ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পিরোজপুরে স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার ॥ ক্ষোভে-লজ্জায় আত্মহত্যা

প্রকাশিত: ০৪:২১, ২ মার্চ ২০১৫

পিরোজপুরে স্কুলছাত্রী  গণধর্ষণের শিকার ॥  ক্ষোভে-লজ্জায় আত্মহত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, পিরোজপুর, ১ মার্চ ॥ মঠবাড়িয়া উপজেলার এনসি তমিজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর এক ছাত্রী ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে গণধর্ষণের শিকার হয়ে পরদিন শুক্রবার ক্ষোভে-লজ্জায় গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করেছে। অথচ এ ঘটনায় রহস্যজনক কারণে অপমৃত্যু মামলা হয়। এতে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়দের চাপের মুখে ও উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমানের হস্তক্ষেপে তিন দিন পর শনিবার রাতে মঠবাড়িয়া থানায় অপহরণ ও গণধর্ষণ এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা হয়। নিহত শারমিনের মা গার্মেন্টস কর্মী নুরুন্নাহার বাদি হয়ে তাফালবাড়িয়া গ্রামের মুছা হাওলাদারের ছেলে আল আমিন, আবদুর রশিদের ছেলে নাসির, বাদশা মিয়ার ছেলে রাসেল ও নলী তুলাতুলা গ্রামের মৃত ইউসুব আলীর ছেলে মুক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তাফালবাড়িয়ার ফরাজীর হাটের বাসিন্দা দিনমজুর ইসমাইল খানের কন্যা ও এনসি তমিজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী শারমিন ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ঘরের বাইরে এসে চট্টগ্রামে বসবাসরত মা বাবার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলছিল। এ সময় চার নরপশু শারমিনের মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আধা কিলোমিটার দূরে মাঠের মধ্যে নিয়ে সারারাত পালাক্রমে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। শুক্রবার সকালে ধর্ষকদের দুই আত্মীয় বাবুল ও মুছা মিয়া আহত অবস্থায় শারমিনকে উদ্ধার করে তার দাদা-দাদীর কাছে পৌঁছে দেয়। একই দিন বেলা ১১টার সময় শারমিন ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
×