ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আমার ওপর আস্থা রাখুন ॥ মমতা

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

আমার ওপর আস্থা রাখুন ॥ মমতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা হবে জানিয়ে তাঁর প্রতি ‘আস্থা রাখার’ আহ্বান জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। দুই দেশের অমীমাংসিত বিষয়ে তিনি সেতু হিসেবে কাজ করবেন বলেও জানিয়েছেন। বাংলাদেশ ও ভারতের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতিতে শুক্রবার ঢাকায় এক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর সঙ্গে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘বৈঠকী বাংলা’ নামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে দুই দেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা অংশ নেন। পশ্চিমবঙ্গের বিরোধিতায় ছিটমহল বিনিময় ও তিস্তা চুক্তি নিয়ে জটিলতার দিকে ইঙ্গিত করে নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, দুই দেশের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া ‘ভুল বোঝাবুঝির’ অবসানে মমতার এই সফর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা করেন। নাট্যবক্তিত্ব আলী জাকেরও একই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, আপনার মধ্য দিয়ে বাংলা খুঁজে পাই, বাঙালী খুঁজে পাই। আপনি রাজনৈতিক মতপার্থক্য ঘোচানোর চেষ্টা করবেন, আপনি সেতু হিসেবে কাজ করবেন। সবার বক্তব্যের পর মমতা বলেন, নিশ্চয়ই রাখব। আমি সেতু হিসেবে ভূমিকা রাখব। আমি অতি ক্ষুদ্র লোক, মাটির মানুষ। আমার দিক থেকে এলবিএর (স্থলসীমান্ত চুক্তি) প্রবলেম সলভ করে দিয়েছি।... তিস্তায়ও আস্থা রাখুন। আমাদের প্রবলেম আছে, আপনাদেরও প্রবলেম আছে। আমি হাসিনাদির সঙ্গে আলোচনা করব। আমাদের ওপর ছেড়ে দিন। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না। উল্লেখ্য, মমতা ব্যানার্জী আস্থা রাখতে বললেও তার বিরোধিতার কারণেই ২০১১ সালে তিস্তা চুক্তি হতে হতেও আটকে যায়। ভারতের তখনকার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে সফরে আসার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে নিজেকে সরিয়ে নেন মমতা। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ‘স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে’ এই চুক্তিকে তিনি সমর্থন করতে পারেন না। মনমোহনের সেই সফরে স্থলসীমান্ত একটি চুক্তির প্রটোকল সই হয়, যার মধ্য দিয়ে ১৯৭৪ সালের ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশের ১৬২ ছিটমহল বিনিময়ের পথ খোলে। কিন্তু এই প্রটোকল কার্যকর করতে ভারতের সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন হওয়ায় বিষয়টি ঝুলে থাকে মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতার কারণেই। ভারতের নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি বিষয় ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে শুরু করলে জট খোলার আশা তৈরি হয়। তার উদ্যোগে সম্প্রতি স্থলসীমান্ত চুক্তি কার্যকরে মমতার সরকারের সায় পাওয়া যায়। বিষয়টি এখন ভারতের পার্লামেন্টে অনুমোদনের অপেক্ষায়। গত বছর শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করে তিস্তা চুক্তি সইয়ের বিষয়েও জোর চেষ্টা চালানোর আশা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকী বাংলা অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী দুই দেশে বহমান পদ্মা, মেঘনা, গঙ্গা, যমুনাকে উল্লেখ করেন ‘আমাদের সবার নদী’ হিসেবে। তিনি বলেন, কেউ ভাগাভাগি করতে চাইলেও পারবে না। দুই দেশের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর কারণে ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে তিনি সেতু হিসেবে কাজ করবেন বলেও তিনি জানান। মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে সেই সফর থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা স্মরণ করে মমতা বলেন, আগের বার আসতে চেয়েও ফিরে যেতে হয়েছিল। কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। অনেকেই অনেক কিছু প্লে করে। আমরা কিছু প্লে করতে চাই না। তাঁর কথায়, দুই বাংলার মানুষের ‘হৃদয়টা একই ভাষার, সব হৃদয়ে একই ভাষা। ব্যাগ গুছানোর আগে চিন্তা ছিল, আবার যেন কোন বাধা না আসে। কিন্তু সব বাধা ভেঙ্গে যেহেতু এসেছি, তখন সব বাধা ঘুচে যাবে। দিস ইজ এ নিউ বিগিনিং।’ সবার সঙ্গে আলোচনায় যাওয়ার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন ভারতের তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। আমাদের সম্পর্ক খুব সুন্দর, একেবারে সাজানো সম্পর্ক। কোন বাধা আমাদের থাকবে না। মনের বাঁধন কখনও আটকে রাখা যায় না। মনের দরজাটা খুলে দিতে হবে। সবাইকে নমস্কার, সালাম ও প্রণাম জানিয়ে অভিবাদন জানানোর পাশাপাশি ‘জয় বাংলা’ বলে দেশের সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে খোলামেলা মতবিনিময়ে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, আমি আপনাদের কথা শুনব, আপনাদের প্রশ্নের জবাব দেব। সব কথা তো বলতে পারি না, যতটুকু পারি উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ছাড়াও মমতার সফরসঙ্গী হিসেবে ঢাকায় আসা চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ, চলচ্চিত্র তারকা প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী, তৃণমূলের এমপি অভিনেতা দীপক অধিকারী দেব এবং কণ্ঠশিল্পী নচিকেতা অনুষ্ঠান মঞ্চে মমতার পাশে ছিলেন। আর তৃণমূলের এমপি অভিনেত্রী মুনমুন সেন, অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেন, কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাতি অরিন্দম কাজীর স্ত্রী কল্যাণ কাজী, কবি সুবোধ সরকার, পশ্চিমবঙ্গের পর্যটনমন্ত্রী চলচ্চিত্র পরিচালক ব্রাত্য বসু ছিলেন সামনে অতিথিদের সারিতে। বাংলাদেশের ব্যক্তিত্বদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতা নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, ররীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর। কলকাতায় হবে বঙ্গবন্ধু ভবন ॥ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী জানান, পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার উপকণ্ঠে রাজারহাটে বঙ্গবন্ধু ভবন ও এর পাশেই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভবন গড়ে তোলা হবে। হোটেল সোনারগাঁওয়ে বৈঠকী বাংলায় তিনি আরও বলেন, আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে দুই দেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বলব। এজন্য আমরা দুই দেশের প্রতিনিধি নিয়ে কমিটি গঠন করতে পারি। দুই বাংলা থেকে তিন করে মোট ছয় সদস্যের কমিটি হবে। এর প্রধান হবেন বাংলাদেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বাংলাদেশের শিল্পীদের আরও বেশি করে পশ্চিমবঙ্গ ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানিয়ে মমতা ব্যানার্জী বলেন, দুই বাংলার মাটি একই, একই সংস্কৃতি। পাশাপাশি কলকাতায় বাংলাদেশী চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজনেরও আশ্বাস দেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের কলকাতায় বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল দেখার বিষয়ে কোা ধরনের নিষেজ্ঞা নেই। এ অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরন। দুই দেশের শিল্পীদের কণ্ঠে দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীতে শেষ হয় মমতার বৈঠকী বাংলা। দুই বাংলার বিভেদ নেই ॥ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে আসতে পেরে তিনি খুশি। দুই বাংলার মধ্যে কোন বিভেদ রাখতে তিনি চান না। দুই বাংলাদেশই এক করে দেখেন তিনি। তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশে আসতে পেরে খুবই খুশি। ভাষা আন্দোলনের এই আবেগের দিনে এসে আমরা আপ্লুত। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উদযাপনের সুযোগ পেয়েছে, এটি বাংলাভাষী হিসেবে আমাদেরও গর্ব, বলেন মমতা ব্যানার্জী। শুক্রবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাংবাদিকদের মমতা বলেন, আমরা গোটা পশ্চিমবঙ্গ পরিবার আনন্দিত। আমাদের এপার বাংলা ওপার বাংলা, দুই বাংলার মধ্যে যতই রাজনৈতিক এবং ভৌগোলিক সীমানা থাকুক, মনের কোন সীমানা নেই। তিনি বলেন, আমাদের একই সংস্কৃতি, একই খাবার খাই, একই গান গাই। আমাদের একই রবীন্দ্রনাথ, একই নজরুল, একই লালন, একই ক্ষুদিরাম, একই সূর্যসেন। মমতা ব্যানার্জী বলেন, আমরা আপনাদের কাছে শুনব কী কী প্রত্যাশা করেন, কোন বাধা থাকবে না। মনের দরজা খুলে দিতে হবে। সব শুনব এবং আমি হয়ত সব বলতে পারি না, জবাব দেব। আমারও কথা রয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন ॥ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। শুক্রবার বিকেলে তিনি তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে ধানম-িতে পৌঁছান। এ সময় মমতাকে স্বাগত জানান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের কর্মকার্তারা। জাদুঘরে পৌঁছেই প্রথমে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান মমতা। এরপর সফরসঙ্গীদের নিয়ে জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এর আগে হোটেল সোনারগাঁওয়ে একটি বৈঠকী বাংলা অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে তিনি বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এ সময় তাঁকে রাষ্ট্রপতি তাঁর গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে বেড়ানোর আমন্ত্রণ জানান। বৃহস্পতিবার রাতে তিন দিনের সফরে ঢাকায় এসে পৌঁছেন মমতা ব্যানার্জী। বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তাঁকে স্বাগত জানান। এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরন উপস্থিত ছিলেন। শনিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করবেন মমতা ব্যানার্জী। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক ॥ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। মমতা ব্যানার্জী শুক্রবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে বঙ্গভবনে গেলে আবদুল হামিদ এ আশা প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় ৩৫ মিনিট দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন আবদুল হামিদ। সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, মমতা ব্যানার্জীর এই সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান হবে। প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাণিজ্য অবকাঠামো উন্নয়ন ও আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের উদ্যোগের কথা রাষ্ট্রপতি বৈঠকে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এর ফলে বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পাবে এবং অর্থনৈতিক কর্মকা-ের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে পারস্পরিক অধিকতর উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। রাষ্ট্রপতি তাঁর সাম্প্রতিক ভারত সফরের কথা উল্লেখ করে প্রতিবেশী দেশটির আতিথেয়তারও প্রশংসা করেন বলে ইহসানুল করিম জানান। মমতা ব্যানার্জী দুই দেশের মধ্যে সংস্কৃতি বিনিময়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যেসব সমস্যা আছে সেগুলো একসঙ্গে বসে সমাধান করা হবে। দুই দেশ মিলে সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজনের পরিকল্পনার কথাও রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরেন তিনি। মমতা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে পর্যটন খাতের ‘পারস্পরিক বিকাশের’ সুযোগ রয়েছে। এই খাত বিকশিত হলে বিদেশি পর্যটকরা দুই দেশেই সফরে আসতে আরও আগ্রহী হবে। আগরতলা-ঢাকা-কলকাতা সরাসরি বাস এবং খুলনা-কলকাতা ট্রেন চালুর আগ্রহের কথাও রাষ্ট্রপতির সামনে তুলে ধরেন মমতা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জানান, তার তৃণমূল সরকার বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মস্থান আসানসোলে ‘কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়’ এবং কলকাতায় ‘নজরুল তীর্থ’ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রপতি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ প্রতিষ্ঠা, ‘কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়’ এবং ‘নজরুল তীর্থ’ স্থাপনের উদ্যোগের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এর ফলে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর হবে। রাষ্ট্রপতির স্ত্রী রাশিদা খানম, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পর্যটনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও এমপি মুনমুন সেন, অভিনেতা দীপক অধিকারী দেব, ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরনসহ রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাত শেষে মমতা ব্যানার্জী রাষ্ট্রপতির বাসভবনে যান এবং আবদুল হামিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
×