ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জুয়ার আসরে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার সুজন

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২ মার্চ ২০১৫

জুয়ার আসরে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার সুজন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বাংলাদেশ পেসার আল আমিন হোসেনকে বিশ্বকাপ দল থেকেই বাদ দিয়ে দেয়া হয়েছে। দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। অথচ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের ক্রাউন কেসিনোতে জুয়ার আসরে যান! এখন কী করবে বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড)? সুজন কে কী দেশে পাঠিয়ে দেবে না দলের সঙ্গে থাকবেন ম্যানেজার? বিশ্বকাপ ম্যাচ চলাকালীন সময়ে টিম ম্যানেজারের কেসিনো কিংবা জুয়ার আসরে যাওয়া কোন অনুমতি থাকে না। পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক মঈন খানকে কেসিনো খেলার অভিযোগে দেশে ফেরত পাঠায় টিম পাকিস্তান। তাহলে, খালেদ মাহমুদ সুজনের ক্ষেত্রে কি ধরনের শাস্তি হতে পারে, তাই এখন দেখার বিষয়। অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ইউকে বিডি নিউজ ডট কম সুজনের ছবি সংবলিত একটি রিপোর্ট করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সুজন কেসিনোতে আছেন। অনলাইনে লেখা আছে, রাত ১০টার পর হোটেলের বাইরে থাকায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বাংলাদেশের তরুণ ফাস্ট বোলার আল আমিন হোসেনকে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশ ফেরত পাঠিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। রাত ১০টার পর বাইরে থাকার বিষয়টি বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনকে অবহিত করে আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু)। পরবর্তীতে বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক করে আল আমিনকে দেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন খালেদ মাহমুদ সুজন। জানা যায়, বোলার আল আমিন টিম ম্যানেজমেন্টকে না জানিয়ে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যায়। তবে, তার কথায় অসঙ্গতি থাকায় তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানায় বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। তবে, এদিকে স্বয়ং টিম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন প্রায়ই প্রতিদিনই রাতের বেলায় কেসিনোতে যাচ্ছেন বলে জানা যায়। এই বিষয়ে খেলোয়াড়রা জানলেও কেউই মুখ খুলতে নারাজ। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১টা ৩০ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের ০৮ হোয়ইটম্যান স্ট্রিটের ক্রাউন কেসিনের জুয়ার আসরে দেখা গেছে খালেদ মাহমুদ সুজনকে। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী তিন যুবক। হাতে অস্ট্রেলিয়ান ডলার নিয়ে কেসিনো খেলায় তিনি মগ্ন ছিলেন বেশ ঘণ্টা খানেক। এ সময় তিনি কালো জ্যাকেট ও পায়ে স্যান্ডেল পরে ছিলেন। কেসিনোতে কঠোর নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও আমাদের হাতে পাওয়া এই ছবিটি ছাড়াও বেশকিছু ছবি অন্য আরেকটি ক্যামেরা থেকে মুছে ফেলতে সিকিউরিটি গার্ডদের নির্দেশ দিয়েছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। তবে, মোবাইলে থাকা এই ছবিটিই প্রমাণ করে সুজন সে সময় কতটা মগ্ন ছিলেন কেসিনোতে। এই হচ্ছে সেই সুজন যিনি আশরাফুলকে বুকিদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। যার ফলে মাত্র ২৭ বছর বয়সে আশরাফুলের ক্যারিয়ার ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত চলে গেছে। এছাড়া তিনি দলের অন্য ক্রিকেটারদের জুয়ার আসর কেসিনোতে যেতে প্রভাবিত করে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর আগেও রাত জেগে কেসিনোতে থাকার কারণে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচ চলাকালে তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। বিষয়টি স্টার স্পোর্টসের চ্যানেলের মাধ্যমে পুরো বিশ্ব দেখেছে ম্যাচ চলার সময় সুজন বেঞ্চে ঘুমাচ্ছেন। শুধু বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণে নিজের ইচ্ছামতো সবকিছু করতে পারেন তিনি।
×