ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সতর্ক বার্তা পাক দলকে

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

সতর্ক বার্তা পাক দলকে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ একবারই জিতেছে পাকিস্তান। ২৩ বছর আগে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মাটি থেকেই নিজেদের একমাত্র বিশ্বকাপ জয় করে দেশে ফিরেছিলন পাক শিবির। কিন্তু এবার কোনভাবেই ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ছে না। আবারও সেই একই ভূমিতে এসে নিজেদের কোনভাবেই মেলে ধরতে পারছে না পাকিস্তান। চলমান একাদশ বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচ হেরে এখন শঙ্কা তৈরি হয়েছে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা নিয়ে। গ্রুপ পর্বে আর চারটি ম্যাচ বাকি আছে। সব ম্যাচে জিতলেই নিশ্চিত হবে শেষ আটে ওঠা। তাই বেশ কোণঠাসা অবস্থায় আছে পাক শিবির। এবার তৃতীয় পরীক্ষা ১ মার্চ জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে। ওই ম্যাচ থেকেই জয়ের ধারায় ফেরা অতীব জরুরী পাকিস্তানের জন্য। সে কারণে কিংবদন্তি পাক অলরাউন্ডার ওয়াসিম আকরাম দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন হয় জেতা শুরু কর, না হলে দ্রুতই দেশে ফিরে যেতে হবে। এবার বিশ্বকাপে চরম দুর্গতি নিয়ে শুরু করেছে পাক শিবির। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে ৭৬ রানের বড় ব্যবধানে পরাজয় দিয়ে শুরু করেছে তারা। দ্বিতীয় ম্যাচেও ঘুরে দাঁড়াতে ব্যর্থ পাকদের পরিস্থিতি ছিল আরও ভয়ানক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ১৫০ রানের বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে তারা। টুর্নামেন্টে টিকে থাকার জন্য পরবর্তী লড়াইয়ে জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে অবশ্যই জয় পেতে হবে। তাই এটিকে ‘জেতো অথবা ভেঙ্গে পড়ো’ হিসেবে গণ্য করেছেন ওয়াসিম। তিনি বলেন, ‘আমি খুবই আশাবাদী যে তারা জিততে পারে। যদি তারা দ্রুতই দেশে ফিরে যেতে না চায় এটা অবশ্যই করতে হবে। বিপুল পরিমাণে মানুষ তাদের সমর্থন দেয়ার জন্য মাঠে আসে এবং কোটি কোটি মানুষ দেশে তাদের খেলা দেখে এসব অনুভব করতে হবে।’ ১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মাঠ থেকে জিতে আসা পাকিস্তানের একমাত্র বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন ওয়াসিম। সেবার রবিন লীগ পদ্ধতিতে হয়েছিল সে আসরটি। এবার দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ১৪ দল অংশগ্রহণ করছে। উভয় গ্রুপ থেকে শীর্ষ চারটি করে দল কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে। কিন্তু সে মিশনে এখন পর্যন্ত কোন সাফল্য না পাওয়ায় পাক টিম ম্যানেজমেন্টের তীব্র সমালোচনা করেছেন ওয়াসিম। সেই সঙ্গে পাঁচ বোলার নিয়ে না খেলার জন্য অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হকেরও সমালোচনা করেছেন তিনি। এ বিষয়ে ওয়াসিম বলেন, ‘আমি গত কয়েক মাস ধরেই এ বিষয়টি নিয়ে চিৎকার করছি। কিন্তু এরপরও তারা মাত্র চার বোলার নিয়ে খেলছে। এর ফলে পাকিস্তানের শক্ত দিকটাই দুর্বলতর হয়ে পড়ছে। আমরা গত দুই ম্যাচে অতিরিক্ত একজন বোলার ব্যবহার করেছি, কিন্তু এরপরও রান তাড়া করতে ব্যর্থ হয়েছি। এ বিষয়টি চরম হতাশার এবং আমার মনে এভাবে চলতে থাকলে পাকিস্তান আরও সমস্যায় পড়বে। একাদশ সাজানোর ক্ষেত্রে দ্রুত নতুন করে ভাবতে হবে।’ ভারতের বিরুদ্ধে খেলা লেগস্পিনার ইয়াসির শাহকে বাদ দিয়েছে পাকরা উইন্ডিজদের বিরুদ্ধে। প্রথম ম্যাচেই আয়ারল্যান্ডের কাছে দুর্ভাগ্যজনক অঘটনের শিকার হওয়া ক্যারিবীয়রা এ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় বিশাল জয়ে। ওয়াসিম মনে করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেভাবে দুর্দশা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সেটা অবশ্যই শিখতে হবে পাকিস্তানকে। তিনি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হেরেছিল। কিন্তু তারা প্রত্যাবর্তন করেছে এবং পাকিস্তানকে ক্রিকেটের প্রতিটি বিভাগেই পাকিস্তানকে পুরোপুরি বিপর্যস্ত করেছে। এখান থেকেই শিখতে হবে পাকিস্তানকে।’ ওপেনার নাসির জামশেদকে দলে নেয়ার বিষয়টিও পছন্দ হয়নি ওয়াসিমের। তিনি মনে করেন ঘরোয়া ক্রিকেটে আরও ভাল ক্রিকেটার আছেন।
×