ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

৪৮ ঘণ্টায়ও অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের কোন কূল কিনারা নেই

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১ মার্চ ২০১৫

৪৮ ঘণ্টায়ও অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের কোন কূল কিনারা নেই

ফিরোজ মান্না ॥ গোটা জাতিই শুধু নয়, বিশ্বব্যাপী অভিজিত হত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া চলছে। অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডে ধর্মান্ধ উগ্র-জঙ্গীগোষ্ঠীর দায় স্বীকার বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একজন অসাম্প্রদায়িক চেতনার মুক্তমনা মানুষের নাম অভিজিৎ রায়। তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে জঙ্গীগোষ্ঠীর শক্তির জানান নিয়ে বিশ্বের অনেক দেশই এখন শঙ্কা প্রকাশ করেছে। অভিজিৎ রায়কে হত্যা করা হবে এমন হুমকি অনেক আগে থেকেই ছিল। এর দায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিটিআরসি কোনভাবেই এড়াতে পারছে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিটিআরসি অভিজিৎ হত্যাকা-ের আগে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে যে সব স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে তার কিছু জানে না বলে জানিয়েছে। যুক্তি ও বিজ্ঞান চর্চাই ছিল অভিজিৎ রায়ের লেখালেখির মূল বিষয়বস্তু। তার এই যুক্তি ও বিজ্ঞাননির্ভর লেখাই উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর আঁতে ঘা লাগে। এ জন্য এক বছর আগে থেকেই তাকে হত্যার পরিকল্পনা তৈরি করা হয়। এই হত্যা পরিকল্পনাটি ছিল অনেকটা প্রকাশ্যেই। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা অভিজিৎকে যে হত্যা করা হবে এটা নিশ্চিত জানত। সামাজিক যোগাযোগের সব মাধ্যমেই অভিজিৎকে হত্যা করার জন্য নানা স্ট্যাটাস দিয়েছে উগ্রপন্থীরা। দেশে শান্তিকামী অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রগতিশীল মানুষকে একের পর এক হত্যা করা হচ্ছে। সেই পরিকল্পনারই অংশ অভিজিৎ রায় হত্যাকা-, যাকে হত্যা করতে পারলে সারা দুনিয়ায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে। হয়েছেও তাই। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অভিজিৎ হত্যার বিষয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বিশ্ব মিডিয়ায় অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের খবর গুরুত্বের সঙ্গে ছাপা হয়েছে। জঙ্গীগোষ্ঠী অভিজিৎ হত্যাকা-ের মধ্য দিয়ে জানান দিয়েছে, তারা বাংলাদেশে শক্ত অবস্থান নিয়ে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন পর্যন্ত অভিজিৎ হত্যাকা-ের কোন কূলকিনারা খুঁজে পায়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকটি সংস্থা অভিজিৎ হত্যাকারী কারা তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে একটি গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে। কিন্তু গত ৪৮ ঘণ্টায়ও কোন ক্লু বের করতে পারেনি তারা। তাহলে কি অভিজিৎ হত্যাকা-ের বিষয়টি ওই এলাকার ৮ পয়েন্টে ডিউটিরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শতাধিক সদস্যরা জানতেন। তারা দেখেও কেন অভিজিৎকে উদ্ধারের চেষ্টা করল না। তারা কি এই হত্যাকা-ে লাভবান হয়েছে। নাকি তারা এই হত্যাকা-কে সমর্থন করেছে- এমন প্রশ্ন তুলেছেন গণজাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা অভিজিৎকে হত্যা করেছে। তারাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে, বাহিনীর এত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্য থাকতে হত্যাকারী প্রকাশ্যে হত্যা করে কি করে অনায়াসে পার হয়ে গেল। এ সব প্রশ্নের জবাব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখনও পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, বিটিআরসি পক্ষ থেকেও কোন জবাব মেলেনি। তারাও অভিজিৎকে হত্যা করার স্ট্যাটাস সম্পর্কে কোন তথ্য জানে না বলে জানিয়েছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি বিভাগ সাইবার বিষয়ে সর্বক্ষণিক নজর রাখেন। তাদের কাছেও এর কোন জবাব নেই। তাদের কাছে বিষয়টি যেন একটা অদৃশ্য। অথচ বাংলা ব্লগ ও ফেসবুকে ‘তালেবান জঙ্গী’ হিসেবে পরিচিত ফারাবী শফিউর রহমান গত কয়েক মাস ধরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অভিজিৎকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। সর্বশেষ এই উগ্র ধর্মান্ধ ফারাবী দেশের চারটি শীর্ষ বাংলা ব্লগের প্রধান এবং তাদের এ্যাডমিনসহ নয়জন জনপ্রিয় ব্লগারকে খুন করার জন্য র‌্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই ছাত্র এর আগে ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যার পর তার জানাজায় ইমামতি করা ইমামকেও হত্যার হুমকি দিয়েছিল। সে নিয়মিত ব্লগারদের হত্যার হুমকি দিতে থাকলে একপর্যায়ে তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার করে। পরবর্তী পর্যায়ে মানবিক কারণ দেখিয়ে সে হাইকোর্ট থেকে জামিন পায়। কিন্তু জামিন পাওয়ার পর আবারও সে একইভাবে জনপ্রিয় ব্লগার এবং অনলাইন এ্যাক্টিভিস্টদের হুমকি দেয়া শুরু করে। নিজ পরিচয়ে প্রকাশ্যে হুমকি দিলেও এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে নতুন করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া কিংবা জামিনের শর্ত লঙ্ঘন করায় জামিন বাতিলের আবেদন করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফেসবুকে একটি টাইমলাইন এবং একটি ফ্যান পেজ খুলে নিয়মিত ধর্মের নামে উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস দিচ্ছে ফারাবী শফিউর রহমান। ফ্যান পেজে শফিউরের ছবি থাকলেও টাইমলাইনে শফিউরের প্রোফাইলে দেখা যায় একটি সাদা বেড়ালের ছবি। গত এক সপ্তাহের পোস্টে দেখা যায় ফারাবী দেশের চারটি স্বনামধন্য সংবাদপত্র ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিরুদ্ধেও নানা আপত্তিকর মন্তব্য লিখেছে। এদিকে ফারাবী শফিউরের এ ধরনের তৎপরতার বিরুদ্ধে সরকারের নির্বিকার অবস্থানের কারণে ব্লগ ও সামাজিক সাইটগুলোতে ব্যাপক সমালোচনা হয়। পোস্টগুলোতে অনলাইন তালেবান জঙ্গী ফারাবী শফিউরের জামিন বাতিল করে অবিলম্বে তাকে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। ফারাবী নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সক্রিয় সদস্য। ২০০৯ সালে হিযবুত তাহরীর নিষিদ্ধ হলে এই জঙ্গী গ্রেফতার এড়াতে ছাত্রশিবিরের রাজনীতিতে যোগ দেয়। সে একই সঙ্গে ছাত্রশিবির ও নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন হিযবুত তাহরীরের রাজনীতি করতে শুরু করে। ২০১০ সালে পুলিশ তাকে হিযবুত তাহরীরের সদস্য হিসেবে একবার গ্রেফতারও করেছিল। এবার আবার গ্রেফতার হলে ডিমথেরাপি দিয়ে তাকে আধমরা করে দেয়া হয়েছিল। মানবিক কারণ দেখিয়ে হাইকোর্ট থেকে গত বছরের ২১ আগস্ট জামিনে রয়েছে সে। জেল থেকে বের হয়েই আবার প্রগতিশীল মানুষকে হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এক স্ট্যাটাসে সে লিখেছে, বুয়েটের দ্বীপ হত্যা মামলার আসামিকে জাতীয় বীর ঘোষণার দাবি করেছে। একজন ব্লগার বলেন, ফারাবী তার ফেসবুকে লিখেছে- চুপ, কোন কথা না! শফিউর রহমান ফারাবীকে আমি চিনলাম একটা ঘটনার মাধ্যমে। একদিন সাত সকালে ঘুম থেকে ওঠে দেখি আমার ফেসবুক আইডিতে মোশারফ করিমের মেসেজ। ঐখানে যা লেখা তার পিকটা আমি আপলোড করলাম। ডিটেল বলে টাইম নষ্ট করতে চাই না। পরে জানতে পারলাম ওই ফেক আইডিটা ফারাবীর। মুখে ইসলামের বুলি...। ফারাবী নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন হিযবুত তাহরীরের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ২ নম্বর গেট থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আরেকটি আইডিতে সে লিখেছিল, যেই ইমাম ‘থাবা বাবা’র জানাজা পড়াবে, সেই ইমামকেও হত্যা করার হুমকি দিল ফারাবী! আরেকটি পোস্টে ফারাবী লিখেছে, এখানে হাম্বালীগ নিষিদ্ধ। সকল প্রকার হাম্বাদের পাওয়ামাত্রই গদাম গদাম গদাম। সামাজিক যোগাযোগের এই ওয়েবসাইটে দেয়া স্ট্যাটাসে রাজীব হত্যাকা-ের অভিযোগে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তি দেয়া নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচ ছাত্র এবং বুয়েট ছাত্রলীগ নেতা আরিফ রায়হান দীপ হত্যাকাণ্ডের আসামির মুক্তিও দাবি করেছে। এরকম কয়েক শ’ স্ট্যাটাস ফারাবীর রয়েছে, যা কিনা বিটিআরসি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে কখনও আসেনি। ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রথাবিরোধী লেখক ড. হুমায়ুন আজাদের ওপর একই এলাকায় একই স্টাইলে হামলা চালানো হয়। এছাড়া ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার, আসিফ মহিউদ্দীনের ওপরও একইভাবে হামলা করা হয়। নিহতের পরিবারও বলছে, উগ্রপন্থীরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এছাড়া অভিজিৎ হত্যাকা-ের ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা করেন অভিজিতের বাবা অজয় রায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সন্দেহের তীর উগ্রপন্থী জঙ্গী সংগঠনের দিকে, এমন কথা শোনার পর থেকেই গণজাগরণ মঞ্চসহ সমাজের নানা স্তরের মানুষের মধ্যে একটা হাসির খোরাক হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটি জঙ্গী সংগঠন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। তালেবান জঙ্গী ফারাবী তো প্রকাশ্যেই হত্যার বিষয়টি গত কয়েক মাস ধরে অভিজিতকে হত্যার কথা বলে আসছে। তারপরও আবার সন্দেহ কেন? বিষয়টি তো পরিষ্কার হয়েই আছে। অভিজিৎ রায়ের ওপর হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে ঘটনার এক ঘণ্টা পরই টুইটারে একটি পোস্ট দিয়েছে আনসার বাংলা-৭ নামের একটি সংগঠন। সেখানে বলা হয়- ‘৩-৪ বছর আগে থেকেই অভিজিৎ হিটলিস্টে ছিলেন।’ কারণ তাঁরা মনে করেন- ‘অভিজিৎ রায় ব্লগে যা লিখছেন তা ইসলামের আদর্শ পরিপন্থী।’ প্রথম টুইটে বলা হয়- ‘আল্লাহু আকবর, বাংলাদেশে আজ একটি বিশাল সাফল্য এসেছে।’ দীর্ঘ ১০ বছর ধরে উগ্রপন্থীদের কর্মকা- নিয়ে কাজ করেন এমন এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সম্প্রতি একজন প্রকৌশলী ও ব্লগারের ওপর হামলা, আশুলিয়ায় একজন ব্লগারকে খুনের পর একইভাবে টুইটারে দায়িত্ব স্বীকার করে দুটি সংগঠন। এভাবে দায়িত্ব স্বীকার করে প্রকৃত খুনীদের আড়াল করার একটি কৌশল রয়েছে উগ্রবাদীদের। অভিজিৎ হত্যাকা-ের দায় স্বীকার করেছে আনসার বাংলা-৭ নামের একটি সংগঠন। এই দায় স্বীকার করার বিষয়টি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলকে জানান দেয়া- তারা বাংলাদেশেও সক্রিয় অবস্থান নিয়ে আছে, যাতে বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বের দৃষ্টি পড়ে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এমন একটি দায় স্বীকার করা হয়ে থাকতে পারে। অভিজিতের বাবা অজয় রায়ও সাম্প্রদায়িক জঙ্গীগোষ্ঠী তাঁর ছেলেকে হত্যা করেছে- এমন বক্তব্য শুরু থেকেই দিয়ে আসছেন। এরপরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বক্তব্য নিয়ে নানা মহলেই প্রশ্ন উঠেছে। অভিজিত রায় খুন হওয়ার পর আলোচনায় সেই ফারাবী শফিউর রহমান। যে বিভিন্ন সময় মুক্তমনা মানুষকে ফেসবুকে হুমকি দিয়ে গ্রেফতার হয়েছিল। সর্বশেষ গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি ফারাবী তার অনুসারী মান্নান রাহী নামের একজনের ফেসবুক পোস্টের নিচে কমেন্ট করে- ‘অভিজিৎ রায় আমেরিকা থাকে। তাই তাকে এখন হত্যা করা সম্ভব না। তবে সে যখন দেশে আসবে তখন তাকে হত্যা করা হবে।’ বৃহস্পতিবার রাতে অভিজিৎ রায় খুন হওয়ার পর ব্লগ ও অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফারাবীর সেই পোস্ট নিয়ে ঝড় উঠেছে। স্কিনশর্ট নিয়ে ফারাবীর পোস্টগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন করে পোস্ট করে তাকে অভিজিৎ হত্যাকা-ের অন্যতম নায়ক বলেও দাবি করা হচ্ছে। একই বছর ফারাবী অভিজিৎ রায়ের ফেসবুক আইডি পোস্ট করে লেখেন- ‘এই হচ্ছে অভিজিত রায়ের ফেসবুক আইডি। এই অভিজিত রায় আমেরিকা থাকেন, যাঁরা আমেরিকায় থাকেন তাঁরা তাঁর ব্যাপারে খোঁজখবর লাগান।’ এই পোস্টের নিচে ‘তুফান বাবা’ নামে একজন লেখেন- ‘বাচ্চাটাকে নিজ হাতে খুন করে ফাঁসিতে ঝুলতে চাই।’ ইকবাল বিন আহমেদ নামে একজন লেখেন- ‘অভিজিৎ রায়ের বাবারে আগে মারতে হবে।’ এরপরই ২০১৪ সালের মার্চে ফারাবী হুমকি দেন অনলাইনে বই বিক্রির প্রতিষ্ঠান রকমারী ডটকমকে। সেখান থেকে অভিজিৎ রায়ের বই তুলে নেয়ার জন্য এ হুমকি দেয়া হয়। ওই সময় হুমকির মুখে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ওয়েবসাইট থেকে অভিজিৎ রায়ের বই তুলে নিতে বাধ্য হয়।
×