ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এ্যাটলেটিকো, আর্সেনালের বেদনার রাত

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

এ্যাটলেটিকো, আর্সেনালের বেদনার রাত

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফুটবলে অঘটনের শিকার হয়েছে এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও আর্সেনাল। বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত শেষ ষোলোর প্রথম লেগের নিজ নিজ ম্যাচে হারের স্বাদ পেয়েছে দল দুটি। লেভারকুসেনের বে এ্যারানায় স্বাগতিক লেভারকুসেনের কাছে ১-০ গোলে হার মানে আসরের বর্তমান রানার্সআপ ও স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়ন এ্যাটলেটিকো। আর ইংলিশ ক্লাব আর্সেনালকে তাদেরই মাঠে ৩-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে ফরাসী ক্লাব মোনাকো। শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে এই চার দল মাঠে নামবে আগামী ১৭ মার্চ। জঘন্য হারে ২০১০ সালের পর ফের চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার স্বপ্ন একপ্রকার শেষ হয়ে গেছে আর্সেনালের। ঘরের মাঠ লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামে বাজে হারের কারণেই টুর্নামেন্ট থেকে গানার্সদের বিদায় প্রায় নিশ্চিত। এমিরেটস স্টেডিয়ামে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে আর্সেনালকে চমকে দেয় মোনাকো। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে জফ্রে কন্ডোগবিয়ার দূরপাল্লার শটে এগিয়ে যায় মোনাকো। শটটি আর্সেনালের ডিফেন্ডার পের মার্টেজাকারের গায়ে লেগে দিক পাল্টিয়ে জালে প্রবেশ করায় কিছুই করার ছিল না স্বাগতিক গোলরক্ষক ডেভিড অসপিনার। বিরতির পর ৫৩ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফরাসী ক্লাবের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় দিমিটার বার্বাটোভ। এরপর প্রাণান্ত চেষ্টা করেও গোল পাচ্ছিল না আর্সেনাল। ম্যাচের যোগ করা সময়ে একটি গোল পরিশোধ করেন এ্যালেক্স অক্সলেইড-চেম্বারলেইন। এই গোলে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও ম্যাচের শেষ মিনিটে স্বাগতিকদের ফের হতাশায় ডুবতে হয়। শেষ বাঁশি বাজার মুহূর্তে (৯৪ মিনিট) মোনাকোর হয়ে তিন নম্বর গোল করেন ইয়ানিক ফেরেইরা-কারাস্কো। প্রতিপক্ষের মাঠে দারুণ এই জয়ে শেষ আটে খেলা এখন সময়ের বিষয় মোনাকোর। দলটির কোচ লিওনাদ্রো জারডিম শিষ্যদের পারফর্মেন্সে বেজায় খুশি। তিনি ম্যাচ শেষে বলেন, ছেলেরা অনেক ভাল খেলেছে। আমরা আক্রমণাত্মক খেলতে চেয়েছিলাম। তাই খেলেছি এবং ফলও পেয়েছি। তিনি আরও বলেন, পরের লেগ আমরা নিজেদের মাঠে খেলব। তবে আত্মতুষ্টিতে ভুগলে চলবে না। কারণ আর্সেনাল ভাল দল, তারা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে। আর্সেনাল কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার হতাশ দলের পারফর্মেন্সে। তিনি বলেন, এমন পারফর্মেন্স মেনে নেয়া কঠিন। আমরা মোটেও ভাল করতে পারিনি। পরবর্তী পর্বে খেলার স্বপ্নটা এখন দুরাশা হয়ে গেল। আরেক ম্যাচে স্বাগতিক লেভারকুসেন শুরু থেকেই অতিথি এ্যাটলেটিকোর ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে। তবে পাল্টা আক্রমণ থেকে স্প্যানিশ ক্লাবটিও আক্রমণ শাণাতে থাকে। ফলে জমে উঠে ম্যাচ। প্রথমার্ধে কোন দলই গোল পায়নি। বিরতির পর ৫৭ মিনিটে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। গোল করেন লেভারকুসেনের হাকান ক্যালহনোগলু। এরপর ম্যাচে ফিরতে প্রাণান্ত চেষ্টা করেও পারেনি এ্যাটলেটিকো। উল্টো থিয়াগো দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে ম্যাচের ৭৬ মিনিটে মাঠ ছাড়লেও বেকায়দায় পড়ে দিয়াগো সিমিওনের দল। শেষ পর্যন্ত তাই হার নিয়েই দেশে ফিরতে হয়েছে এ্যাটলেটিকোকে।
×