ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ক্লাসে ৭০ ভাগ হাজিরা থাকলেও এসএসসি ও এইচএসসিতে অংশ নেয়া যাবে

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ৪ মার্চ ২০১৫

ক্লাসে ৭০ ভাগ হাজিরা থাকলেও এসএসসি ও এইচএসসিতে অংশ নেয়া যাবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচনী পরীক্ষায় (টেস্ট) পাস না করলেও শ্রেণীকক্ষে ৭০ শতাংশ উপস্থিতি থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ওই ধরনের শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দিতে বলেছে সরকার। এ ছাড়া প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের এক মাসের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদকে শিক্ষকদের কর্মদক্ষতার মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনে পুরস্কার ও তিরস্কারের ব্যবস্থা করতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার শিক্ষাসচিব মোঃ নজরুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্রে এসব নির্দেশনা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরিপত্রটি দেশের সব স্কুল, কলেজ, কারিগরি প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসায় পাঠানো হয়েছে। পরিপত্রে শিক্ষার্থীদের খারাপ ফলের জন্য দায়ী শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা মনিটরিংয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাধিক নির্দেশনাও দেয়া হয়। এতে বলা হয়, সরকার আশা করে প্রতিটি শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পাস করে স্কুল জীবন সমাপ্ত করুক এবং শিক্ষার পরবর্তী ধাপে অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু কোন কোন বিদ্যালয় শত ভাগ পাস কিংবা ভাল ফল দেখানোর জন্য নির্বাচনী পরীক্ষায় এক বা একাধিক বিষয়ে ফেল করার অজুহাতে পরীক্ষার্থী ছাঁটাই করে। এ ছাড়া অসুস্থতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা দুর্ঘটনানহ বিভিন্ন কারণে কিছু শিক্ষার্থী পাবলিক পরীক্ষার আগে নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অনুত্তীর্ণ কিন্তু ৭০ শতাংশ ক্লাসে উপস্থিত ছিলÑ এমন শিক্ষার্থীদের পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে সকল স্কুল, কলেজ, কারিগরি স্কুল এবং মাদ্রাসাপ্রধানদের নির্দেশনা দেয়া হলো। পাশাপাশি প্রাক নির্বাচনী (প্রি-টেস্ট) কোন পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা খারাপ ফল করলে তা বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে এ ব্যাপারে সতর্ক করতে এবং দুর্বল ও পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষ যতœ নিতেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হয় ওই পরিপত্রে। নির্দেশনা অনুযায়ী পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের এক মাসের মধ্যে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা প্রধান, ম্যানেজিং কমিটি, গবর্নিং বডিকে সভার আয়োজন করে বিষয়ভিত্তিক প্রত্যেক শিক্ষকের কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন এবং এ ব্যাপারে প্রয়োজন অনুযায়ী পুরস্কার ও তিরস্কারের ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়। এ ছাড়া প্রত্যেক একাডেমিক সুপারভাইজারকে উপজেলা পর্যায়ের বিষয়টি মনিটরিংয়ের মাধ্যমে পরিবীক্ষণ করে উর্ধতন কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আর সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকদের কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানাবেন। আর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তা সমন্বিত আকারে শিক্ষা বোর্ডে পাঠাবেন। এসব আদেশের ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়।
×