ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জঙ্গীবাদী কর্মকাণ্ডে প্রতিবাদমুখর সংসদ সদস্যরা

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ৪ মার্চ ২০১৫

জঙ্গীবাদী কর্মকাণ্ডে প্রতিবাদমুখর সংসদ সদস্যরা

সংসদ রিপোর্টার ॥ রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় সংসদে বিএনপি-জামায়াত জোটের হরতাল-অবরোধের নামে সহিংসতা-নাশকতা ও জঙ্গীবাদী কর্মকা-ের নিন্দা ও প্রতিবাদে মুখর ছিলেন সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা। খালেদা জিয়াকে ‘পাক সখী ও মানবতার শত্রু’ আখ্যায়িত করে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, বিএনপি আসলে অন্ধকারের জীব। জঙ্গী-সন্ত্রাসী ও দুর্নীতির প্রাণভোমরা জনবিচ্ছিন্ন খালেদা জিয়া দেশকে তছনছ করে অন্ধকারের দিকে ধাবিত করতে চাইছেন। জাতীয় পার্টির পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, সহিংসতা-নাশকতার কাছে মাথানত করলে দেশে ভবিষ্যতে গণতন্ত্র-সংবিধান থাকবে না। সংলাপ হতে পারে তবে সংবিধানের আওতায়, তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে নয়। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তাঁরা এসব কথা বলেন। আলোচনায় আরও অংশ নেন সরকারী দলের নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, ড. হাছান মাহমুদ, তাজুল ইসলাম, তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস, জাতীয় পার্টির প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা প্রমূখ। আলোচনায় অংশ নিয়ে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে ‘পাক সখী ও মানবতার শত্রু’ আখ্যায়িত করে বলেন, সর্বোচ্চ জিঘাংসার শক্তি নিয়ে বাংলাদেশকে তছনছ করে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। মতিয়া চৌধুরী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট অন্ধকারের জীব। এরা দেশকে শুধুই পিছিয়েই দিয়ে গেছে। আর বর্তমান সরকার প্রতিটি উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার যখন অগ্রগতির মিছিলে শামিল করেছেন তখনই জঙ্গী-সন্ত্রাসী ও দুর্নীতির প্রাণভোমরা জনবিচ্ছিন্ন খালেদা জিয়া দেশকে ধ্বংস ও অন্ধকারের দিকে ধাবিত করার ষড়যন্ত্রে নেমেছেন। তিনি বলেন, কিছু কথিত বুদ্ধিজীবী আছেন যাঁরা সংলাপের কথা বলছেন, কিন্তু সন্ত্রাস-নাশকতা ও মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার কথা বলেন না! কারণ এ সব ঘটনা তাঁদের প্রাণেশ্বরী খালেদা জিয়াই ঘটাচ্ছেন। জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস হচ্ছে সভ্যতাবিরোধী ও ইবোলা ভাইরাস। যথাযথ প্রতিষেধক প্রয়োগ করেই এই ভাইরাস নির্মূল করা হবে। জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সহিংসতা-বোমাবাজির মাধ্যমে যদি একটি সরকার ও সংবিধান পরিবর্তন করা যায়, তবে ভবিষ্যতে কারও বাড়ি-সম্পদ থাকবে না। কয়েকটি ককটেল- পেট্রোলবোমা নিয়েই সন্ত্রাসী-জঙ্গীরা সবার বাড়ি-সম্পদ দখল করে নেবে। তিনি বলেন, সহিংসতা দিয়ে কখনও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না। সহিংসতার সামনে যদি মাথানত করা হয়, তবে স্বাধীনতা যুদ্ধের কোন অর্থ থাকবে না, দেশে সংবিধান ও গণতন্ত্র থাকবে না। তখন ছোট ছোট দলও বোমা-সন্ত্রাসীদের নিয়ে মাঠে নামবে, আর তখনও সুশীলরা বলবে সরকার পরিবর্তনে সংলাপ দরকার! নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বিএনপি-জামায়াত জোটের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে খালেদা জিয়া এখন খলনায়িকা, মিথ্যাচারিণী ও জঙ্গীবাদের নেত্রী। জন্মদিনসহ জীবনের সবক্ষেত্রে তাঁর একমাত্র অবলম্বনই হচ্ছে মিথ্যা। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী দর্শন থেকেই বিএনপি-জামায়াতের সখ্য। জাতীয় পার্টির প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, সরকারের উন্নয়ন-সমৃদ্ধি দেখে রাজাকার-আল বদর ও তাদের নেত্রীর (খালেদা জিয়া) মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপি নেত্রীও উন্মাদ হয়ে গেছেন, বাড়ি ছেড়ে দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছেন।
×