ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মুন্সীগঞ্জে বৌদ্ধ নগরী পরিদর্শন করলেন ভারত, চীন ও কোরিয়ার ভিক্ষুরা

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

মুন্সীগঞ্জে বৌদ্ধ নগরী পরিদর্শন করলেন ভারত, চীন ও কোরিয়ার ভিক্ষুরা

স্টাফ রিপোর্টার,মুন্সীগঞ্জ ॥ নাটেশ্বরে চীন ও বাংলাদেশের যৌথ খননে আবিষ্কৃত প্রায় এক হাজার বছরের প্রাচীন বৌদ্ধ নগরী পরিদর্শন করেছেন ভারত, চীন ও কোরিয়ার প্রতœতত্ত্ববিদ ও বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। মঙ্গলবার দুপুরে ২০ প্রতœতত্ত্ববিদ ও বৌদ্ধ ভিক্ষু নাটেশ্বর গ্রামে আসেন। প্রথমে তাঁরা নাটেশ্বরে আবিষ্কৃত বৌদ্ধ নগরীর পুরাকীর্তি ঘুরে দেখেন এবং পরে তারা জেলা সদরের বজ্রযোগিনী গ্রামে অতীশ দ্বীপঙ্করের বাস্তুভিটা পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিক্রমপুর অঞ্চলে প্রতœতাত্ত্বিক খনন ও গবেষণা প্রকল্পের পরিচালক নূহ-উল-আলম লেনিন, প্রকল্পটির গবেষণা পরিচালক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান, চায়না বুদ্ধিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের তিব্বত শাখার চেয়ারম্যান দ্রুব কাং, চীনের হুনান প্রভেন্সিয়াল ইনস্টিটিউশন অব কালচারাল রেলিকস্ এ্যান্ড আরকিউলজির অধ্যাপক চাই হুয়ারবো, কোরিয়ার বুদ্ধিস্ট জেনি লি, ডেনিয়েল হু, শাওন কিন, মুন্সীগঞ্জ সদর সার্কেল এএসপি মোঃ এমদাদ হোসেন প্রমুখ। চিতলমারীতে বিলুপ্তির পথে বাবুই পাখি স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ শিল্পের কারিগর বাবুই পাখি এখন বিলুপ্তির পথে। এক সময় গ্রামের বিভিন্ন স্থানে তালগাছের দিকে চোখ রাখলে ঝুলতে দেখা যেত অসংখ্য বাবুই পাখির বাসা। এছাড়া গ্রামের পথে-প্রান্তরে ও ফসলের জমিতে হাজার-হাজার পাখির আনাগোনা চোখে পড়েছে। কিন্তু এখন সেসব দৃশ্য আর তেমন কোথাও চোখে পড়ে না। কালের আবর্তে হারিয়ে যেতে বসেছে পাখিটি। বর্তমান প্রজন্মের কাছে পাখিটির পরিচিতি কতদিন টিকে থাকবে সেটি ভাববার বিষয়। সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চল বাগেরহাটের চিতলমারীতে এক সময় নানাধরনের পাখির আনাগোনা ছিল। পাখিদের অভয়াশ্রম ছিল এখানে। এসব পাখিদের মধ্যে বাবুই পাখির উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এখানে সর্বত্রই এ পাখিটির দেখা মিলত। এদের কিচির-মিচির শব্দে ও কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠত ফসলের মাঠ। ধান এদের প্রধান খাদ্য হওয়ায় চাষীর পাকা ধানে ভাগ বসাতো এরা। লোকালয়ে এদের বিচরণ ছিল অন্য পাখিদের তুলনায় অনেক বেশি। গ্রামের অধিকাংশ তাল ও খেজুর গাছে ছিল এদের আবাসস্থল। নিপুণ বাসা তৈরিতে এদের রয়েছে অসামান্য দক্ষতা। বছরের অধিকাংশ সময় নিজেদের তৈরি বাসাতে বসবাস করে থাকে এরা। তিন থেকে চার বার বছরে ডিম থেকে বাচ্চা দেয়। পাখিটি দেখতে আকারে ছোট হলেও শিল্পগুণ তাদের অসামান্য। এদের দেখতে অনেকটা চড়ুই পাখির মতো মনে হলেও স্বভাবগতভাবে সম্পূর্ণ আলাদা প্রকৃতির। বিশেষ করে বাসা তৈরিতে তাদের নিপুণ দক্ষতা মানুষকে নানাভাবে নাড়া দিয়েছে। বাবুই পাখির বাসা তৈরিকে ঘিরে রচিত হয়েছে অনেক ছড়া, গল্প, কবিতা। বইয়ের পাতায় পাখিটি অনেক দিন টিকে থাকলেও বাস্তবে তার অস্তিত্ব কতদিন টিকে থাকবে সেটি এখন অনেকের প্রশ্ন। চিতলমারী উপজেলার বালেশ্বর নদীর চরাঞ্চলে এখনও কিছু কিছু বাবুই পাখির দেখা মেলে তবে শিকারীদের কবলে পড়ে প্রাণ হারাচ্ছে এরা। কিছু অসাধু শিকারী বিভিন্ন জাল পেতে এদের নিধন করে বাজারে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
×