ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কেজরিওয়াল হতে চান মান্না ॥ ও. কাদের

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

কেজরিওয়াল হতে চান মান্না ॥ ও. কাদের

জবি সংবাদদাতা ॥ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঢাকায় বসে দিল্লীর অরবিন্দ কেজরিওয়াল হতে চান মাহমুদুর রহমান মান্না। সেটা কখনই বাংলার মাটিতে সম্ভব নয়। অবরোধ ডেকে ও বোমাবাজি করে দেশের ১৬ কোটি মানুষকে যারা জিম্মি করে রেখেছে তাদের পক্ষে দেশে কোন জনমত নেই । শেখ হাসিনার সরকার এমন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িতদের (১৯ পৃষ্ঠা ১ কঃ দেখুন) কেজরিওয়াল (২০-এর পৃষ্ঠার পর) কাছে কখনই নতি স্বীকার করবে না। অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বুধবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বোমাবাজি ও জনবিচ্ছিন্ন আন্দোলন করে, মানুষ পুড়িয়ে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পাঁয়তারা করছেন। আর আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-ছাত্রীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত নির্মাণের জন্য অস্ত্রের পরিবর্তে বই, কাগজ, কলম তুলে দিয়েছেন। বিশ্বজিৎ হত্যাকা-ের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অপকর্ম করলে তার শাস্তি পেতেই হবে। বর্তমান সরকার আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলো বিশ্বজিৎ হত্যাকা-ের সুষ্ঠু বিচার। জগন্নাথ কলেজের ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নজরুল ইসলাম বাবু এমপি বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামের সূতিকাগার ছিল জগন্নাথ কলেজ। তাই পুরান ঢাকার এই ক্যাম্পাস নীরব থাকলে বাংলাদেশ নীরব হয়ে যায়। বিএনপি-জামায়াতের অপরাজনীতি বন্ধ না করা পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মাঠেই থাকবে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাঃ আলী নূর, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল হোসেন, নীলদলের সাধারণ সম্পাদক ড. নূর মোহাম্মদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি আনিসুর রহমান আনিস, অন্যান্য ছাত্রনেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এ সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক প্রতিনিধিগণ, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
×