ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ব্রিটেন ও কানাডায় অফিস খোলার প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত

ছিটমহল সমস্যা সমাধানে বিশ্বব্যাপী জনমত সৃষ্টির উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ৪ মার্চ ২০১৫

ছিটমহল সমস্যা সমাধানে বিশ্বব্যাপী জনমত সৃষ্টির উদ্যোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ৩ মার্চ ॥ বাংলাদেশ ও ভারতের অভ্যন্তরে ১৬২টি ছিটমহলের প্রায় ৫১ হাজার মানুষ বন্দীদশার অবসান পেতে আন্তর্জাতিক সমর্থনে প্রবাসীদের সহায়তা নিতে আমেরিকায় অফিস খুলেছে। ব্রিটেন ও কানাডায় অফিস খুলতে সব ধরনের প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত করেছে। এবারের অধিবেশনে ভারত সরকার স্থলসীমান্ত ও ছিটমহল সমস্যার সমাধানে বিল পাস করার সম্ভাবনা রয়েছে। কোন কারণে যদি বিল পাস নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়, প্রবাসী বাংলাভাষী বাংলাদেশ ও ভারতীয়রা জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করার কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। এবারে দুই দেশের ছিটমহলবাসীরা তাদের ৬৭ বছরের বন্দীজীবনের অবসান পেতে যে কোন শান্তিপূর্ণ কঠোর আন্দোলনে যেতে পারে। ছিটমহলবাসীর দাবি প্রতিটি মানুষের মানবাধিকার তার জন্মগত অধিকার। ছিটমহলবাসী সেই অধিকার হতে বঞ্চিত হয়ে আসছে অর্ধশত বছরের বেশি সময় ধরে। ভারত বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির বাংলাদেশ শাখার সভাপতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মইনুল ইসলাম জানান, প্রবাসীদের সহায়তা নিয়ে ছিটমহলবাসীর পক্ষে সমর্থন সৃষ্টিতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ছিটমহলবাসীরা আশাবাদী দুই দেশের সরকার ও সরকার প্রধানগণ যেহেতু ছিটমহল সমস্যার স্থায়ী সমাধানে উদ্যোগী হয়েছেন। তাই এ ছিটমহল বিনিময় চুক্তি হবেই। এ চুক্তির সুফল উভয় দেশের অভ্যন্তরে ছিটমহলগুলোর নাগরিকরা ভোগ করবেন। ভারত বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির ভারতীয় শাখার সহকারী সম্পাদক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত জানান, ছিটমহল আন্দোলনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি ও জনমত তৈরির উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রবাসী বাংলাভাষীরা ভারত বাংলাদেশ ছিটমহলের প্রবাসী শাখা খুলেছে। এ শাখার পোশাকি নাম দেয়া হয়েছে ভারত বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় প্রবাসী সমন্বয় কমিটি। ভারত বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির শাখা হিসেবে এ কমিটি প্রবাসে কাজ করবে। ২১ ফেব্রুয়ারি মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ইতোমধ্যে ভারত বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় কমিটি ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি বাংলাভাষায় প্ল্যাকার্ড লিখে নিউইয়র্কের রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদরদফতরের সামনে প্রদর্শন করেছে। নিউইয়র্কের সল্টলেক সিটির বাসিন্দা তথ্যচিত্র নির্মাতা প্রবাসী বাঙালী অনামিকা বন্দোপাধ্যায়কে আহ্বায়ক করে এ প্রবাসী কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটির স্বেচ্ছায় সদস্য পদ গ্রহণ করেছেন, শ্রীনবাসন রঘমন, লিপিকাসায়েল, মধুমিতা ভট্টাচার্যের মতো বিজ্ঞানীরা। এছাড়াও সদস্য হয়েছেন মার্কিন মল্লুকের সংবাদমাধ্যমের সমালোচক হিসেবে পরিচিত মরিয়ম বেনজ। তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ কমিটির সদস্য হয়েছেন। ২০০৮ সালে তথ্যচিত্র নির্মাণে করতে অনামিকা বন্দোপাধ্যায় ছিটমহল নিয়ে কাজ করেছেন। সে সময় তাদের দুঃখ-র্দুদশা স্বচক্ষে দেখেছে। মানুষের জন্মগত অধিকার মানবাধিকার কিন্তু ছিটমহলে কোন মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার নেই।
×