ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

৮, ৯ ও ১ মার্চ সারাদেশে পদযাত্রা

শান্তির পক্ষে ১৪ দলের গণমিছিলে মানুষের ঢল

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

শান্তির পক্ষে ১৪ দলের গণমিছিলে মানুষের ঢল

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বিএনপি-জামায়াতের নাশকতাবিরোধী শান্তির পক্ষে ১৪ দল আহূত গণমিছিলে নেমেছিল লাখো মানুষের ঢল। আন্দোলনের নামে পুড়িয়ে মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে গণমিছিলে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ক্ষুব্ধ-বিক্ষুব্ধ স্বতঃস্ফূর্ত অসংখ্য মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সবার কণ্ঠে ছিল একাত্তরের পরাজিত শত্রু ও তাদের দোসরদের নাশকতা-সন্ত্রাস ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের দৃপ্ত শপথ। তাঁদের হাতে হাতে ছিল খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি-জামায়াতের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের নানা ভয়াল-বীভৎস ছবি সংবলিত ডিজিটাল ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও রক্তস্নাত জাতীয় পতাকা। বিশাল গণমিছিলপূর্ব সমাবেশ থেকে ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা সাফ জানিয়ে দেনÑ নরঘাতক, সন্ত্রাসী ও নাশকতাকারীদের সঙ্গে কোন আপোস হবে না। বিএনপি-জামায়াত জোট হুকুম দিয়ে বীভৎস কায়দায় মানুষ পুুড়িয়ে হত্যা করছে, শিক্ষার্থীদের জীবন জিম্মি করে বিদেশীদের কাছে ধরনা দিচ্ছে। কিন্তু বিদেশীদের কাছে ধরনা দিয়ে কোন লাভ হবে না। কোন বিদেশী হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। বরং দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ জনপ্রতিরোধের মাধ্যমেই বিএনপি-জামায়াতকে পরাজিত করা হবে। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীতে গণমিছিল শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনের সামনেও নাশকতাকারীদের রাজপথে থেকেই মোকাবেলা করার দৃপ্তশপথ গ্রহণ করেন ১৪ দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী। মিছিলপূর্ব সমাবেশ থেকে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোটের নাশকতার বিরুদ্ধে আগামী ৮, ৯ ও ১০ মার্চ সারাদেশে একযোগে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে উত্তরবঙ্গের সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা ও রংপুরে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচী পালন করা হবে। এসব কর্মসূচীতে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা অংশ নেবেন। গণমিছিলে আগত সবার চোখে-মুখে ছিল রাজনীতির নামে নিষ্ঠুর সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত নাশকতাকারী ও তাদের হুকুমদাতাদের বিরুদ্ধে প্রচ- ঘৃণা-ধিক্কার। এমনিভাবে শুক্রবার বিকেল ৪টায় একযোগে ঢাকাসহ সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল আহূত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শান্তির পক্ষের গণমিছিলে অংশ নিয়ে রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ ফুঁসে ওঠা সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ বিএনপি-জামায়াতের নাশকতার বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। শুধু ঢাকায় নয়, সারাদেশেই গণমিছিলে বিপুল মানুষের স্রোত নামিয়ে বড় ধরনের শোডাউন করে ১৪ দল। যেন এক অন্যরকম গণজাগরণের সৃষ্টি হয়েছিল এ গণমিছিলকে কেন্দ্র করে। ১৪ দলের পাশাপাশি চিকিৎসক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাগণ, কৃষক-শ্রমিকসহ অনেক সাধারণ মানুষকেও এ গণমিছিলে অংশ নিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করতে দেখা গেছে। সমাবেশ শেষে গণমিছিলটি গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার থেকে শুরু হয়ে নূর হোসেন স্কয়ারের সামনে হয়ে মুক্তাঙ্গন, প্রেসক্লাব, হাইকোর্ট মোড়, মৎস্য ভবনের সামনে দিয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনে দিয়ে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনিতে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে জোটের নেতাকর্মীদের কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতা মোহাম্মদ নাসিম স্বাধীনতাবিরোধীদের নিশ্চিহ্ন করার শপথবাক্য পাঠ করান। মিছিলে মানুষের স্রোতের কারণে শাহবাগ, পল্টন, মতিঝিল, প্রেসক্লাব, মৎস্য ভবন এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। গণমিছিলে সবার কণ্ঠে ছিল ভিন্ন আওয়াজÑ ‘খুনী খালেদার বিচার চাই, একাত্তরের দোসরদের রক্ষা নেই।’ বিকেল ৪টায় মিছিল শুরু করার কথা থাকলেও জুমার পর পরই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল এসে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারমের দক্ষিণ গেটে সমবেত হতে থাকে। নগরীর ১০০টি ওয়ার্ড, থানা, ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার মিছিল আসতে থাকে ওই এলাকায়। বিকেল ৩টার আগেই পুরো এলাকা জনারণ্য হয়ে পড়ে। দুটি ট্রাকের ওপর অস্থায়ী মঞ্চে কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন। সমাবেশ শেষে বিকেল ৪টায় একাত্তরের রণাঙ্গনের কালজয়ী সেøাগান ‘জয় বাংলা’ উচ্চারণের মধ্য দিয়ে গণমিছিল কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মোহাম্মদ নাসিম। বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে শিখা চিরন্তনের সামনে মুষ্টি হাত সামনে উঠিয়ে শপথগ্রহণের মাধ্যমে কর্মসূচীর সমাপ্তি টানা হয়। নগর ১৪ দলের সমন্বয়ক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেনÑ কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টি (জেপি) মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান প্রমুখ। শাহে আলম মুরাদের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেনÑ এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, মুকুল বোস, ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মিসবাউদ্দিন সিরাজ, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, হাবিবুর রহমান সিরাজ, ফরিদুন্নাহার লাইলী, আবদুস সাত্তার, নুরুর রহমান সেলিম, ডাঃ শাহাদৎ হোসেন প্রমুখ। ২০ দলের গণমিছিলে ছিল ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনী আমেজ। সম্ভাব্য মেয়র, কাউন্সিল প্রার্থীরা নিজ নিজ নেতাকর্মীদের নিয়ে বড় ধরনের শোডাউন করেছে। এদের মধ্যে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, স্বতন্ত্র এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিম, আসলামুল হক আসলাম এমপির শোডাউন ছিল দেখার মতো। এছাড়া ঢাকার এমপি এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, সংরক্ষিত নারী আসনের সানজিদা খানম, সাবিনা আক্তার তুহিনের নেতৃত্বে মিছিল ছিল দৃষ্টিনন্দন। পিছিয়ে ছিলেন না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও। ওমর ফারুক চৌধুরী ও হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় যুবলীগ, মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওসারের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বদিউজ্জামান সোহাগের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ, নাজমা আক্তার ও অপু উকিলের নেতৃত্বে যুব মহিলা লীগ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে গণমিছিলে অংশ নেন। এছাড়াও জাতীয় শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি, তরিকত ফেডারেশনসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন এতে অংশ নেয়। গণমিছিলপূর্ব সমাবেশে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ২০১৯ সালের একদিন আগেও নির্বাচন হবে না এবং খুনীদের সঙ্গে কোন সংলাপও নয়। নির্বাচনের আগে সংলাপ হবে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে, কোন খুনীর সঙ্গে নয়। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া মানুষ পুড়িয়ে মারছেন। মানুষ হত্যা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। শেখ হাসিনার সঙ্গে দেশের জনগণ রয়েছে। শেখ হাসিনার বিজয় হবেই হবে। কেউই ঠেকাতে পারবে না। আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ‘ফোর টুয়েন্টি ও জঙ্গীর নেত্রী’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, যদি মনে করেন এতিমের টাকা খেয়ে, নৈরাজ্য সৃষ্টি করে পার পাবেনÑ তাহলে ভুল করবেন। আপনি পার পাবেন না। বিদেশীদের ডেকেও কোন লাভ হবে না। আপনি অমিত শাহ ও ছয়জন মার্কিন কংগ্রেসম্যানের স্বাক্ষর জালিয়াতি করেছেন। এ ধরনের মিথ্যাচার করার জন্য আপনার লজ্জা হয় না। গ্রামের ভাষায় যেটা বলেÑ কচুগাছের সঙ্গে গলায় দড়ি দেয়া উচিত। তিনি বলেন, বাংলার মানুষের কাছে আজ প্রমাণিত হয়ে গেছে আপনি এখন ফোর টুয়েন্টি। আপনি এখন জঙ্গী। আপনি এখন মানুষের ওপর বোমা মারেন। মানুষকে হত্যা করেন। জঙ্গীনেত্রী হিসেবে, ফোর টুয়েন্টি নেত্রী হিসেবে বাংলার মাটিতে আপনার বিচার হতেই হবে। বিএনপি জোটকে গণতন্ত্র-জনগণ-মানবতা ও ইসলামের শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, সন্ত্রাসী ও নাশকতামূলক কর্মকা-ে উস্কানি ও অর্থদাতা সাংবাদিক, মিডিয়া মালিকদেরও বিচার করা হবে। বিএনপি-জামায়াত জোটের সঙ্গে সংলাপের ব্যাপারে বুদ্ধিজীবী তথা সুশীল সমাজের উদ্যোগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, কিছু বুদ্ধিজীবী তথা সুশীল সমাজ সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়ে সংলাপের কথা বলছে। কার সঙ্গে সংলাপ হবে? যারা সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে, সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে তাদের সঙ্গে? তাদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না। যারা সংলাপের কথা বলছে, তারা মূলত ওই সন্ত্রাসী দলের লোক, তারা সন্ত্রাসকে মূলত উস্কে দিচ্ছে। আর কোন বিদেশীরাও বাংলাদেশের রাজনীতির ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, রাজনীতির মাঠে পরাজিত হয়ে বিএনপি এখন সারাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকা- চালাচ্ছে। সন্ত্রাস ও সংলাপ একসঙ্গে চলতে পারে না। বিএনপি যদি গণতান্ত্রিক পন্থায় আন্দোলন করত তাহলে সংলাপের বিষয়টি ভেবে দেখত ১৪ দল। তিনি বলেন, বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে ধরনা দিচ্ছে। তবে এ সব করে কোন কাজ হবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে। সন্ত্রাসীরা পরাজিত হবেই। জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, আমরা কঠিন সময়ে কঠিন শত্রু মোকাবেলা করছি। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান এখন আগুন সন্ত্রাসের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁদের কাছে গণতন্ত্র নিরাপদ নয়। যারা সংলাপের কথা বলছেন তাঁদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সরকারের কাছে সংলাপের তদবির না করে দেশ ও জনগণকে রক্ষার জন্য আগুন সন্ত্রাস বন্ধ করতে খালেদা জিয়ার কাছে তদবির করেন। তিনি বলেন, রাজনীতির ময়দান থেকে খালেদা জিয়াকে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত দেশ নিরাপদ থাকবে না। জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, দেশে শান্তি ও গণতন্ত্রের পক্ষে সংগ্রাম করছে ১৪ দল। আর এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। অন্যদিকে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সহিংসতা ও নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি জোট। তবে জনগণ শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে। তাই দেশ এগিয়ে যাবেই। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য সাহারা খাতুন বলেন, খালেদা জিয়া যেভাবে দেশে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য চালিয়েছেন তাতে বাংলাদেশে তার ঠাঁই হবে না। তাঁকে পাকিস্তানে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, খালেদা জিয়া রাজনীতিতে আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর আর উত্থান হবে না। সন্ত্রাসী ও জঙ্গীবাদী কর্মকা-ের জন্য তাঁকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, খালেদা জিয়া ঘুঘু দেখেছেন কিন্তু এখনও ফাঁদ দেখেননি। উনি যেভাবে সাধারণ মানুষকে বোমা মেরে হত্যা করছেন, তাতে তাঁর মাথায়ও একদিন বোমা পড়বে; আর সেদিন বেশি দূরে নয়। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় জনগণের রোষানলে তাঁকে পড়তেই হবে।
×