ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ছোটনের প্রাথমিক ক্যাম্পে ৩৯ কিশোরী ফুটবলার

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ছোটনের প্রাথমিক ক্যাম্পে ৩৯ কিশোরী ফুটবলার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগামী ২০-২৫ এপ্রিল ২০১৫ পর্যন্ত এএফসি অনুর্ধ-১৪ গার্লস চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত হবে। এ আসরে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বাফুফে ভবনে একটি আবাসিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে। এ আবাসিক ক্যাম্প উপলক্ষে ৩৯ কিশোরী ফুটবলারকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। খেলোয়াড়রা প্রয়োজনীয় ক্রীড়া সরঞ্জামাদিসহ বুধবার বেলা ১১টায় বাফুফে ভবনে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের কাছে রিপোর্ট করে। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় এই আসরে ‘ফেয়ার প্লে’ ট্রফি জেতায় এবারও ভাল করার লক্ষে বুধবার থেকে প্রায় ২ মাসের প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু করেছে বাফুফের মহিলা উইং। ডাকপ্রাপ্ত ৩৯ কিশোরী ফুটবলার হচ্ছেÑ তাসলিমা, মাহমুদা, কল্পনা, নাজমা, শিউলি, ময়না, মারিয়া, মারজিয়া, ইয়াসমিন, শামসুন, সাজেদা, সাবিনা, সানজিদা, তহুরা, (ময়মনসিংহ), আইরিন (নীলফামারি), মৌসুমী, রাজিয়া (সাতক্ষীরা), ঝুমা, নীলা (কুষ্টিয়া), নার্গিস, স্মৃতি, মৌসুমী, রতœা, রোকসানা, শিরাত, (রংপুর), জ্যোৎস্না, রুমা, সুবর্ণা, কৃষ্ণা রানী, (টাঙ্গাইল), নার্গিস, ইলা, স্বপ্না (রাজশাহী), শর্মিলি, শেফালি, (নড়াইল), মনিকা, চাতুইমা (রাঙ্গামাটি), আখি (সিরাজগঞ্জ), অনন্যা (যশোর), সাদিয়া (নরসিংদী) কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। নিজে এক সময় ছিলেন কৃতী ফুটবলার। ১৯৮৮-২০০২ পর্যন্ত খেলেছেন আরামবাগ, ফকিরেরপুল, ওয়ারী ও বিআরটিসির হয়ে। অধিনায়কত্বও করেছেন প্রতিটি দলেরই। মজার বিষয়Ñ খেলোয়াড়ী জীবন চলাকালেই কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি! ১৯৯৩ সালে যখন ওয়ারীর হয়ে খেলতেন, তখন থাকতেন মতিঝিলের টিএ্যান্ডটি কলোনিতে। সেখানকার টিএ্যান্ডটি ক্লাব সেবার প্রথমবারের মতো অংশ নেয় পাইওনিয়ার ফুটবলে। কলোনির মুরুব্বি ও বড় ভাইয়েরা চেপে ধরলেন, এলাকার ক্লাবটির কোচ হতেই হবে ছোটনকে। কি আর করা, অনুরোধে ঢেঁকি গিলতেই হলো! কোচিংয়ের কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই, অথচ ছোটনের অধীনে সে বছর টিএ্যান্ডটি ক্লাব পাইওনিয়ার লীগে চ্যাম্পিয়ন হয়! সেই থেকে শুরু। তারপর ১৯৯৬ সালে টিএ্যান্ডটি ক্লাবকে তিনি শিরোপা পাইয়ে দেন তৃতীয় বিভাগ ফুটবলেও। ২০০৬ সালে বাফুফে কোচ হিসেবে চাকরি হয় তার। ২০০৮ সালে মারদেকা কাপে জাতীয় ফুটবল দলের সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১০ এসএ গেমসে তাম্রপদক জেতা বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা দলেরও সহকারী কোচ ছিলেন ছোটন। মেয়েদের বয়সভিত্তিক দলগুলোর কোচ হিসেবে আছেন ২০০৯ সাল থেকে। ছোটনের ছোট মেয়েরা যদি এফএফসি অনুর্ধ-১৪ চ্যাম্পিয়নশিপে বাছাইপর্বে উদ্ভাসিত নৈপুণ্য দেখাতে পারে, তাহলে বাংলাদেশের মহিলা ফুটবল উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে
×