ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শহীদ মিনারে না যাওয়া লন্ডন থেকে নির্ধারিত ॥ পুলিশ খুঁজছে সালাহউদ্দিনকে

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

শহীদ মিনারে না যাওয়া লন্ডন থেকে নির্ধারিত ॥ পুলিশ খুঁজছে সালাহউদ্দিনকে

শংকর কুমার দে ॥ আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন আল-কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেনের কায়দায় অজ্ঞাতস্থান থেকে অবরোধ-হরতালের নামে পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে মারার বিবৃতি দিয়ে উস্কানিদানকারী বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদকে খোঁজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে মারার আসামিদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অভিহিত করে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে এ খবর জানা গেছে। সূত্র জানান, বেগম খালেদা জিয়া অমর একুশের দিন শহীদ মিনারে যাওয়ার সময়ে তার নিরাপত্তার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রাখা হয়েছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। কিন্তু তিনি শহীদ মিনারে না গিয়ে বরং উল্টা সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে, তিনি শহীদ মিনারে গেলে গুলশানের দলীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ করে দিতে পারে। গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, পাকিস্তানকে খুশি করতে জামায়াতের পরামর্শে শহীদ মিনারে যাননি বেগম খালেদা জিয়া। কারণ পাকিস্তান ও তার গোয়েন্দা সংস্থার মদদেই বর্তমানে অবরোধ-হরতালের নামে পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে নিরীহ নিরপরাধ মানুষজনকে হত্যা করা হচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমান লন্ডনে বসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজাকার, পাকিবন্ধু ইত্যাদি অশোভন উক্তি করেছে তার সঙ্গে বর্তমানে পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে মারার ঘটনার সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে। জামায়াতকে দিয়ে এটা করিয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। জামায়াতের পরামর্শে লন্ডনে বসে তারেক রহমান বিএনপির দল চালাচ্ছেন। লন্ডন থেকে তিনি যে নির্দেশ দিয়েছেন তার মা বেগম জিয়া সেই নির্দেশই অনুসরণ করছেন। শহীদ মিনারে না যাওয়ার বিষয়টিও নির্ধারিত হয়েছে লন্ডন থেকেই। এজন্যই বেগম খালেদা এবার শহীদ মিনারে না গিয়ে মিলাদ পড়িয়েছেন। এর আগে তিনি এজতেমায়ও যাননি। শহীদ মিনারে যাওয়া, ফুল দেয়া, এজতেমায় যাওয়া ইত্যাদির ঘোরবিরোধী ও অনৈসলামিক অভিহিত করে আসছে জামায়াত-শিবির। জামায়াত-শিবিরের ভাষায় এসব কর্মসূচী অনৈসলামিক ও বিজাতীয় সংস্কৃতির অংশ। সূত্র জানান, জামায়াতের পরামর্শেই আল-কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেনের কায়দায় অবরোধ-হরতালের নামে পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে মারার জন্য এত দিন অজ্ঞাতস্থান থেকে উস্কানি দিয়ে আসছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ। বেগম জিয়া দলীয় কার্যালয়ে আছেন, নিজ বাসায় আছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। প্রশ্ন উঠেছে, তারা থাকতে নিচের লেবেলের নেতা সালাউদ্দিন আহমেদের নামে অবরোধ-হরতালের নামে পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে মারার বিবৃতি দেয়া হচ্ছে? আর একের পর এক এই ধরনের বিবৃতি গণমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। অবরোধ-হরতালের নামে পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে মারার ঘটনার সঙ্গে পাকিস্তানের জঙ্গী কায়দার সঙ্গে আদর্শিক মিল রয়েছে এবং এর যোগসূত্র সেই লন্ডনেই রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা সংস্থা।
×