ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

স্বদেশ রায়

মিডিয়া ও সাংবাদিক কি সংবিধানের উর্ধে?

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

মিডিয়া ও সাংবাদিক কি সংবিধানের উর্ধে?

পৃথিবীর অন্যতম দুই মহাকাব্যে রামায়ণ ও মহাভারতের দুই কেন্দ্রীয় চরিত্রের শরবিদ্ধ অবস্থায় দেয়া বেশ বিস্তৃত বক্তব্য আছে। রামায়ণে রাবণ আর মহাভারতে ভীষ্ম; দু’জনই শরবিদ্ধ অবস্থায় পৃথিবীকে অনেক সত্য বলে গেছেন। বাল্মীকি এবং ব্যাস আজ অবধি শ্রেষ্ঠ দুই কবি। কারও কারও মতে ব্যাসই শ্রেষ্ঠ। যাহোক, সে ভিন্ন প্রসঙ্গ। তবে পৃথিবীতে এ সত্য নিয়ে তো বিতর্ক নেই, সাধারণের অন্তর্দৃষ্টি যেখানে পৌঁছতে পারে না কবি সেখানেই পৌঁছে যান। তাই বুঝি সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে ব্যাস এবং প্রায় তিন হাজার বছর আগে বাল্মীকি ওই সত্য প্রকাশ করে যান শরবিদ্ধ মানুষ চরম সত্য উচ্চারণ করে। রাবণ ও ভীষ্ম মহাচরিত্র। সে হিসেবে মান্না কোন চরিত্রই নয়। তার পরও খোকা-মান্না ফোনালাপ ধরা পড়ার পরে শরবিদ্ধ মাহমুদুর রহমান মান্না তার ফেসবুকে দেয়া শেষ স্ট্যাটাসে জাতির জন্যে একটি প্রয়োজীয় সত্য উচ্চারণ করে গেছেন। তিনি তার ফেসবুকে দেয়া শেষ স্ট্যাটাসে বলেছেন, সবাই যেন তার এবং খোকার ফোনালাপটি ভাল করে পড়ে দেখেন বা শোনেন। বাস্তবে, বাংলাদেশের এ মুহূর্তের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র বোঝার জন্য খোকা ও মান্নার ২৭ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের ফোনালাপটি ভালভাবে শোনা বা এর পুরো টেক্সট মনোযোগের সঙ্গে পড়া প্রয়োজন। মান্নার ওই ফোনালাপটি খুব ভালভাবে শুনলে এবং প্রতিটি বিষয় বিশ্লেষণ করলে বোঝা যাবে, শেখ হাসিনা বা সরকারের বিরোধিতার নামে এই রাষ্ট্রটিকে ধ্বংস করার জন্য এ দেশের মিডিয়ার এক অংশ, সুশীল নামধারী কিছু ব্যক্তি; এরা কী জঘন্য ষড়যন্ত্র করছে। তবে যাদের নাম ও কাজগুলো ওই ফোনালাপে বের হয়ে এসেছে, এই কাজগুলো তারা করছে এ কথাগুলো যে এর আগে বলা হয়নি, তা নয়। বলা হচ্ছে। বহুবার বলা হয়েছে। কিন্তু যারা বলছেন তাদেরকে এতদিনে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে সর্বত্রই। তাদেরকে আওয়ামী লীগপন্থী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আর যারা দেশটিকে ধ্বংস করার জন্য সাধারণ মানুষ হত্যা থেকে শুরু করে সব ধরনের সন্ত্রাসকে উস্কানি দিচ্ছেন তাদেরকে বলা হয়Ñনিরপেক্ষ, সুশীল, বিশেষজ্ঞ এমনি কত কিছু। যেমন, একাত্তরের ষোলই ডিসেম্বরের পর কোলাবরেটর হিসেবে যিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন। ৯ মাস পাকিস্তানীদের কোলাবরেটর হিসেবে কাজ করেছিলেন। মিডিয়ায় দীর্ঘস্থায়ীভাবে কাজ করেননি কোনদিন। অথচ এখন স্বঘোষিত মিডিয়া বিশেষজ্ঞ হয়ে সংস্কৃতিমন্ত্রীর টেলিভিশনে প্রোগ্রাম করেন। তিনি তার টকশো পরিচালনার ভেতর দিয়ে সূক্ষ্মভাবে জামায়াত-বিএনপির কথাগুলোই টকারদের মুখে তুলে দেবার চেষ্টা করেন। এই যে সূক্ষ্মভাবে মিডিয়াকে দখল করে দেশ ধ্বংসের কাজ তারা করছে এবং এর সঙ্গে কারা কারা জড়িত এর বেশ কিছু ইঙ্গিত ও কিছু লোকের নাম কিন্তু মান্না ও খোকার টেলিফোন সংলাপ থেকে স্পষ্ট বোঝা যাবে। এছাড়া জামায়াত-বিএনপি কিভাবে দেশকে ধ্বংস করতে চায়, মান্না কী করতে চায় এগুলোতে আছেই। মান্না জামায়াতেরই লোক। জামায়াতের অন্যদের মতো সেও ইসলামী ব্যাংক পালিত ব্যক্তি। সারা পৃথিবীতে জামায়াতে ইসলামীর মতো জঙ্গী সংগঠন এ ধরনের কাজ করে। তারা তাদের অতি বিশ্বস্ত কিছু লোককে একটা অন্য আবরণ দিয়ে অন্যভাবে সামনে নিয়ে আসে। এটাও তথাকথিত ধর্মীয় জঙ্গীবাদীদের বা উগ্রধর্মীয়বাদীদের একটা কৌশল। যেমন একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়, ভারতের আন্না হাজারেকে এখন একালের গান্ধী বলছেন অনেকে। মহাত্মা গান্ধী ব্যক্তিজীবনে গভীরভাবে ধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন। কিন্তু ধর্মের নামে উগ্রবাদের বিরুদ্ধে ছিলো তাঁর কঠোর অবস্থান। জীবন দিয়ে গেছেনও ধর্মীয় উগ্রবাদীদের হাতে। আন্না হাজারে মাঠে নামার পর থেকে আজ অবধি ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে কোন কথা বলেছেন? বলেননি। তিনি কথা বলেন শুধু দুর্নীতির বিরুদ্ধে। এবার একটু মিলিয়ে দেখা যাক, আমাদের ড. কামাল হোসেন থেকে শুরু করে এই তথাকথিত সুশীলরা কি কখনও জামায়াত-বিএনপির উগ্র জঙ্গীবাদ নিয়ে কোন প্রতিবাদ-মিছিল করেছেন? কোন কথা বলেছেন? তাদেরও কিন্তু মূল এজেন্ডা দুর্নীতি। বাস্তবে দুর্নীতির বিরোধিতা করা তাদের এজেন্ডা নয়, এটা একটি মুখোশ মাত্র। এরা কখনই দেশ ধ্বংসকারী জঙ্গীদের বিরুদ্ধে নয়। উগ্র ধর্মীয় উগ্রবাদ যা একটি জাতিকে ধ্বংস করে দিতে পারে তার বিরুদ্ধে নয়। বরং মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে এরা জঙ্গীবাদ বা ধর্মীয় উগ্রবাদ নানান কৌশলে উস্কে দিচ্ছেন। যেমন, সম্প্রতি একটি পত্রিকা হিযবুত তাহরীর একটি পোস্টার, যাতে সেনা অভ্যুত্থানের উস্কানি আছে সেটাকে বড় করে ছেপেছে। পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে বক্তব্য দেবার পরে, ওই পত্রিকাটি এবং একটি বাংলা পত্রিকা দুটি লেখার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে মিডিয়া বিষয়ে বেশ সবক দিয়েছেন। তারা ফ্রি মিডিয়ার গুরুত্ব নিয়ে অনেক জ্ঞান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। শেখ হাসিনা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। জীবনের এ অধ্যায়ে এসে তাঁর জার্নালিজমে এম ফিল করার কোন ইচ্ছা আছে কিনা, আমি জানি না। তবে লেখক দুজনের লেখা পড়ে এটা স্পষ্ট বোঝা গেছে, তারা শেখ হাসিনার জার্নালিজমে এম ফিল করার জন্যে দুটি ক্লাসনোট তৈরি করে দিয়েছেন। জানি না, শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তাদেরকে বলা হয়েছিলো কিনা? যাহোক, আমরা মিডিয়া বিশেষজ্ঞ নই, নিতান্তই অতি সাধারণ মাপের অর্ধশিক্ষিত সাংবাদিক। তাছাড়া জাতে বাঙাল- তাই সহজে বুঝি, কত ধানে কত চাল হবে এই হিসেব জেনে মিডিয়া চালাতে হয়। অর্থাৎ সোজা কথায়, আমার দেশ সংবিধান অনুযায়ী চলে। দেশের একটি সংবিধান আছে। সংবিধানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা যেভাবে দেয়া হয়েছে ওইভাবে আমি মিডিয়া চালাবো। সংবিধানে আমার মত প্রকাশের স্বাধীনতা আইনের দ্বারা বিধিবদ্ধ। আমার সংবিধান, দেশের আইন বলে দেয়, দেশের সুশৃঙ্খলবাহিনীর প্রতি উস্কানিমূলক বা দেশের জন্যে, রাষ্ট্রের জন্যে ক্ষতিকারক কিছু প্রচার করা যাবে না। তাছাড়া দেশের সকল প্রতিষ্ঠান, সকল নাগরিক সংবিধানের আওতাধীন, সেখানে সাংবাদিক ও মিডিয়া কীভাবে সংবিধানের বাইরে? মিডিয়া কি দেশের প্রতিষ্ঠান নয়? সাংবাদিক দেশের নাগরিক নন? কোন গণতান্ত্রিক দেশে আছে কি যেখানে দেশের প্রচলিত আইনের উর্ধে মিডিয়া ও সাংবাদিকতা? যা হোক, শেখ হাসিনার জন্যে যে দুটি এম ফিলের নোট লেখা হয়েছিলো, সেখানে একই স্বরে বলা হয় সরকারকে সজাগ হবার জন্যে, জনগণকে সজাগ করার জন্যে পোস্টারটি গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয় পত্রিকায়। অথচ এই দুটি পত্রিকায় মান্না-খোকার ফোনালাপ কিন্তু মোটেই গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয়নি। বরং সুকৌশলে মান্নাকে ডিফেন্ড করে খুব ছোট আকারে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। তবে একজন ক্ষুদ্র সাংবাদিক হিসেবে বলতে পারি, মান্নাকে ডিফেন্ড করে ছোট্ট নিউজটি অত্যন্ত মুন্সীয়ানার সঙ্গে করা হয়েছে। যাহোক, মান্না-খোকার ফোনালাপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের লাশ ফেলার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, পেট্রোলবোমার সন্ত্রাস আরও চালিয়ে যাবার পরামর্শ দিচ্ছে মান্না- এগুলো সরকারকে জানানোর দরকার নেই! চমৎকার ‘ফ্রি মিডিয়ার’ দায়িত্ব আর কি! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের লাশ ফেলার ষড়যন্ত্র, পেট্রোলবোমা হামলা আরও চালিয়ে যাবার পরামর্শ কেন জাতিকে জানানোর দরকার নেই, ‘ফ্রি মিডিয়ায়’ এই সংবাদ চেপে যাবার দায়িত্ব পালন বিষয়ে দুটি পি এইচ ডি’র থিসিস আশা করা যায় খুব শীঘ্র এ দুটি পত্রিকা প্রকাশ করবে। মান্না-খোকার ওই ফোনালাপে জানা যায় টিভি চ্যানেলগুলোর টকশো কীভাবে জামায়াত-বিএনপি জঙ্গীদের পক্ষে তারা সোচ্চার রাখতে বা তাদের আধিপত্য বজায় রাখতে সমর্থ হয়েছে। সে কাজে কারা বেশী ভূমিকা রাখছে তার কিছু নাম ও নমুনা পাওয়া যায়। টিভি টকশোগুলো যে অধিকাংশ এই সন্ত্রাসের সপক্ষে কাজ করছে এটা প্রধানমন্ত্রী বার বার বলেছেন। লেখালেখি খুব কম হয়। কিন্তু ইতোমধ্যে ওই টকশোর বদলৌতে এমন কিছু লোক সুশীল হয়ে গেছেন যারা মূলত জঙ্গীদের লোক এতদিন কমবেশি বলা হলেও এবার মান্নার ফোনালাপ ডকুমেন্ট হিসেবে উপস্থিত হলো। তবে জঙ্গীদের এই টিভি টকশোতে আধিপত্য বিস্তারের ক্ষেত্র প্রস্তুত করার কাজে পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছে সরকারের কিছু ব্যর্থতা। বিশেষ করে তথ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা। যখন যে তথ্যমন্ত্রী আসেন তিনি ও কিছু সিবিএ নেতা মিলে সিদ্ধান্ত নেন, আমাদের একটা সম্প্রচার নীতিমালা তৈরি করতে হবে। তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে। তদন্ত কমিটি আর নীতিমালা এ দুটি বিষয় এদেশে কোন কিছু ধামাচাপা দেয়ার চমৎকার অস্ত্র। মাননীয় তথ্যমন্ত্রী ওই অস্ত্রে কুপোকাৎ হয়ে যান। আর সেই ফাঁকে মিডিয়া চলে ফ্রি স্টাইলে। জঙ্গীরা দখল করে নেয় টকশোসহ অনেক কিছুই। সব মাননীয় তথ্যমন্ত্রী কেন এভাবে ধামাচাপা পড়েন বা হ্যাং হয়ে থাকেন, তা সঠিকভাবে প্রকাশ করার যোগ্যতা বাংলা সাংবাদিকতায় একজনেরই ছিলো; তিনি চরমপত্রখ্যাত এম আর আখতার মুকুল। দেশ যখনই কোন সঙ্কটে পড়ে, সত্যি, তখনই মুকুল ভাইয়ের অভাব বড় বেশি করে মনে হয়। যাহোক, তিনি থাকলে তার চরমপত্রীয় ভাষায় (যা আমার যোগ্যতায় কুলাবে না) বলতে পারতেন, মন্ত্রী ছাব, ওই সব কমিটি উমিটি নয়, এইট্টু ল্যাজ তুইলা দ্যাখুন পাডা (পাঁঠা ) না খাসি। তাই আপনি একটু লেজটা তুলে দেখুন, ওখানে কী আছে? সোজা কথা, আপনি সংবিধানের সব কিছু সমুন্নত রাখবেন বলে শপথ নিয়েছেন। আপনার সংবিধানে কি বলা আছে, যারা টকশোতে কথা বলবেন তারা সংবিধানের উর্ধে? আইনের উর্ধে। আপনার সম্প্রচার নীতিমালা তৈরির এত তাড়া কেন? আপনি সোজা কথা বলে দেন না, সংবিধান মোতাবেক মিডিয়া চলবে। সংবিধানের বাইরে এক চুলও যেতে পারবে না। তার পর মনিটর করুন, কারা হত্যা, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদকে টকশোর মাধ্যমে বা অন্যভাবে উস্কানি দিচ্ছে। আপনি হোম মিনিস্টারকে জানিয়ে দেন প্রচলিত আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। দেশে বিচার বিভাগ আছে, তারা ব্যবস্থা নেবে? মান্না গ্রেফতার হবার পরে কয়েক ঘণ্টা জানাতে দেরী হয় তাতেই হাইকোর্টে রিট হয়, আর সরকার কী এতই অথর্ব, পঙ্গু; দিনের পর দিন টিভি টকশোর নামে দেশের নিরীহ মানুষকে পেট্রোলবোমা মেরে হত্যা করার পক্ষে উস্কানি দেবে আর তাদের বিরুদ্ধে কোন রিট হয় না, কোন পিটিশন দাখিল করা হয় না আদালতে? যাহোক, আমরা এতদিনে যে কথাগুলো বলে আসছি, খালেদা-তারেক নেতৃত্বাধীন বিএনপি, জামায়াত, জঙ্গী, টিআইবি, সুজন, সুশীল, নাগরিক সমাজ, উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ সবাই মূলত এক। এরা একাত্তরের পরাজিত শক্তি, এরা ’৭৫-এর ঘাতক শক্তি। দেশ এই একাত্তর ও ’৭৫-এর ঘাতক শক্তির সঙ্গে চূড়ান্ত যুদ্ধের এক কঠিন সময় পার করছে। বাংলাদেশের মানুষকে স্থির করতে হবে, এ সময়ে আমরা কোন্ পক্ষ নেব, জঙ্গীমুক্ত দেশ ও স্বাধীনতার পক্ষ নেব না একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও ’৭৫-এর ঘাতক শক্তি মিলে যে নতুন আইএস, তালেবান ও বোকো হারামের মতো জঙ্গীশক্তি মাঠে নেমেছে, তাদের পক্ষ নেব। এই যুদ্ধ যত চূড়ান্ত পরিণতির দিকে যাবে ততই মান্নার মতো আরও অনেকের মুখোশ খসে পড়বে। দেশের বিভিন্নস্থানে এখন বিএনপির অনেক নেতাকর্মীর মধ্যেও কিন্তু প্রশ্ন জেগেছে-তারা কেন এই সাধারণ মানুষ হত্যার পক্ষে থাকবে? তাই এখন আরও একটি বিষয় পরিষ্কার করা প্রয়োজন তারেক, বেগম জিয়া, জামায়াত ও এই তথাকথিত সুশীল; এরা জঙ্গীবাদকে নেতৃত্ব ও সমর্থন দিচ্ছে। দেশের সাধারণ মানুষ যারা এতদিন বিএনপিকে ভোট দিয়েছে তারা কিন্তু এই জঙ্গীবাদ ও সাধারণ মানুষ হত্যার পক্ষে নয়। [email protected]
×