ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

এ পর্যন্ত ইবোলা রোগীর সন্ধান মেলেনি

প্রকাশিত: ০৮:২৪, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

এ পর্যন্ত ইবোলা রোগীর সন্ধান মেলেনি

সংসদ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ইবোলা ভাইরাসের কোন রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে ইবোলা ভাইরাস প্রতিরোধে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা রোধে চীনের ন্যায় জনগণের জন্য বাধ্যতামূলক কোন আইন করার পরিকল্পনা সরকারের আপাতত নেই। বুধবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। মোহাম্মদ ইলিয়াছের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ইবোলা ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় ইবোলা মনিটরিং টিম গঠন, আন্তর্জাতিক প্রবেশ বন্দরে ২৭টি মেডিক্যাল টিমের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় লজিস্টিক নিয়ে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ হতে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং কার্যক্রম পরিচালনা, আন্তর্জাতিক বিমান, সমুদ্র ও স্থলবন্দরে ৭টি থার্মাল স্ক্যানার স্থাপন এবং পশ্চিম আফ্রিকার দেশ হতে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং করে ২১ দিন পর্যন্ত বিশেষ পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাইভেট হাসাপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো রোগীর কাছ ইচ্ছেমতো ফি আদায় করছে। এটা বন্ধে কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে কি-না? সরকারী দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম জানান, সরকারী হাসপাতালের ফি নির্ধারণের ন্যায় প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ফি নির্ধারণের নীতিমালা রয়েছে। উক্ত নীতিমালায় সকল প্রকার ফি নির্ধারণ আছে। উক্ত নীতিমালা আরো যুগোপযোগীকরণের কার্যক্রম মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সম্প্রতি বাংলাদেশে বর্তমান সরকার জনগণের জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করণার্থে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক তৈরির নিমিত্ত দেশে কয়েকটি নতুন মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছে। এর ফলে চিকিৎসা শিক্ষায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষকসহ প্রয়োজনীয় জনবলের বাড়তি চাহিদা পূরণে সরকার অত্যন্ত সজাগ রয়েছে এবং এ সমস্যা সমাধানে তৎপর রয়েছে। বিদ্যমান চিকিৎসকদের মধ্য হতে উপযুক্ত ও যোগ্য চিকিৎসকগণকে পর্যায়ক্রমে পদোন্নতির মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
×