ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

লেনদেন বাড়লেও সূচকে মিশ্র অবস্থা

প্রকাশিত: ০৭:৪০, ১ মার্চ ২০১৫

লেনদেন বাড়লেও সূচকে মিশ্র অবস্থা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সপ্তাহের ব্যবধানে উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেন বাড়লেও সূচকে ছিল মিশ্রাবস্থা। এ সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বেড়েছে। তবে সূচক ছিল মিশ্রাবস্থায়। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে দুটি সূচক কমলেও বেড়েছে ১টি। সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই চিত্র ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫০৮ কোটি ৪৮ লাখ ৩ হাজার ৮৫ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৩১৯ কোটি ৮১ লাখ ৬৪ হাজার ৭২৩ টাকার শেয়ার। এ হিসাবে আলোচিত সপ্তাহে ঢাকার বাজারে লেনদেন বেড়েছে ১৮৮ কোটি ৬৬ লাখ ৩৮ হাজার ৩৬২ টাকা। লেনদেনের মধ্যে ৮৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির, ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির ছিল ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ, ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির ছিল ৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ ও ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানির ছিল ৪ দশমিক ৭২ শতাংশ। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে দশমিক ৫২ শতাংশ বা ২৫ দশমিক ০১ পয়েন্ট। ডিএস৩০ সূচক কমেছে দশমিক ৩১ শতাংশ বা ৫ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট। অপরদিকে শরিয়াহ বা ডিএসইএস সূচক বেড়েছে দশমিক ২৩ শতাংশ বা ২ দশমিক ৬২ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে মোট ৩২০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৭টির, কমেছে ২১৮টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৪টি কোম্পানির শেয়ারের দর। আর লেনদেন হয়নি ১টি কোম্পানির শেয়ার। অন্যদিকে সিএসইতে আলোচিত সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ১০ কোটি ৮৯ লাখ ৬৫ হাজার ৬৫৬ টাকা। আলোচিত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১২২ কোটি ৬২ লাখ ৯৭ হাজার ১৯৮ টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১১১ কোটি ৭৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৪২ টাকার শেয়ার। আলোচিত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন বাড়লেও সূচকে ছিল মিশ্রাবস্থা। এ সপ্তাহে সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই কমেছে দশমিক ৬৯ শতাংশ। সিএসই৩০ সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৭১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৪টির, কমেছে ১৭৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সপ্তাহের প্রথম কার্য দিবস এ ডিএসইতে লেনদেন ৮ শতাংশ কমলেও সিএসইতে বেড়েছে ২৬ দশমিক ৭১ শতাংশ। ডিএসইতে ব্রড ইনডেক্স ১৩.৯৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪৮০২ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ২৪৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। সিএসইতে সাধারণ মূল্যসূচক ৩৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮৯৩১.৬৯এ। লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্য দিবস ডিএসইতে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪৮০৮.৬৪ তে। লেনদেন হয়েছে ৩১৫ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ দিন ৬৯ কোটি ৮০ লাখ টাকার লেনদেন বেড়েছে। সিএসইতে সাধারণ মূল্যসূচক ৯.৮৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮৯২১.৯১এ। লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। তৃতীয় কার্য দিবস ডিএসইতে ব্রড ইনডেক্স ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪৮০১তে। এ দিন লেনদেন হয়ে ৩১৫ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের দিনের হিসাবে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে ৬ কোটি ৭ লাখ টাকার। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের দিন সিএসইতে ৯.৮৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৮৯২১.৯১-এ। এ দিন লেনদেন কমেছে ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। শেষ কার্য দিবস ডিএসইতে ব্রড ইনডেক্স ২০.৯৯ বেড়ে অবস্থান করছে ৪৭৬৩ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ২৯৬ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ দিন লেনদেন হওয়া ৩০৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বাড়ে ৩৬টি, কমে ২৪৮টি আর অপরিবর্তিত থাকে ২৪টির। সে হিসাবে লেনদেনের পরিমাণ বাড়ে ৩৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। সিএসইতে সাধারণ মূল্যসূচক ৪১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮৮৫৯এ। লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ দিন লেনদেন হওয়া ২৪৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বাড়ে ৩৫টির, কমে ১৮৬টির এবং দর অপরিবর্তিত থাকে ২৪টির।
×