ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গাইবান্ধায় ১৬ শিক্ষক কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেও তুলছেন বেতন

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

গাইবান্ধায় ১৬ শিক্ষক কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেও তুলছেন বেতন

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২৪ ফেব্রুয়ারি ॥ গাইবান্ধার পলাশবাড়ি, সাদুল্যাপুর ও সদর উপজেলার ১৬টি মাদ্রাসা ও উচ্চ মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারী শিক্ষকরা দায়িত্ব পালন না করেও গোপনে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন। জেলা শিক্ষা অফিসার কুতুব উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক পত্রে সংযুক্ত তালিকা মোতাবেক ১৬ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করা হয়। জানা গেছে, জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সক্রিয় এসব নেতাকর্মী চলমান সহিংসতার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এবং পেট্রোলবোমা হামলাসহ নাশকতার মামলার আসামি। এদের মধ্যে ১৪ জন শিক্ষক পলাশবাড়ি উপজেলার এবং বাকি দুইজন সাদুল্যাপুর ও সদর উপজেলার। এ শিক্ষকরা ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন। শুধু তাই নয়, উল্লিখিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন আওয়ামী লীগ দলীয় এমপির মনোনীত নেতাকর্মীরা। জানা গেছে, পলাশবাড়ি মেরীরহাট ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সম্প্রতি বরখাস্তকৃত পলাশবাড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা কাওছার মোঃ নজরুল ইসলাম লেবু সহিংসতা ও নাশকতার সাতটি মামলার আসামি হিসেবে পলাতক থাকলেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বেতন-ভাতা নিচ্ছেন। এই মাদ্রাসাটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পলাশবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাদশা। পলাশবাড়ির মাঠেরহাট আবু বকর ফাজিল মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা সাইদুর রহমানও অনুপস্থিত থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করেছেন। এই প্রতিষ্ঠানেও ম্যানেজিং কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন আ’লীগ মনোনীত দলীয় নেতা শিমুল। পলাশবাড়ি সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল আব্দুল মজিদ আকন্দ অনুপস্থিত থেকেও বেতন নিয়েছেন।
×