ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আমরা এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ॥ মিসবাহ

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

আমরা এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ॥ মিসবাহ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টানা দুই ম্যাচ হেরে চরম সমস্যায় পতিত হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও আরও চারটি ম্যাচ বাকি আছে এবং এ ম্যাচগুলো জিততে পারলেই নিশ্চিত হবে কোয়ার্টার ফাইনাল। সে কারণে এখন পাকিস্তানের জন্য বিশ্বকাপে টিকে থাকার জন্য জীবন-মরণ লড়াইয়ের অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সেটা ভালভাবেই বুঝতে পারছেন পাক অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক। প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে ৭৬ রানের বড় পরাজয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু হয়েছে পাকিস্তানের। আর এরপরই দলের ক্রিকেটাররা যে অনেক মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন তা বোঝা গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে। ক্যারিবীয়দের বিরুদ্ধে আরও দুর্দশায় পতিত হয়েছে দল। এবার হেরেছে ১৫০ রানের বিশাল ব্যবধানে। এমন পরাজয়ের পেছনে মূল সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বাজে ব্যাটিং পারফর্মেন্স। দুই ম্যাচেই ব্যর্থ ছিলেন পাক ব্যাটসম্যানরা। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে শুরুর রেকর্ড গড়েছে তারা ক্যারিবীয়দের বিরুদ্ধে ১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে। এ বিষয়ে মিসবাহ বলেন, ‘এটা এখন জীবন-মরণ পরিস্থিতি হয়ে গেছে আমাদের জন্য। এখানে আর কোন যদি বা কিন্তু এ ধরনের কোন সমীকরণের উপস্থিতি নেই। আমরা তিন বিভাগেই হেরে গেছি। আমরা ভাল বোলিং করতে পারিনি, ফিল্ডিংয়েও বাজে অবস্থা ছিল-অনেক ক্যাচ হাতছাড়া করেছি এবং পরে ব্যাটিংয়ে ছিলাম আমরা পুরোপুরি ব্যর্থ।’ পাকিস্তান দল এবার নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে নামার অপেক্ষায় আছে। ওই ম্যাচে অবশ্যই জিততে হবে টুর্নামেন্টে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে টিকে থাকার জন্য। দুই ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং ও ফিল্ডিংয়ের অসামঞ্জস্য প্রকট আকারে পরিলক্ষিত হয়েছে। উভয় ম্যাচে আগে বোলিং করেছে পাকিস্তান। বোলাররা ভালভাবে শুরু করে দিলেও সেটা তারা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। এর পেছনে বাজে ফিল্ডিংও যথেষ্ট দায়ী ছিল। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ২৩ বছর আগে প্রথমবার আয়োজিত বিশ্বকাপেই শিরোপা জয় করেছিল পাকরা। কিন্তু এ বিশ্বকাপে একেবারেই বাজে অবস্থায় শুরু করেছে দলটি। এ বিষয়ে মিসবাহ বলেন, ‘নিজেদের অবস্থার অনেক উন্নতি ঘটাতে হবে আমাদের এবং পরবর্তী ম্যাচের জন্য আমাদের আরও কঠিন লড়াই করতে হবে। কারণ এই মুহূর্তে আমরা খাদের কিনারায় চলে গেছি। আমাদের গত দুটি ম্যাচের বিষয় পুরোপুরি ভুলে যেতে হবে এবং ভুলগুলো থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। আমরা তখনই জিততে পারব যখন সামর্থ্য অনুসারে নৈপুণ্য দেখাতে সক্ষম হব।’ ব্যাটিং-বোলিংয়ে অসামঞ্জস্যতাই বার বার ডোবাচ্ছে পাকদের। বোলিংয়ে শুরুটা ভাল করলেও সেটা আর শেষ পর্যন্ত থাকেনি এবং ব্যাটিংয়ে শুরুটা বাজে হলেও পরের দিকে ব্যাটসম্যানরা কিছু রান করেছেন যা কার্যকর হয়নি ম্যাচ জয়ে। এ বিষয়ে মিসবাহ বলেন, ‘ব্যাটিং থেকে আমরা এখনও তেমন কোন রান পাইনি। ছয় ব্যাটসম্যান ও পাঁচ বোলার নিয়ে খেলতে নামাটা আমাদের জন্য এখনও বেশ বিপজ্জনকই মনে হচ্ছে। সে কারণে আমরা ৭ ব্যাটসম্যান ও ৪ বোলার নিয়ে খেলছি।
×