ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

২৬ বছর পর হরতালে এজলাসে বিচারকগণ

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ২ মার্চ ২০১৫

২৬ বছর পর  হরতালে  এজলাসে বিচারকগণ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বিএনপি-জামায়াত সমর্থক আইনজীবীদের প্রতিবাদের মুখে দীর্ঘ ২৬ বছর পর হরতালের মধ্যে চট্টগ্রাম আদালত এজলাসে বসতে শুরু করেছেন বিচারকরা। তাঁদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষ ও আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা। অপরদিকে, আইনজীবীদের এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে মিছিল করেন সরকারবিরোধীরা। চট্টগ্রাম জেলা পিপি এ্যাডভোকেট আবুল হাশেম জানান, প্রায় ছাব্বিশ বছর পর বিচারকগণ হরতালের মধ্যে এজলাসে বসেছেন। এটি একটি শুভ উদ্যোগ। আইনজীবীদের একাংশ উপস্থিত না হওয়ায় কোন শুনানি হয়নি। তবে এ অচলাবস্থা ধীরে ধীরে কেটে যাবে। রবিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে প্রথম এজলাসে উঠেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ এসএম আতাউর রহমান। তবে এ খবর পাওয়ামাত্রই বিএনপি ও জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা প্রতিবাদ মিছিল শুরু করেন। এরপর একে একে এজলাসে বসেন চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ এসএম নুরুল হুদা, মহানগর দায়রা জজ মোঃ ওবায়দুস সোবহান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোঃ রেজাউল করিমসহ আদালতের বিচারকগণ। মহানগর হাকিম আদালতের দুই ম্যাজিস্ট্রেট এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দুই বিচারকও এজলাসে বসেন। তবে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের প্রতিবাদের মুখে তাঁরা ১৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে নেমে যান। চট্টগ্রাম জেলা পিপি এ্যাডভোকেট আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে আইনজীবীদের একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা যদি হরতালের দিন সুপ্রীমকোর্টে মামলা পরিচালনা করতে পারেন, তাহলে চট্টগ্রাম আদালতেও বিচারকাজ পরিচালনায় কোন বাধা থাকতে পারে না। আদালত সূত্রে জানা যায়, আইনজীবী না থাকায় মামলার শুনানি না হলেও বিচারকগণ রবিবার এজলাসে বসেই কিছু আদেশ প্রদান করেন। ১৯৮৯ সালে আইনজীবী সমিতি হরতালের দিন আদালতের কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তখন ছিল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামল। সেভাবেই চলে আসছিল ছাব্বিশ বছর।
×