ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

স্লেজিং মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত ॥ এ্যান্ডারসন

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

স্লেজিং মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত ॥ এ্যান্ডারসন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ঐতিহ্যগতভাবে সেøজিংটা অস্ট্রেলিয়ানদের পরিকল্পনারই অংশ। অকল্যান্ডে শনিবার গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। অনেকে এটিকে বিশ্বকাপের ফাইনালের রিহার্সেল হিসেবে দেখছেন! এই ম্যাচেও স্বভাবসুলভভাবে অসি-সেøজিংয়ের বিপক্ষে লড়তে হবে কিউদের। বিষয়টা মেনে নিয়ে নিউজিল্যান্ড তারকা অলরাউন্ডার কোরি এ্যান্ডারসন বলেন, ‘সেøজিং কৌশলটা এখন ভালভাবেই জানা। যদিও এটাতে আমরা নিজেদের কখনও জড়িত করিনি। মাঠে আমরা শান্ত এবং আমরা যা করি সেটাতেই অটল থাকি।’ পুল ‘এ’তে নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম তিনটি ম্যাচই জিতেছে। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জেতার পর বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিতে হয় অস্ট্রেলিয়াকে। সেদিক থেকে নিউজিল্যান্ড একটু এগিয়েই আছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি জিততে মরিয়া হয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়া তাদের সেøজিং করার নীতিতে অটল থাকবে বলেই মনে করেন এ্যান্ডারসন। তিনি আরও যোগ করেন ‘তাদের কাছ থেকে কিছুটা উত্তাপ আশা করছি। তবে আমি মনে করি, এটা তাদের ম্যাচ পরিকল্পনার অংশ এবং বিষয়টি সামনে আসলে আমরা ভালভাবেই মোকাবেলা করব।’ ১৯৯২ বিশ্বকাপে অকল্যান্ডের এই মাঠেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দিয়েছিল সেবারের সহআয়োজক নিউজিল্যান্ড। তবে এই দুই দেশ গত ২০১১ বিশ্বকাপের পর ওয়ানডেতে আর মুখোমুখি হয়নি। ভারতে ২০১১ বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই ম্যাচটিকে ক্যারিয়ারের অন্যতম বড় ম্যাচ হিসেবে দেখছেন নিউজিল্যান্ডের অনেকেই। এ্যান্ডারসন বলেন, ‘এটি আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ম্যাচ হতে যাচ্ছে এবং অন্য অনেকের জন্যও এটা একই।’ এই ম্যাচে অবশ্য অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর জন্য প্রত্যয়ী এ্যান্ডারসন। ‘এটা অস্ট্রেলিয়া, আপনি সবসময়ই অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে চাইবেন।’ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ নিয়ে কথার লড়াই শুরু হয়েছে কয়েক দিন আগেই। সাফল্য পেতে মরিয়া অস্ট্রেলিয়ান হার্ডহিটার এ্যারন ফিঞ্চ যেমন বলেন, ‘আমরা দারুণ এক ম্যাচ খেলতে যাচ্ছি সেখানে। ইনিংসের প্রথম দিকে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং অসাধারণ। আমার এবং ওয়ার্নারের চেষ্টা থাকব তাদের সাবলীলভাবে মোকাবেলা করার। দু’দলের লড়াই হবে মেধা ও কৌশলের। আর সেক্ষেত্রে আমরাই ভাল করব। অস্ট্রেলিয়ার অগ্রযাত্রা আটকানো যাবে না।’ তবে ফিঞ্চের মতো আগ্রাসী নন আরেক তারকা ডেভিড ওয়ার্নার। তিনি মনে করেন ম্যাচটি তাদের জন্য কঠিনই হবে, ‘বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড অসাধরণ ক্রিকেট খেলছে। এবারের আসরে সবাই কিউইদের নিয়ে কথা বলছেন। তাদের বিপক্ষে ম্যাচটি আমাদের জন্য হবে কঠিন পরীক্ষা।’ কিউই অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের প্রশংসা করে তিনি আরও যোগ করেন, ‘কিউইদের হারাতে আমাদের সামর্থ্যরে সবটুকু ঢেলে দিতে হবে। আগের ম্যাচে ইংলিশদের কিউইরা কিভাবে উড়িয়ে দিয়েছিল তা আমরা দেখেছি। ম্যাককুলামকে নিয়ে তাদের ব্যাটিং লাইন যেমন শক্তিশালী তেমনি বোলিং লাইনআপও দুর্দান্ত।’ এবারের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে অন্যতম ফেবারিটের তালিকায় নিউজিল্যান্ড। মাঠেও ফেবারিটের মতোই খেলছে ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের দল।
×