ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা-টাঙ্গাইল চার লেন সড়কের কাজ শুরু হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ৬ মার্চ ২০১৫

ঢাকা-টাঙ্গাইল চার লেন সড়কের কাজ শুরু হচ্ছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর, ৫ মার্চ ॥ দ্রুত শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ফোর লেন প্রকল্পের কাজ। এ কাজ শুরু করতে জমি অধিগ্রহণের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়। চলছে টেন্ডার প্রক্রিয়য়ার চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ, প্রকল্প ম্যানেজার (টাঙ্গাইল অংশ) মোঃ জিকরুল হাসান এ তথ্য জানিয়েছেন। এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশ দিয়ে রাতারাতি গড়ে ওঠা ঘরবাড়ি এখনও সরিয়ে নেয়া হয়নি। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ফোরলেন প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ করতে ক্ষতিপূরণ বাবদ সরকারের কাছ থেকে অধিক পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিতে জমির মালিক ও দালালচক্র এই কাঁচাপাকা ঘরবাড়ি নির্মাণ করে। যমুনা সেতু সংযোগ সড়ক ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশ দিয়ে নিম্নœমানের কাঠ, বাঁশ ও টিন দিয়ে যত্রতত্র ঘরবাড়ি নির্মাণের নামে জঞ্জাল সৃষ্টি করায় একদিকে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কটি শ্রীহীন হয়ে পড়েছে। অপরদিকে অনেক ফসলী জমিও অনাবাদী রয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা সাসেক সংযোগ সড়কের ফোরলেন প্রকল্পের কাজে জমি অধিগ্রহণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ফোর লেন কাজে টেন্ডার প্রক্রিয়াও প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়। জমি অধিগ্রহণের খবর জানাজানি হওয়ার পর জমির মালিক ও দালালচক্র মিলে অধিক ক্ষতিপূরণ হাতিয়ে নিতে এক বছর আগে মহাসড়কের পাশ দিয়ে আবাদী জমি নষ্ট করে রাতারাতি নিম্নমানের কাঠ, বাঁশ ও টিন দিয়ে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে। অনেক দালালচক্র সরকারের টাকা হাতিয়ে নিতে জমির মালিকদের কাছ থেকে ১৫শ’ টাকা শতাংশ করে জমি ভাড়া নিয়ে মহাসড়কের পাশ দিয়ে রাতারাতি এই নিম্নমানের ঘরবাড়ি নির্মাণ করেন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মির্জাপুরের মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে গত ডিসেম্বরের মধ্যে এ জঞ্জাল নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এছাড়া যারা মহাসড়কের পাশ দিয়ে রাতারাতি ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছেন, তারা ক্ষতিপূরণ বাবদ কোন টাকা পাবে না বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। সাসেক’র প্রকল্প ম্যানেজার (টাঙ্গাইল অংশ) মোঃ জিকরুল হাসান বলেন, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ফোরলেন প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ ও টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়। তাড়াতাড়ি শুরু হবে এ প্রকল্পের কাজ। অধিক ক্ষতিপূরণ পাওয়ার লোভে যারা রাতারাতি মহাসড়কের পাশে ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছেন সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ফোরলেন প্রকল্পে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে প্রকৃত ক্ষতিপূরণ পায় সেজন্য আমরা সচেষ্ট আছি। লোভের বশীভূত হয়ে যারা ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছেন তাদের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সুযোগ নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
×