ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পয়েন্ট ভাগাভাগি হতে পারে গাব্বায়

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

পয়েন্ট ভাগাভাগি হতে পারে গাব্বায়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কুইন্সল্যান্ডের দিকে প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে সামুদ্রিক সাইক্লোন মার্সিয়া। আর রাজধানী ব্রিসবেনের গাব্বাতেই আজ সকালে বাংলাদেশ ও স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু এই ম্যাচ হবে কি না তা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট সংশয়। আর হলেও কী পূর্ণ সময় হবে না কি কিছু ওভার বেঁধে দেয়া হবে তার উত্তরও কেবল সময়ের হাতে। ম্যাচের সব আয়োজন সম্পন্ন হলেও তা যে মাঠে গড়ানোর সম্ভাবনা একেবারেই কম তা বুঝতে পারছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলও (আইসিসিও)। যে কারণেই শুক্রবার সকালে এক জরুরী সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রেরণ করেছে তারা। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের কাছে খেলোয়াড় ও দর্শকদের নিরাপত্তা সবার আগে। যে কারণেই আইসিসি পরিস্থিতির দিকে চোখ রাখছে। তাদের কর্মকর্তারা দেখছেন কি অবস্থা হয়। তবে আবহাওয়ার ওপর কারও হাত নেই উল্লেখ করে আইসিসি জানায়, খেলা হবে কি না, সেটা আগামীকাল (আজ) সকালেই বোঝা যাবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যে, ‘বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে যেহেতু কোন রিজার্ভ ডে নেই, তাই খেলা একেবারেই না হলে পয়েন্ট ভাগাভাগি হবে। তবে কোনভাবে যদি ন্যূনতম ২০ ওভার করেও খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ থাকে তাহলে সেটাই করা হবে। তাহলে যারা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের টিকেট কিনে ফেলেছেন তার কী হবে? সে বিষয়েও তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে আইসিসি। এ বিষয়ে দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, একেবারেই যদি খেলা না হয় বা ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে টিকেটের অর্থ ফেরত পাবেন দর্শকরা। বিশ্বকাপের প্রথম দিনেই জয়ের দেখা পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তাছাড়া স্বাগতিক হিসেবেও ফেবারিটের তকমাটা গায়ে মাখানো তাদের। নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় দিয়ে শুরু করেছে বাংলাদেশও। এই পরিসংখ্যানের হিসেবে দুই দলেরই অবস্থান সমান বৃন্তে। আর ম্যাচ যদি না-ই হয় তাহলে দুই দলই পাবে সমান ১ পয়েন্ট করে। সেক্ষেত্রে লাভটা নিশ্চিত বাংলাদেশেরই। তবে ক্ষতিটা ভক্ত-অনুরাগীদের। দারুণ একটি ম্যাচ উপভোগ থেকে বঞ্চিত হবে তারা। বাংলাদেশের ক্ষতিও আছে। ২০১১ সালের এপ্রিলে শেষবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল টাইগাররা। দীর্ঘ চার বছর পর আবারও বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম শক্তিশালী দল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে তারা। যে কারণেই বাংলাদেশ দলও চায় না খেলে পয়েন্ট লাভের চেয়ে নিজেদের শক্তিমত্তার যাচাই করা।
×