ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রথম জয় শ্রীলঙ্কার প্রোটিয়াদের হারিয়ে শীর্ষে ভারত

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

প্রথম জয় শ্রীলঙ্কার প্রোটিয়াদের হারিয়ে শীর্ষে ভারত

মিথুন আশরাফ ॥ বাকি রইল শুধু পাকিস্তানই। এবার বিশ্বকাপে দক্ষিণ এশিয়ার টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা জয় পেয়েছে। শুধু পাকিস্তানই এখন পর্যন্ত কোন জয়ের দেখা পায়নি। ভারত তো রবিবার শিখর ধাওয়ানের (১৩৭) শতকে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৩০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপ ‘বি’র পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষস্থানই (২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট) দখল করে নিল। বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাল ভারত। আর মাহেলা জয়াবর্ধনের (১০০) শতকে আফগানিস্তানকে ৪ উইকেটে হারিয়ে এবার বিশ্বকাপে প্রথম জয় তুলে নিল শ্রীলঙ্কা। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচটি হয় মেলবোর্ন ক্রিকেট মাঠে। টস জেতে ভারত। আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্তও নেয়। সুযোগটি ভালভাবেই কাজে লাগায় ভারত ব্যাটসম্যানরা। ম্যাচসেরা শিখর ধাওয়ান তো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় ইনিংসটিই খেলেন। অজিঙ্কা রাহানের ব্যাট থেকে আসে ৭৯ রান। বিরাট কোহলি করেন ৪৬ রান। এ তিনজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রানের বড় ইনিংস গড়ে ভারত। মরনে মরকেল সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিতে সক্ষম হন। এ রান অতিক্রম করতে গিয়ে রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৩/৪১), মোহাম্মদ শামি (২/৩০) ও মোহিত শর্মার (২/৩১) বোলিং তোপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪০.২ ওভারে ১৭৭ রানেই গুটিয়ে যায়। ফাফ ডু প্লেসিস সর্বোচ্চ ৫৫ রান করতে সক্ষম হন। ম্যাচটিতে অনায়াসেই জয় পেয়ে যায় ভারত। অথচ এর আগে বিশ্বকাপে তিনবার ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াইয়ে প্রোটিয়াদের জয় হয়েছিল প্রতিবার। এবারও বিশ্বকাপে ফেবারিট দল ধরা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকেই। কিন্তু ভারতের কাছে এসে যেন দুমড়ে মুছড়ে যায় দলটি। ভারত কী দুর্দান্তভাবেই না বিশ্বকাপে নিজেদের মেলে ধরছে। একইদিন ভোরে নিউজিল্যান্ডের ডুনেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান মুখোমুখি হয়। জয় হয় শ্রীলঙ্কারই। তবে ম্যাচটি আফগানিস্তানও দুর্দান্ত খেলা উপহার দেয়। টস জিতে শ্রীলঙ্কা। আফগানিস্তানকে আগে ব্যাট করতে আমন্ত্রণ জানায়। সুযোগটি পেয়ে ভাল ব্যাটিংই প্রদর্শন করে দলের ব্যাটসম্যানরা। ৪৯.৪ ওভারে ২৩২ রান করতেই অলআউট হয়। আসগার স্টেনিকজাই সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন। লাসিথ মালিঙ্গা ও এ্যাঞ্জোলো ম্যাথুস ৩টি করে উইকেট নেন। এ রান অতিক্রম করতে গিয়ে শুরুতেই শ্রীলঙ্কা ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায়। দুই ওপেনার থিরিমান্নে ও দিলশান রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়ে যান। বিশ্বকাপে প্রথম এমনটি হলো দুই ওপেনারই শূন্য রানে আউট হয়ে গেলেন। এরপর ৫১ রানের মধ্যে ৪ উইকেটের পতন ঘটে যায়। শ্রীলঙ্কা বিপাকে পড়ে যায়। মাহেলা জয়াবর্ধনে হাল না ধরলে শ্রীলঙ্কার হারের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায়নি। জয়াবর্ধনে শতক করে শ্রীলঙ্কাকে বাঁচান। ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে লঙ্কানরা। শেষপর্যন্ত ১০ বল বাকি থাকতে ৪৮.২ ওভারে গিয়ে ২৩৬ রান করে জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। বিশ্বকাপে প্রথম জয়ও তুলে নেয়।
×