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনে বর্বরোচিত বোমা হামলায় চালানো হয়। এতে নিহত হন নূর ইসলাম, নাজমুল হদা তপন, সন্ধ্যা রাণী ঘোষ, ইলিয়াস মুন্সী, শাহ আলম বাবুল, বাবুল সূত্রধর, শাহ আলম, বুলু, রতন রায় ও রামকৃষ্ণসহ ১০ জন। আহত হন দু’শতাধিক নারী পুরুষ। কিন্তু নারকীয় এ হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় গত ১৬ বছরেও দোষীদের চিহ্নিত করা যায়নি। এ দিনটি সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কলঙ্কিত দিন হিসেবে চিহ্নিত করে প্রতিবছরের মতো এবারও শহীদদের স্মরণে নানা কর্মসূচী গ্রহণ করেছে উদীচী যশোর। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে শহীদের প্রতি স্মরণসভা, মশাল প্রজ্জ্বলন ও প্রতিবাদী গানের অনুষ্ঠান। আদালত সূত্র মতে, উদীচী ট্রাজেডি মামলায় ১৯৯৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামসহ ২৪ জনের নামে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। এ সময় তরিকুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট তার নাম বাদ দেন। পরে ২০০৬ সালের ৩০ মে যশোরের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালত ২৩ আসামিকে বেকসুর খালাস দেন। এরপর ন্যায়বিচার পেতে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পুনর্তদন্তের আবেদন করলে মামলাটি বর্ধিত তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় সিআইডিকে। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে হরকাতুল জেহাদ নেতা মুফতি হান্নান গ্রেফতার হলে ওই বছরের ১৯ নভেম্বর আদালতে উদীচী বোমা হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তার স্বীকারোক্তিতে পুলিশ হরকাতুল জেহাদের সদস্য বরিশালের আবুল হোসেন ও মাদারীপুরের মাওলানা আবদুর রউফকে আটক করে। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বধীন মহাজোট সরকারের দায়িত্ব পেলে ২০০৬ সালে নি¤œআদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপীল করা হয়। এর প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত মামলার খালাসপ্রাপ্তদের পুনরায় আত্মসমর্পণের জন্য সমন জারির নির্দেশ দেন। এ সংক্রান্ত একটি আদেশ ২০১১ সালের ২০ জুন যশোর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এসে পৌঁছায়। এরপর ২১ জুন খালাসপ্রাপ্ত ২৩ আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন। পরে আর মামলার কার্যক্রম এগোয়নি।
×