ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

তিস্তাপারের মানুষের আকুতি

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

তিস্তাপারের মানুষের আকুতি

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ২০ ফেব্রুয়ারি ॥ তিস্তা বাঁচলে পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরাঞ্চল বাঁচবে। তিস্তা নদী পানিশূন্য হয়ে পড়ায় বোরো চাষের মৌসুমে তৃণমূল পর্যায়ের কৃষক সেচসুবিধা বঞ্চিত রয়েছে। ব্যারাজের পানি সংরক্ষণের জলাধারে জেগে উঠেছে বালুচর। এদিকে বাসদসহ কয়েকটি রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন তিস্তা নদীর পানির ন্যায্যহিস্যার দাবিতে শুক্রবার তিস্তা ব্যারাজ অভিমুখে লংমার্চ করছে। এই লংমার্চের পক্ষে জনমত তৈরিতে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। ফলে মমতা ব্যানার্জির ঢাকায় আসা ও অবস্থানের খবর তিস্তাপারের গ্রামগুলোর সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। এবারে তিস্তাপারের মানুষ আশায় বুক বেধেছে। পানি চুক্তি হতে যাচ্ছে। তিস্তাপারের মানুষ মমতা ব্যানার্জিকে দিদি সম্বন্ধ করে মিনতি করেছে। দিদি তিস্তাকে বাঁচান। তিস্তা নদী বাঁচলে তিস্তাপারের জীববৈচিত্র্য রক্ষা পাবে। পানি চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় অভিন্ন তিস্তা নদীর বাংলাদেশের অংশে কোন পানি নেই। তাই এবারে বোরো ধান চাষের মৌসুম শুরু হতে নদীর পানির সেচসুবিধা হতে বঞ্চিত তিস্তাপারের মানুষ। কয়েক বছর আগেও শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা নদীতে প্রায় ২০ হতে ৪০ হাজার কিউসেক পানি প্রবাহ থাকত। এবারে তিস্তা নদীতে কোন পানিপ্রবাহ নেই। শুকিয়ে গেছে। তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ ধরে রাখতে ন্যূনতম ১৫-২০ হাজার কিউসেক পানি প্রবাহের প্রয়োজন। উজানে ও ভাটিতে পানিশূন্য তিস্তা নদীতে পড়েছে বিশাল বিশাল চর।
×