ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ৩ মার্চ ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

৭ মার্চের ভাষণ এবং একজন মেজর আমাদের গ্রাম থেকে চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র মাত্র ২০ কিলোমিটার। ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় রেডিও চট্টগ্রাম থেকে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা এমএ হান্নান এবং বেতারের বেলাল মোহাম্মাদের কণ্ঠে থেমে থেমে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা শুনেছিলাম। তাঁরা চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে সুপরিচিত ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন। পরদিন ২৭ মার্চ চট্টগ্রাম বেতার থেকে তখনকার প্রেক্ষাপটে এক অচেনা কণ্ঠে ইংরেজীতে শুনলাম- ‘আমি মেজর জিয়া বঙ্গবন্ধুর পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি, জয় বাংলা। তখন জনসাধারণ্যে সম্পূর্ণ অচেনা ছিলেন বিধায় বঙ্গবন্ধুর পক্ষে না বললে তাঁর ঘোষণা জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য হতো না। পাকিস্তানী সেনারা বাঙালীদের হত্যা করে এদেশ পোড়ামাটি বানাতে চেয়েছিল। তখন বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ ও মুজিবনগর সরকারের সুবাধে ভারতসহ বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সাহায্য-সহযোগিতা পেয়েছিলাম। ৯ মাসের যুদ্ধে ভারত সরকার আমাদের আশ্রয়সহ বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগিতা না করলে মেজর জিয়াসহ আমাদের বেঁচে থাকা দুরূহ ব্যাপার ছিল। তাদের সাহায্য-সহযোগিতায় আমরা শক্তিশালী পাকিস্তানী সেনাদের পরাস্ত করে চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে এনেছি। পৃথিবীর বুকে বীর বাঙালী হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি। তাই ইতিহাসের সত্য রক্ষার খাতিরে ৭ মার্চের ভাষণ বার বার প্রচার করা হলে নতুন প্রজন্মের মধ্যে গৌরববোধ, আত্মবিশ্বাস ও কর্মস্পৃহা বাড়বে বলে আমার বিশ্বাস। নুরুল আলম বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা জনপ্রিয়তা রাজনীতিকরা জনপ্রিয়তা চান। দলের জনপ্রিয়তা যেমন প্রয়োজন তেমনি নেতারও জনপ্রিয়তা প্রয়োজন। কখনও দলের জনপ্রিয়তার কারণে ব্যক্তি বা নেতার জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়, আবার নেতার জনপ্রিয়তার কারণে দলের জনপ্রিয়তাও বাড়তে পারে। একইভাবে একটির অভাবে অন্যটির জনপ্রিয়তা কমে যেতে পারে। যেমন একটি দল যখন খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তখন ওই দল থেকে নির্বাচনে যাকেই মনোনয়ন দেয়া হয়, তিনি সহজেই পাস করতে পারেন। আবার কোন দলের জনপ্রিয়তা কমে গেলে অনেক ভাল লোকও নির্বাচনে জয়ী হতে পারেন না। যে কোন নেতা বা নেত্রীর এবং দলের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর একমাত্র উপায় হলো সততার সঙ্গে রাজনীতি করা, জনকল্যাণমুখী আদর্শ সামনে রেখে এগিয়ে চলা, নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করা এবং সহনশীলতার সঙ্গে নিজেকে এবং দলকে পরিচালিত করা। জাতীয় রাজনীতিতে যে কোন রকম হটকারী সিদ্ধান্ত শুধু দলকেই নয় দেশেরও বিরাট ক্ষতি করতে পারে। তাই যারা বর্তমানে জাতীয় রাজনীতিতে আছেন এবং যারা সুশীল সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত তাদের কাছে আবেদন বিশ্বরাজনীতির দিকে তাকিয়ে দেশ ও জাতির মঙ্গলের কথা চিন্তা করে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। বিপ্লব ফরিদপুর মিথ্যাচারের বিপরীতে... দেশজুড়ে একতরফা সহিংসতা, নাশকতা, পৈশাচিকতা, নির্মমতা, নৃশংসতা প্রায় দু’মাস ধরে চালিয়ে যাচ্ছে- বিএনপি-জামায়াত জোট। গুলশানের ‘অফিস কাম রেসিডেন্টে’ বসে বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়া লন্ডন হতে পুত্রের নির্দেশে দেশজুড়ে সন্ত্রাসী ও জঙ্গীপনা চালিয়ে সাধারণ নিরীহ মানুষ হত্যা করেই চলছে। ঘোষণা দিয়ে অবরোধ-হরতাল ডেকে তা জাহির করার জন্য রাজপথে নামে না কেউ। রোড মার্চ বা গণঅনশন কর্মসূচীও নয়। কর্মসূচী একটাই জ্বালাও-পোড়াও, ধ্বংস কর। দেশ যখন ক্রমেই অর্থনৈতিক ও শিক্ষা-দীক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক সে সময় মানুষের মৌলিক অধিকার জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে আকস্মিক যুদ্ধংদেহী রণরঙ্গিনী মূর্তি নিয়ে বেগম জিয়া আবির্ভূত হলেন। তারা বাসে পেট্রোলবোমা মেরে বাস পুড়াছে এবং মানুষ মারছে। সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আদালতপাড়া- সর্বত্র বোমাবাজদের চোরাগোপ্তা তৎপরতা রয়েছে। কোথাও তারা ধরা পড়ছে, গণধোলাইয়ের শিকার হচ্ছে। অথচ বেগম জিয়া বলছেন, তিনি এসব করছেন না। সরকারই করাচ্ছে। তাহলে প্রশ্ন তিনি কেন বার্ন ইউনিটে হতাহতদের দেখতে যান না। কেন তাঁর দলের নেতাকর্মীরা সেখানে যায় না। গণরোষের ভয়ে নয়। নিজেদের সৃষ্ট নৃশংস অপরাধের সামনে দাঁড়াতে না পারার ভয়ে-আতঙ্কে। সবুর সওদাগর চান্দনাইশ, চট্টগ্রাম ডবল লাইন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের লাকসামে ডবল লাইনের কাজ চলছে ধীরগতিতে। বর্তমান এ সিঙ্গেল লাইনের কারণে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের সিডিউল ঠিক রাখা যাচ্ছে না। দুই একটি ট্রেন ছাড়া প্রায় সব ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে ছাড়তে পারে না। কিংবা নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্য পৌঁছাতে পারে না। তাই দ্রুত ডবল লাইন হওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের জন্য জরুরী। পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের উন্নতি তথা রেল বিভাগের উন্নয়নের জন্য সরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। আলাদা রেল মন্ত্রণালয় গঠন সরকারের অন্যতম একটি সাফল্যের নাম। বর্তমানে রেলওয়ের অনেক উন্নতি হয়েছে তা অস্বীকার করা যায় না। চিনকি আস্তানা পর্যন্ত লাকসাম রেলওয়ের ডবল লাইনের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। আস্তানা থেকে ফেনী পর্যন্ত কাজের অনেকটাই প্রায় শেষ পর্যায়ে এসেছে। আশা করি অচিরেই ঢাকা-চট্টগ্রাম ডবল লাইনের কাজ শেষ হবে। এবং সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম দুই লাইনের রাস্তার কাজও এগিয়ে চলেছে এবং শেষ হবে। রণজিত মজুমদার সোনাগাজী, ফেনী সড়ক নয় যেন খানাখন্দ সড়ক ও সেতুমন্ত্রী সড়ক-মহাসড়কে প্রায়ই পরিদর্শন করে থাকেন। বিশেষত গাজীপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তাঁর পদচারণা লক্ষ্য করা যায়। গাজীপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাঘেরবাজার হচ্ছে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের প্রবেশদ্বার। সেখানে একটি বিশাল সাইনবোর্ড তথা গেটও নির্মিত হয়েছে। কিন্তু প্রবেশ পথটি অত্যন্ত নোংরা ও খানা-খন্দে ভরা। এখান থেকে সাফারি পার্ক গেট পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি অধিকাংশ স্থানেই ভাঙ্গা-চোরা তথা চলাচলের প্রায় অযোগ্য। অপরদিকে পিরুজালীর সড়কঘাটা থেকে যে রাস্তা এসে সাফারি পার্কের সামনে পূর্বোক্ত সড়কের সঙ্গে মিলিত হয়েছে, তার প্রায় এক মাইল এলাকা সম্পূর্ণ কাঁচা বিধায় বর্ষাকালে কারওপক্ষে সড়কঘাটা থেকে সাফারি পার্কে আসা কষ্টকর। উল্লেখিত দুটি সড়ক বা রাস্তা প্রকৃতপক্ষে একই সড়ক বা রাস্তা। মন্ত্রী প্রায়ই বলে থাকেন যে, নির্দিষ্ট তথা স্বল্পতম সময়েই দেশের সব সড়ক সংস্কার বা ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ছোটখাটো সড়ক বা রাস্তা পরিদর্শনে না এলে তা কি করে ঠিক হবে বোধগম্য নয়। বিষয়টি মন্ত্রী মহোদয়কে ভাবতে বলবো। হাবিবুর রহমান মাওনা, গাজীপুর সড়কটি পাকা করা হোক পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার জয়কুল কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশ দিয়ে যে রাস্তাটি উত্তর দিকে গেছে ৪ গ্রামের মধ্য দিয়ে যেমন- সজয়কুল, বিড়ালজুরী, মুক্তারকাঠি ও নাংগুলি। মতিন মাওলানার মাদ্রাসা পর্যন্ত পৌঁছেছে। ১৯৯০ সালের মার্চ মাসে প্রায় ৩ কি.মি. রাস্তায় মাটির কাজ এবং ৪টা ছোট ছোট কালভার্টের কাজ এলজিআরডি করেই সমাপ্ত ঘোষণা করে। কিন্তু রাস্তাটি পাকা না হওয়াতে কয়েক গ্রামের মানুষের কষ্ট হচ্ছে- সঙ্গেই ঢাকা, বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও খুলনা লাইনের বাসস্ট্যান্ড। ওই রাস্তায় কয়েকটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও রয়েছে। অল্প বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি ব্যবহারের মতো কোন পথ থাকে না। জনসাধারণের কষ্টের কথা বিবেচনা করে ওই রাস্তাটি পাকা করা জরুরী। রুহুল আমিন (দুলাল) জয়কুল, কাউখালী পিরোজপুর মহাসড়কটি চালু হোক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটি খুবই ব্যস্ত ২৪ ঘণ্টাই হাজার হাজার যানবাহন আসা-যাওয়া করে। প্রায়ই সড়কটি জ্যামে পড়ে। কিন্তু ফোর লেন লাইন চালু হওয়ার পর কিছু হলেও জ্যাম কম হবে। আনুমানিক ৪০%। তাই যত দ্রুত সম্ভব এই সরকারের আমলেই সড়কটি (ফোর লেন লাইন) চালু এবং শেষ করা দরকার। পত্রিকা এবং টিভি সংবাদ শুনলেই দেখা যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটিতে মানুষজন জ্যামে পড়ে আছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। সড়কটির দু’পাশে হাজার হাজার অফিস আদালত রয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হতে হয়। রাস্তা পার হতে গিয়ে অনেক প্রাণহানিও ঘটে। সড়কটির বাকি ৭০% (ফোর লেন লাইন) চালু হলে দুর্ঘটনা, প্রাণহানি, রাস্তা জ্যাম অনেকটাই কমে যাবে। ছালেহ আহমেদ কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ডাকঘর চাই নওগাঁ জেলার পতœীতলা থানার আমাইড় ইউনিয়নের একটা বর্ধিষ্ণু গ্রাম কুন্দন। গ্রামটি ১০টি গ্রামের কেন্দ্রবিন্দু। লোকসংখ্যা প্রায় আট হাজার। শতকরা ৯৫ শতাংশ লোক শিক্ষিত। গ্রামের অনেক লোক দেশ-বিদেশে চাকরি ও ব্যবসা-বাণিজ্যে নিয়োজিত। কেন্দ্রস্থলে একটি বাজার আছে। বাজারের পাশে একটি মাধ্যমিক, একটি দাখিল মাদ্রাসা, একটি সরকারী হাসপাতাল ও পাশেই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় এবং একটি এনজিও অবস্থিত। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, এখানে কোন ডাকঘর নেই। প্রায় পাঁচ মাইল দূরে ডাসনগরে একটা ডাকঘর রয়েছে। সেখানকার একজন ডাকপিয়ন মাসে এক থেকে দুই দিন এখানে জরুরী চিঠিপত্র বিলি করতে আসেন। যাতায়াতের অসুবিধার কারণে ডাকপিয়ন প্রায়ই এখানে আসতে চান না। তাই অনেক প্রয়োজনীয় চিঠিপত্র, মানি অর্ডার ইত্যাদি বুঝে পেতে জনগণের দুর্ভোগের শেষ নেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে প্রাপকের হাতে চিঠি পৌঁছায়। ক্ষেত্রবিশেষে জরুরী চিঠিপত্র খোয়াও যায়। তাই অনতিবিলম্বে এখানে ডাকঘরের একটি শাখা স্থাপন করে জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে পদক্ষেপ গ্রহনে অনুরোধ করছি । লিটন হোসেন কুন্দন, পত্নীতলা, নওগাঁ
×