ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় বিষাক্ত মদ পানে তিন জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ৩ মার্চ ২০১৫

গাইবান্ধায় বিষাক্ত মদ পানে তিন জনের মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২ মার্চ ॥ পলাশবাড়ী উপজেলায় বরিশাল ইউনিয়নের ভগবানপুর গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে বাংলা চোলাই মদ পান করে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলো, পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের ভগবানপুর গ্রামের মতিলাল রবিদাসের ছেলে মোখলাল রবিদাস (৩৫), বগুড়া জেলা সদরের সূত্রাপুর এলাকার লক্ষণ রবিদাসের ছেলে রবিলাল রবিদাস (৪৫), রংপুর জেলা সদরের শাপলা চত্বর এলাকার জাগলাল রবিদাসের ছেলে ভাষানী রবিদাস (৪০)। স্থানীয়রা জানান, ভগবানপুর গ্রামে মোহললাল রবিদাসের মেয়ে নীলা রানী দাসের বিয়ে উপলক্ষে তারা একাত্রিত হন। শনিবার রাতে মদ পান করে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। ভোর রাতেই অসুস্থ মোখলাল রবিদাসকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। বিষয়টি গোপন রাখা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কনের মামা রবিলাল রবিদাস ও সোমবার সকালে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কনের দূর-সম্পর্কের চাচা ভাষানী রবিদাস মারা যান। স্টাফ রিপোর্টার বগুড়া অফিস থেকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সোমবার সকাল পর্যন্ত বগুড়ায় চার ব্যক্তির অপমৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে একজন কিশোরী ও একজন মহিলা। রবিবার রাতে বগুড়া সদরের ঢোলমোহনী গ্রামের আফসার আলী (৫৫) পারিবারিক বিরোধের কারণে বিষাক্ত কীটনাশক পান করে জিয়াউর রহমান হাসপাতলে ভর্তি হওয়ার পর মারা যায়। একই হাসপাতালে বিষক্রিয়ার আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয় শহরের মালতিনগরের জান্নাতী বেগম (১৮)। সূত্র জানায়, স্বামীর বাড়িতে কলহের কারণে সে আত্মহত্যা করেন। একই হাসপাতালে প্রায় একই সময়ে শেফালী (২৫) নামের এক গৃহবধূ গুরুতর অসুস্থ হয়ে ভর্তি হয়। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশে। পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে বাগ্বিত-ায় সে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে লোকজন টের পেয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে আনে। একই দিন গভীর রাতে বগুড়া জেলা কারাগার থেকে অসুস্থ হাজতি আব্দুল মালেককে (৩৭) ভর্তি করা হয়। ভোরে তিনি মারা যান। কারাগার কর্তৃপক্ষের ভাষ্য মালেক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিল। পাঁচটি অপমৃত্যুর ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় মামলা হয়েছে। পার্বতীপুরে মাদ্রাসা ছাত্র খুন ॥ শিক্ষক গ্রেফতার নিজস্ব সংবাদদাতা, পার্বতীপুর, ২ মার্চ ॥ পার্বতীপুরে বেলাইচ-ি ইউনিয়নের সুন্দরপীর লিল্লাহ বডিং ও হাফেজখানার আবাসিক ছাত্র সোহেনুর রহমান সোহাগ হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মাদ্রাসার শিক্ষক এমদাদুল হক লিমনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাকে অভিযুক্ত করে নিহত ছাত্রের চাচা আবু সাঈম রবিবার রাতে পার্বতীপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহতের স্বজনরা জানান, ওই শিক্ষক কিছু গোপন কর্মকাণ্ড জানতে পারায় এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে তাদের দৃঢ়বিশ্বাস। গত রবিবার ভোরে এই লিল্লাহ বডিংয়ের সন্নিকটে অগভীর ডোবা থেকে সোহাগের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
×