ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিসিআই সভাপতি ডালমিয়া

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ৩ মার্চ ২০১৫

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিসিআই সভাপতি ডালমিয়া

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নতুন সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জাগমোহন ডালমিয়া। চেন্নাইয়ে সোমবার অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ডালমিয়া এন শ্রীনিবাসনের স্থলাভিষিক্ত হলেন। নির্বাচনের পাশাপাশি সহ-সভাপতি শিবলাল যাদবের সভাপতিত্বে বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভাও অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তিতে জানা যায়, আইসিসির সাবেক সভাপতি ডালমিয়া ভারতীয় ক্রিকেটের বোর্ডপ্রধানের এই নির্বাচনের জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই কাজ করে আসছিলেন। ছয়টি পূর্বাঞ্চলীয় জোটের একতার কারণে এবারের এই নির্বাচনে ডালমিয়াই শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে আগেই বিবেচিত ছিলেন। প্রায় এক দশক আগে এই পদের দায়িত্বে থাকা ডালমিয়ার বিপক্ষে কার্যত সেই কারণেই কোন প্রার্থী নির্বাচনে দাঁড়াননি। এদিকে দুর্নীতির অভিযোগে আগেই সাবেক হওয়া সভাপতি শ্রীনিবাসনের বিপক্ষে সুপ্রীমকোর্ট রুল জারি করে তার প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। তবে তিনি ভোটের জন্য যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছিলেন। মূলত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএল) ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে তার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারতীয় সুপ্রীমকোর্ট। গত জানুয়ারিতে শ্রীনিবাসনের বিপক্ষে আইপিএলের একটি দলের সঙ্গে বাণিজ্যিকভাবে চুক্তিতে জড়িয়ে পড়ার সত্যতা পায় কোর্ট। বিসিসিআই সভাপতি হিসেবে তিনি কোনভাবেই এই ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন না। ১৯৯৭ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিন বছর ডালমিয়া আইসিসির প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০০৫ সালে তিনি বিসিসিআই সভাপতির পদ হারান। ৭৫ বছর বয়সী এই জনপ্রিয় ক্রিকেট সংগঠকের অধীনেই ক্রিকেট বিশ্বব্যাপী একটি আকর্ষণীয় খেলায় পরিণত হয়। ১৯৮৭ এবং ১৯৯৬ সালে দুইবার তিনি ভারতীয় উপমহাদেশে বিশ্বকাপ ক্রিকেট আয়োজনের কৃতিত্ব দেখান। কোন অঙ্কেই সাধারণ জনতা, এমনকি বোর্ড কর্মকর্তারাও ভাবতে পারেননি পরিস্থিতি এমন দাঁড়াবে যে, দুই পক্ষ থেকেই ডাল মিয়ার কাছে সভাপতি হওয়ার প্রস্তাব আসবে। এই অঙ্কটা আর কেউ বুঝুক অথবা না-বুঝুক, জগমোহন ডালমিয়া যে বুঝেছিলেন এবং সেই অনুযায়ী চুপ করে অপেক্ষা করছিলেন, তাতে কোন সন্দেহ নেই। তাই, সর্বসম্মতিক্রমেই তিনি আবার বোর্ডের সভাপতি হওয়ার যোগ্যতা করলেন। তবে এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগছে যে, শেষ পর্যন্ত কোন পক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতির কাজ চালিয়ে যাবেন তিনি। সভাপতি হওয়ার একদিন আগের সকালেও বিরোধী দলের পক্ষ থেকে শশাঙ্ক মনোহর তার ঘরে গিয়ে তাকে সভাপতি হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন?
×