ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ফের চমক দেখানোর অপেক্ষায় গেইল!

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ফের চমক দেখানোর অপেক্ষায় গেইল!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কোন ব্যাটসম্যানের ব্যাটে রান দেখার জন্য এমন তীব্র আকাক্সক্ষা সম্ভবত আর কখনও ছিল না। টানা ১৯ ম্যাচে একেবারেই ব্যর্থ ছিলেন ক্রিস গেইল। ছিল ১টি হাফসেঞ্চুরি। সর্বশেষ সেঞ্চুরি হাঁকানোর দেড় বছর পেরিয়ে গিয়েছিল। অথচ বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর ব্যাটসম্যান হিসেবে স্বীকৃত এ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার। সবার প্রত্যাশা ঠিকই পূরণ করেছেন। ফিরেছেন তা-ব চালিয়ে। জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন সর্বাধিক ব্যক্তিগত ২১৫ রানের ইনিংস খেলেছেন ১৬ ছক্কা হাঁকিয়ে। তবে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আবার গেইল ঝড় হওয়া নিয়ে আছে শঙ্কা! কারণ ওই ম্যাচের পরেই পিঠের ব্যথায় অনুশীলনেও অনুপস্থিত থেকেছেন তিনি। যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জ্যাসন হোল্ডার দাবি করেছেন পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং শুশ্রƒষায় ম্যাচে খেলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত গেইল। বিধ্বংসী এ ব্যাটসম্যান নিজেও দাবি করেছেন পিঠের ইনজুরির সঙ্গে মানিয়ে উঠেছেন তিনি এবং সেটাকে সঙ্গী করেই স্বাভাবিক খেলা উপহার দিতে পারবেন। পিঠের ইনজুরিটা অনেক পুরনো। গত বছর জানুয়ারি থেকেই পিঠের ইনজুরিটা ভোগাচ্ছে। দীর্ঘসময় পিঠের ব্যথা থাকার কারণে বেশ মানিয়ে উঠেছেন গেইল। তাই এখন আর এটিকে তেমন পাত্তাই দেন না। এ বিষয়ে গেইল বলেন, ‘এটা আসলে এক ধরনের মানসিক বিষয়। গত বছর জানুয়ারি থেকেই পিঠের ইনজুরিটা আছে আমার। সত্য বলতে কী আমার মনে হচ্ছে এটার কোন সমাধান সম্ভব নয়। আমি সব সময় জিমে যেতে পছন্দ করি এবং চেষ্টা করি পর্যাপ্ত ম্যাসাজ করিয়ে নিজেকে সারিয়ে তুলতে। গত কয়েক মাস ধরে সে কারণে ব্যথাকে দূরে রাখতে পেরেছিলাম।’ গত তিন ম্যাচেই তিন শতাধিক রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেটা করার প্রত্যয় জানালেন গেইল। তিনি বলেন, ‘টানা তিন ম্যাচে তিন শতাধিক রান পাওয়াটা সত্যিই ইতিবাচক বিষয়। আশা করছি আগামীকাল (আজ) আমরা টানা চতুর্থবার সেটা করতে পারব। আমরা সম্প্রতিই দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করেছি। সে কারণে পরস্পর সম্পর্কে বেশ ভালই জানি আমরা। উভয় দলই এখন নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আছে এবং আমাদের প্রমাণ করার জন্য সেরা নৈপুণ্য দেখাতে হবে।’ গেইল অনুশীলনে অনুপস্থিত সেটা নিয়ে অধিনায়ক হোল্ডারের তেমন মাথা ব্যথা নেই। তিনি ক্রিকেটারদের আশপাশে আছেন সেটাই অনেক বড় বিষয় হিসেবে দেখছেন তিনি। হোল্ডার বলেন, ‘আমরা তাকে অনেক পছন্দ করি। তিনি ড্রেসিং রুমে এবং অনুশীলনের সময় বাড়তি একটা আনন্দময় পরিবেশ সৃষ্টি করেন। সবসময় আমরা তাকে ঘিরে থাকি। আমাদের দলগতভাবে সাফল্য পাওয়ার জন্য তার উপস্থিতি খুবই জরুরী। আমরা তাকে সর্বোচ্চ পর্যবেক্ষণ ও পরিচর্যায় রেখেছি।’ গেইল মানে শক্তি, গেইল মানে ভীতি যে কোন বোলারের জন্য। তাই বিশ্বখ্যাত ক্রীড়াসামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এডিডাসও তার জুতা সরবরাহ করেছে ‘গেইল ফোর্স’ নামে। ব্যাটেও আছে স্পার্টান ‘গেইল ফোর্স’ নাম। তার বিষয়ে ভালভাবেই জানেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স। গেইলকে সবচেয়ে বড় ভয়ের কারণ মনে করছেন তিনি। অনুশীলনে গেইলের অনুপস্থিতি কোন বিষয়ই নয় দাবি করে ভিলিয়ার্স হেসে বলেন, ‘তিনি তো অনেক সময়ই অনুশীলন করেন না। আমি তার সঙ্গে ব্যাঙ্গালোরে দীর্ঘদিন খেলেছি এবং অধিকাংশ সময়ই নেটে দেখিনি। কিন্তু এসব তার জন্য কোন বিষয়ই নয়। এরপরও তিনি রান করেন। সত্যি বলতে কি এটা কোন আশ্চর্যের বিষয় নয়। আমি মনে করি যে কোন পরিস্থিতি থেকেই তিনি দলকে জয়ী করানোর ক্ষমতা রাখেন। আমাদের জন্য তিনি ভয়ানক হুমকি।’
×