ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গ্রেফতার না সারেন্ডার

খালেদাকে নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন

প্রকাশিত: ০৯:১৯, ৪ মার্চ ২০১৫

খালেদাকে নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন

আরাফাত মুন্না ॥ দুর্নীতির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলেও তিনি কি আজ আদালতে যাচ্ছেন? কখনও বলা হচ্ছে, খালেদা জিয়া আত্মসমর্পণ করবেন না, আবার কখনও বলা হচ্ছে, যথাযথ নিরাপত্তা ও গুলশানের কার্যালয়ে ফেরার আশ্বাস পেলে খালেদা জিয়া আত্মসমর্পণ করতে পারেন। সরকারের পক্ষ থেকেও খালেদাকে গ্রেফতারের বিষয়ে সুস্পষ্ট কোন বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে না। এখন জনমনে একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, আজ কি ঘটছে খালেদা জিয়ার ভাগ্যে? তিনি কি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করবেন, নাকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেফতার করবে, নাকি কোনটিই নয়? এদিকে আজ বুধবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানির জন্য নির্ধারিত দিন। এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদাসহ তিন আসামির জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন এই আদালত। ওইদিন আদেশে ৪ মার্চ তাদের আদালতে হাজিরেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হচ্ছে, এখনও সেই পরোয়ানার কপি পাননি তারা। সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতেও পরোয়ানার কপি পৌঁছেছে বলে স্বীকারোক্তি পাওয়া যায়নি। তবে আদালত সূত্র বলছে, আদালত থেকে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে গ্রেফতারি পরোয়ানার কপি পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতেও পরোয়ানার অনুলিপি পাঠানো হয়েছে বলে আদালত সূত্র জানিয়েছে। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির চার দিন পর রবিবার অন্য একটি মামলায় খালেদার জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে তল্লাশি চালানোর পরোয়ানা জারি করা হয়। তবে গ্রেফতারি পরোয়ানা এখনও হাতে পাননি বললেও তল্লাশি চালানোর পরোয়ানা ইতোমধ্যে হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার চৌধুরী লুৎফুল কবির। আইনজ্ঞরা বলছেন, কোন মামলার আসামি যদি আদালতে উপস্থিত না থাকেন তাহলে সাধারণত মামলার কার্যক্রমও চালানো যায় না, তবে কোন আসামি যদি পলাতক থাকেন তবে মামলা পরিচালনা করতে আইনগত কোন বাধা থাকে না। তাই বিচারকার্যক্রম পরিচালনার জন্য খালেদাকে পলাতক প্রমাণের জন্যই এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। এদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের ডাকা ৭২ ঘণ্টার হরতাল আরও ৪৮ ঘণ্টা বাড়িয়ে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত করা হয়েছে। এর ফলে নিজের দলের ডাকা হরতাল ভেঙ্গে বিএনপি চেয়ারপার্সন আদালতে যাবেন কি না, সে বিষয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এর আগে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর বাংলাদেশ সফরের সময় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করার কথা থাকলেও নিজের দলের হরতাল থাকায় প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে সাক্ষাত করেননি তিনি। গ্রেফতার আশঙ্কা গুলশান কার্যালয়ে ॥ খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হতে পারে এমন আশঙ্কায় মঙ্গলবার গুলশানে কার্যালয়ে অবস্থানকারীদের মধ্যে টেনশন লক্ষ্য করা গেছে। কার্যালয়ের ভেতরে থেকে কেউ কেউ এ বিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নেয়ার চেষ্টা করেছেন বলে কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। গ্রেফতার ঠেকাতে দৌড়-ঝাঁপ খালেদার আইনজীবীদের ॥ গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার করা আবেদনের শুনানি হবে আজ বুধবার। মঙ্গলবার খালেদার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের কাছে এ আবেদন করলে বিচারক বুধবার শুনানির দিন ঠিক করে দেন। পরে সানাউল্লাহ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, এ আবেদনের বিষয়ে বুধবার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নির্মিত অস্থায়ী এজলাসে শুনানি হবে। সানাউল্লাহ বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আগামীকাল (বুধবার) আদালতে যে যাবেন তার নিরাপত্তা নেই। আমরা গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আবেদন করেছি। তাছাড়া এ দুটি মামলার বিষয়ে আমাদের কয়েকটি আবেদন উচ্চ আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে। অন্যদিকে এই দুই মামলায় বিচারিক আদালতের জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে সম্পূরক আবেদন জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। আদালত পরিবর্তনে আবেদনের সম্পূরক হিসেবে এ আবেদনটি করা হয়েছে। আদালত পরিবর্তনে খালেদার আবেদন শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য রয়েছে বিচারপতি মোঃ রেজাউল হক ও বিচারপতি মোঃ খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। মঙ্গলবার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের জানান, একই দিনে সম্পূরক আবেদনটিরও শুনানি করবেন তারা। তিনি জানান, আবেদনে দুর্নীতি মামলা দুটির বিচারিক কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে। এ রুল বিচারাধীন থাকাকালে গ্রেফতারি পরোয়ানা স্থগিত চেয়েছি আমরা। এসব আবেদনের কপি রাষ্ট্রপক্ষকে পৌঁছে দেয়া হয়েছে বলেও জানান ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। আত্মসমর্পণে শর্ত ॥ গ্রেফতারি পরোয়ানার মুখে আদালতে খালেদা জিয়ার আত্মসমর্পণের ক্ষেত্রে শর্ত দিলেন তার আইনজীবী ও উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন। জিয়া ট্রাস্টের দুই দুর্নীতির মামলার পরবর্তী শুনানির এক দিন আগে মঙ্গলবার তিনি বলেছেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং কার্যালয়ে পুনরায় ঢোকার নিশ্চয়তা পেলে আদালতে যাবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব তাঁর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও এখনও আমরা ওয়ারেন্ট হাতে পাইনি, তারপরও যদি আদালতে হাজির হতে হয়, আত্মসমর্পণ করতে হয়, তাহলে তিনি (খালেদা জিয়া) আদালতে যেতে ইচ্ছুক। তবে খালেদা জিয়া ‘নিরাপত্তাহীনতায়’ ভুগছেন দাবি করে বিএনপি চেয়ারপার্সনের এই উপদেষ্টা বলেন, প্রতিদিন তার রাজনৈতিক কার্যালয় ক্ষমতাসীন দলের লোকরা ঘেরাও করে রাখছে। এমনকি বর্তমান সরকারের একজন ক্ষমতাসীন মন্ত্রীর নেতৃত্বেও তার বাড়ি ঘেরাও করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তিনি নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন। খন্দকার মাহবুব আরও বলেন, আরেকটা ব্যাপার আমাদের মনে হচ্ছে, উনাকে জনবিচ্ছিন্ন করার জন্য একবার বের হলে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে থেকে বের হলে আর ঢুকতে দেয়া হবে না। তাই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পেলে এবং পুনরায় কার্যালয়ে ঢোকার নিশ্চয়তা ও স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে দিলে আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে খালেদা আত্মসমর্পণ করবেন বলে জানান খন্দকার মাহবুব। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বলতে কী বোঝাচ্ছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখন আমার মক্কেল বেগম খালেদা জিয়া বুঝতে পারবেন, তিনি বের হলে তাকে মেরে ফেলবে না, নাজেহাল করবে না, যদি কোর্টে আত্মসমর্পণ করলে মাননীয় বিচারক তাকে যদি জামিন দেন, তাহলে যদি তিনি তার কার্যালয়ে ফেরত যেতে পারেন। আদালতে যাওয়ার আগে এভাবে শর্ত দেওয়া যায় কি না- এই প্রশ্নের জবাবে সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, সরকার, আদালত ও দুদক এক হয়ে গেছে। এই জন্যই শর্ত। খন্দকার মাহবুব বলেন, আপনারা জানেন, আইনজীবী হিসেবে তার সঙ্গে আমরা দেখা করতে পারছি না। আপনারা দেখেছেন, আমরা একবার আলোচনার জন্য বসেছিলাম, কিভাবে পুলিশ-র‌্যাব দিয়ে সেখানে ঘেরাও করা হয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার যেভাবে আচরণ করছে, এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। খালেদার সঙ্গে যোগাযোগ না থাকলে এভাবে বিভিন্ন আবেদন দায়ের ঠিক হচ্ছে কি না- এই প্রশ্নের জবাবে খোকন বলেন, এই নির্দেশনা আগেই নেয়া আছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানা এখনও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। আদালতে হাজিরা না দিলে খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা এখনও আমাদের হাতে পৌঁছায়নি। তবে সার্চ ওয়ারেন্ট হয়েছে, আপনারা তা জানেন। আইন সবার জন্যই সমান। কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। নির্দেশ মানতে আমরা বাধ্য। গ্রেফতারি পরোয়ানা পেতে দেরি কেন এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেক সময় দেরি হয়ে যায়। খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াত তার বাসায় নেই। সেজন্য বাসা থেকে নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। যেখানে তিনি আছেন সেখানে নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে। গ্রেফতার প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সময় আসুক তখনই দেখতে পাবেন। গ্রেফতার হবে কি হবে না সময়ই বলে দেবে। খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে কেন? দুইবারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে যে সম্মান দেয়া প্রয়োজন তা দেয়া হবে। তবে তার (খালেদা জিয়া) নির্দেশে যা হচ্ছে, মানুষ তাতে বুঝেই নিয়েছেন জনসাধারণের স্বার্থের জন্য হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে হয়েছে। তাই এর (গ্রেফতারের) বিরুদ্ধে জনসাধারণ মাঠে নামবে সে ধরনের পরিস্থিতি হবে না। খালেদাকে গ্রেফতার করা হবে আইন মেনেই ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে ‘যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া’ অনুসরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবুব-উল আলম হানিফ। আদালত পরোয়ানা জারির পর বিএনপি চেয়ারপার্সনের গ্রেফতার নিয়ে আলোচনার মধ্যে মঙ্গলবার চাঁদপুরে এক সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা। হানিফ বলেন, কোর্ট যে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এটার দায়িত্ব পালন করবে। আমরা আশা করি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে যথাযথ সময়ে তাকে গ্রেফতার করবে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টর দুর্নীতি মামলায় শুনানির জন্য নির্ধারিত তারিখে হাজির না হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। খালেদা ছাড়া বাকি দুজন হলেন, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। আদালত এই তিন আসামির জামিন বাতিল করে পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। আসামিরা উপস্থিত না থাকায় প্রথম সাক্ষীর জেরা বাতিল করে পরবর্তী সাক্ষীর জবানবন্দী শোনার জন্য আগামী ৪ মার্চ দিন ধার্য করেন বিচারক। দুদকের আইনজীবীর আবেদনে অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও ওইদিন আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেন আদালত। তারেক চিকিৎসার কথা বলে উচ্চ আদালতের জামিনে গত ছয় বছরের বেশি সময় ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন। এ পর্যন্ত এ দুটি মামলার বিচারিক কার্যক্রমে মোট ৬৩ দিন আদালত বসেছে, তাবে খালেদা হাজির ছিলেন মাত্র ৭ দিন।
×